ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ ও ১১ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল আহাদ (রবিবার) ও লাইলাতুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) এবং ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফ বাকি অংশ পড়ুন...
গত পর্বের পর---
قَالَ حضرت الزُّهْرِيِّ قَالَ حضرت عُمَرُ عليه السلام فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالاً. قَالَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِهِ " قُومُوا فَانْحَرُوا، ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى حضرت أم المؤمنين السادسة أُمِّ سَلَمَةَ عليها السلام، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَتْ حضرت أم المؤمنين السادسة عليها السلام يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ اخْرُجْ ثُمَّ لاَ تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মতে মহাসম্মানিত ঐতিহাসিক গাযওয়াতুল হুদায়বিয়াহ:
গত পর্বের পর---
ثُمَّ إِنَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَيْنَيْهِ. قَالَ فَوَاللهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً إِلاَّ وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ، فَرَجَعَ عُرْوَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ أَىْ قَوْمِ، وَاللهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوكِ، وَوَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَا বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মতে মহাসম্মানিত ঐতিহাসিক গাযওয়াতুল হুদায়বিয়াহ:
বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ فَإِنَّ هَذَا قَدْ عَرَضَ لَكُمْ خُطَّةَ رُشْدٍ، اقْبَلُوهَا وَدَعُونِي آتِهِ. قَالُوا ائْتِهِ. فَأَتَاهُ فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِنْ قَوْلِهِ لِبُدَيْلٍ، فَقَالَ عُرْوَةُ عِنْدَ ذَلِكَ أَىْ مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَرَأَيْتَ إِنِ اسْتَأْصَلْتَ أَمْرَ قَوْمِكَ هَلْ سَمِعْتَ بِأَحَدٍ مِنَ الْعَرَبِ اجْتَاحَ أَهْلَهُ قَبْلَكَ وَإِنْ تَكُنِ الأُخْرَى، فَإِنِّي وَاللَّهِ لأَرَى وُجُوهًا، وَإِنِّي لأَرَى أَوْشَابًا مِنَ النَّاسِ خَلِيقًا أَنْ يَفِرُّوا وَيَدَعُوكَ. فَقَالَ لَهُ أَب বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মতে মহাসম্মানিত ঐতিহাসিক গাযওয়াতুল হুদায়বিয়াহ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ، يُصَدِّقُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَدِيثَ صَاحِبِهِ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، حَتَّى كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ" إِنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ بِالْغَمِيمِ فِي خَيْلٍ لِقُرَيْشٍ طَلِيعَةً فَخُذُوا ذَاتَ الْيَمِينِ বাকি অংশ পড়ুন...
সন্ধিচুক্তি এবং সন্ধির শর্তসমূহ:
কুরাইশগণ পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করলো এবং অনতিবিলম্বে হযরত সুহাইল বিন ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সন্ধিচুক্তির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে প্রেরণ করলো।
(হযরত সুহাইল বিন ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি, পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর উনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন।) উনাকে প্রেরণের সময় কুরাইশরা এ পরামর্শ দিল যে, সন্ধিচুক্তি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতের গুজব এবং বাইয়াতে রিদ্বওয়ান:
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার নিজ দায়িত্ব মুবারক সম্পূর্ণ করলেন কিন্তু কুরাইশগণ উনাকে তাদের জিম্মায় রাখলো। সম্ভবত উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে সঠিক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারার কারণেই এবং কিছুটা বিলম্বে হলেও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে তারা তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক রেখেছিল। যেহেতু ব্যাপারটি ছিল তাদের জন্য অত্যন্ত বিতর্কমূলক এবং এ ব্যাপারে তাদের আরও শলা-পরামর্শের প্রয়োজন ছিল সেহেতু বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করলেন যে, এ সময় কুরাইশদের নিকট এমন একজন দূত প্রেরণ করা প্রয়োজন যিনি বর্তমান সফরের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে জোরালোভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে আহবান জানিয়ে কুরাইশগণের নিকট গমনের নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, ‘আপনি গিয়ে তাদেরকে বলে দিন যে, যুদ্ধ করার জন্য আমর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
غَزْوَةٌ গাযওয়াহ, سَرِيَةٌ সারিয়াহ, جَيْشٌ জাইশ ও بَعْثٌ বা’ছ ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে غَزْوَةٌ গাযওয়াহ এখানে আলোচ্য বিষয়।
সারিয়ার سَرِيَة সংজ্ঞা:
যে সমস্ত জিহাদে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি সে সমস্ত জিহাদকে সারিয়া বলে।
غَزْوَةٌ গাযওয়াহ উনার সংজ্ঞা:
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত বড় জিহাদে অংশগ্রহণ করে জিহাদ পরিচালনা করেছেন সে সমস্ বাকি অংশ পড়ুন...












