অত্র দশখানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো এতে কি বলা হয়েছে? মুসলমানরা কি শিখলো। এজন্য বিভিন্ন কিতাবাদিতে দেখা যায়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নাম মুবারক কিতাবের শেষে নামকাওয়াস্তে লেখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের শান-মান মানুষ উপলব্ধি করতে পারেনি। কাজেই উনাদের শান-মান বেমেছাল যা জিন-ইনসানের চিন্তা-ফিকিরের উর্র্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! আর যারা উনাদের শান-মান নিয়ে চু-চেরা, কীল-কাল করবে সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে এবং সে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আখাছ্ছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী ব্যক্তি অবাক হয়ে বললো, হুযূর! আমাকে তিনদিন ধরে আপনি আমার সাথে কুস্তি করে আমাকে পরাস্ত করলেন। এখন আমার গলায় তরবারী চালিয়ে আমাকে হত্যা করবেন। অথচ আমাকে ছেড়ে উঠে গেলেন, আমি সামান্য থুথু দিলাম তার কারণে। কি ব্যাপার?
হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন দেখ, আপাততঃ তোমাকে হত্যা করা আমার উদ্দেশ্য নয়, আমি তো মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মত ও পথের উপর কায়েম থেকে তোমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তুমি যখন আমাকে থু বাকি অংশ পড়ুন...
বুযুর্গ ব্যক্তি শরাবখানায় গিয়ে হযরত বিশর হাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যারা বন্ধু-বান্ধব ছিল তাদেরকে বললেন, কোথায় বিশর রহমতুল্লাহি আলাইহি? উনার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে পয়গাম এসেছে।
উনি দেখত পেলেন হযরত বিশর হাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাতাল অবস্থায় রয়েছে শরাব পান করে। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, হে বিশর রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার কাছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে পয়গাম এসেছে। তিনি মাতাল অবস্থায় বললেন, হে ব্যক্তি! শাস্তির পয়গাম, না শান্তির পয়গাম? বলা হলো, আপনার জন্য শান্তির পয়গাম এসেছে।
হযরত বিশর হাফী রহমতুল্লাহি আ বাকি অংশ পড়ুন...
সে আরো দোয়া করলো, কান্নাকাটি করলো, তারপর সে তার মাথা উত্তোলন করলো এবং সামনে বসা হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বললো, হুযূর! আমাকে আপনি চিনেছেন?
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “কে তুমি”?
আপনার কি স্মরণ নেই, বছরার বাজারে একবার এক ইহুদী মহিলা, একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছিলো, আপনি নিষেধ করেছিলেন। আমি সেই মহিলা। আমি বলেছিলাম, হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনিতো দিলের খবর রাখেন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তুমি কি সেই মহিলা? মহিলা বললো, হুযূর! আমি যে দান করেছিলাম তার বদৌলতে মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৭৭নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না।”
সাইয়্য বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৭৭নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না।”
সাইয়্য বাকি অংশ পড়ুন...
তখন খৃষ্টানরা বললো, আমাদের একটা আবদার আছে, কি আবদার? যিনি খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন উনার সম্মানার্থে আমরা একটা খাবার সভার বন্দোবস্ত করতে চাই।
আমীরুল ম’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হলে, উনি তাতে রাজী হলেন। আরব দেশে সাধারণতঃ গোস্ত আর রুটি খাওয়া হতো। দস্তরখানা ছিল চামড়ার খয়েরী রংয়ের, তার মধ্যে রুটি দেয়া হত। এটা ছিল মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।
খাবারের সময় রুটি গোস্ত দেয়া হলো। খাওয়া প্রায় শেষ, আমীর উমরাহ অনেক বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি যখন দেখলেন উনি গোসসা করেছেন সাথে সাথে তিনি তিলাওয়াত করলেন-
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
‘যারা গোসসাকে হজম করেন’ তিনি গোসসাকে হজম করে ফেললেন। উনার চেহারা মুবারক থেকে গোসসার ভাবটা দূর হয়ে গেল।
দ্বিতীয় সেই বাঁদী তিলাওয়াত করলেন-
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ
যারা মানুষকে ক্ষমা করেন। উনি বললেন, “আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম।”
তৃতীয় সেই মহিলা পাঠ করলেন-
وَاللهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
যারা নেককার পরহেযগার মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে ক্ষমা করেন। হযরত ইমামুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন যে, “আমি তোমাকে আযাদ করে দিলাম যাও।” সুবহানাল্লাহ!
এখন চিন্তা-ফি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “হাশরের ময়দানে কিছু লোক উঠবে, যাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নির্দেশ মুবারক করবেন, তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছে দিন। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সে সমস্ত লোকগুলোকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে থাকবেন। তারাও ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে যেতে থাকবে, নানান চিন্তা-ফিকির করতে করতে।
এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, হে জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি যান লোকগুলিকে জিজ্ঞাসা করু বাকি অংশ পড়ুন...
কয়েকদিন পর হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার! রুটিগুলো কোথায়? উনাকে জবাব দেয়া হলো, রুটিগুলো রেখে দেয়া হয়েছে পাকের ঘরের তাকের মধ্যে। উনি বললেন, সর্বনাশ! রুটিগুলো নষ্ট করেছেন? রুটিগুলো মানুষকে দিয়ে দিন। তবে দেয়ার সময় বলে দিবেন, রুটির আটাগুলো হলো ইমাম ছাহেবের, আর লবণ হলো কাজী ছাহেবের। যখন ফকীর-মিসকীনকে বলা হলো, হে ব্যক্তি তুমি যে এটা নিতে এসেছ, এই রুটির আটাগুলো হলো ইমাম ছাহেবের, আর লবণ হলো কাজী ছাহেবের। ইমাম ছাহেব এটা গ্রহণ করেননি। ফকীর-মিসকীনও গ্রহন করলো না এটা। শেষ পর্যন্ত এটা নষ্ট হয়ে গেল। বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি বলে দিয়েছিলেন যে দেখ, এ কাপড়টা যখন বিক্রি করবে তখন বলে দিও যে, কাপড়ের মধ্যে দোষ আছে। কিন্তু সেই বিক্রেতা (উনার অবশ্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, ভুলে গিয়েছিলেন) দোষযুক্ত কাপড়টা বিক্রি করে ফেললেন, দোষের কথা বলতে মনে ছিল না।
ঐদিন উনি বিক্রি করলেন ৩০ হাজার দিরহাম। হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন আসলেন তখন বললেন- হে ব্যক্তি, তুমি কত মাল বিক্রি করলে? ৩০ হাজার দিরহাম, আচ্ছা। ঐ কাপড়টা কি বিক্রি হয়েছে? হ্যাঁ, হুযূর বিক্রি হয়েছে। দোষের কথা বলেছিলে লোকটাকে যখন বিক্রি করেছিলে?
উনি বললেন যে, হুযূর! আমার তো মনে নেই, আমি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মান-মর্যাদা লাভের জন্য কোন আমল বা ইবাদত-বন্দেগী করাটাও এক প্রকার গইরুল্লাহ। এ মন্দ স্বভাব বা কামনা-বাসনা থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখতে হবে। কারণ যারা মান-সম্মান অর্জনের জন্য কোন ইবাদত করবে তাদের ইবাদতগুলো দ্বিতীয় আকাশ অতিক্রম করে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে পৌঁছবে না, সেখানে হাফাযাহ (পরীক্ষক) ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি আমলগুলো আটকে রেখে দিবেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حَضْرَتْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الاَنْصَارِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ اُرْسِلَا ف বাকি অংশ পড়ুন...












