যাকাতের হিসাব কখন থেকে করতে হবে?
যাকাত বছরান্তে ফরয হয় এবং বছরান্তে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব। চন্দ্র বছরের তথা আরবী বছরের যে কোন একটি মাস ও তারিখকে যাকাত হিসাবের জন্যে নির্ধারণ করতে হবে। বাংলা বা ইংরেজী বছর হিসাব করলে তা শুদ্ধ হবে না।
যাকাত পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে দেয়াই উত্তম :
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে ১টি ফরয আদায়ে ৭০টি ফরয আদায়ের ছাওয়াব দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যেই যাকাত আদায় করতেন।
যেমন পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব সংবাদদাতা:
ইসলামের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তারেক রহমানের মতো দেশ নেতা ও ছারছীনার মতো হক্কানি দরবার থাকলে দেশ সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
গত রোববার ছারছীনার ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে যোগদান করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন।
জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের সভাপতি বলেন, যারা পথভ্রষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
ফাতহুল বারী, শরহুন নববী লি ছহীহ মুসলিম, আউনুল মা’বূদ, তুহফাতুল আহওয়াযী, নাইলুল আওতার, সুবুলুস সালাম ফী শরহে বুলূগিল মারাম ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
ولا يجوز الاكتفاء بـ (ص) ولا (صلعم) للإشارة إلى الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم بل المشروع التصريح بذلك فيقول: صلى الله عليه وسلم
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ বুঝানোর জন্য শুধু (ص) এবং (صلعم) এটাকে যথেষ্ট মনে করা জায়িয নয়। বরং ব্যক্ত করার বৈধ পন্থা হলো- ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এভাবে বলা বা লেখা। ” (উরশিফু মুলতাক্বা আহলুল হাদীছ ৯/৩২৭)
শরহে আক্বীদ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
৩৭. الـمستحب (আল্ মুস্তাহাব):
(১০৯)
الـمستحب: اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض والواجبات وقيل الـمستحب ما رغّب فيه الشارع ولـم يوجبه.
অর্থ: পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরজ ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। কতক উলামায়ে কিরাম উনাদের মতে- শরীয়ত প্রণেতা যে বিষয় পালন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং যা ফরজ-ওয়াজিব নয় তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৮৩ প বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার কারণে বিশেষ নিয়ামত লাভ:
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي الْحَسَنِ الْمَيْمُوْنِيْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَأَيْتُ الشَّيْخَ أَبَا عَلِي اَلْحَسَنَ بْنَ عُيَيْنَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِي الْمَنَامِ بَعْدَ مَوْتِهِ وَكَأَنَّ عَلَى أَصَابِعِ يَدَيْهِ شَيْئًا مَكْتُوْبًا بِلَوْنِ الذَّهَبِ أَوْ بِلَوْنِ الْزَعْفَرَانِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَالِكَ وَقُلْتُ يَا أُسْتَاذُ أَرَى عَلَى أَصَابِعِكَ شَيْئًا مَلِيْحًا مَكْتُوْبًا مَا هُوَ قَالَ يَا بُنَيَّ هَذَا لِكِتَابَتِيْ لَحَدِيْثِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ حَدِيْثِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “হযরত আবুল হাসান মাইমূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
মুক্বদ্দিমাহ্:
মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রকার আমল থেকে পবিত্র। তবে তিনি একখানা আমল মুবারক করেন, সেটা আবার দায়িমীভাবে। এক মুহূর্তের জন্যও তিনি এই আমল মুবারক থেকে জুদা হন না। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্যও এই আমল মুবারক আবশ্যক করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি নির্দেশ মুবারকে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র”।
কাজেই এখান থেকেই বুঝা যায় আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র উনার গুরুত্ব কতো বেমেছাল!
প্রবাদে একটি কথা রয়েছে,
كُلُّ اِنَاءٍ يَتَرَشَّهُ بِمَا فِيْهِ.
অর্থাৎ ‘পাত্রে আছে যাহা, ঢালিলে পড়িব বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أَجْرُ مِائَةِ شَهِيدٍ
অর্থ:- “যিনি আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের যুগে কোন একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক আঁকড়িয়ে ধরবেন, উনাকে একশত শহীদের ছাওয়াব প্রদান করা হবে। ” সুবাহানাল্লাহ!
কেমন একশত শহীদের ছাওয়াব? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সম্মানিত বদর এবং উহুদ জিহাদে শহীদ হয়ে যেই মর্যাদা মুবারক হাছিল করেছেন ঠিক সেই রকম মর্যাদা মুবারক হাছিল করবেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের খাব বাকি অংশ পড়ুন...
১. মহাসম্মানিত সুন্নতী খাদ্য গ্রহণ করা মানেই হচ্ছে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা। আর তাই সম্মানিত সুন্নতী খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তি সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قال حضرت انس بن مالك رضي الله تعالى عنه قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم يا بُنَيَّ ! إِنْ قدَرْتَ أنْ تُصْبِحَ وتُمْسِي ، ليس في قلْبِكَ غِشٌّ لأحدٍ فافعَلْ ، ثُمَّ قال : يا بُنَيَّ ! وذلِكَ مِنْ سُنَّتِي ، ومَنْ أحبَّ سُنَّتِي ؛ فقدْ أحبَّنِي ؛ ومَنْ أحبَّنِي ؛ كان مَعِيَ في الجنَّةِ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِىْ عِنْدَ فَسَادِ اُمَّتِىْ فَلَهٗ اَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিত বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক:
পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করা: পাঁচটি জিনিষ দর্শন করা ইবাদত এবং গুনাহ মাফের কারণ। তার চতুর্থ হচ্ছে- স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খানায়ে কা’বা তথা পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করার নিয়ত করা এক প্রকার ইবাদত। পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শনকারীর জন্য রয়েছে হাজার বছর ইবাদতের ছাওয়াব এবং হজ্জ করার ছাওয়াব। আর দর্শনকারীকে ওলীআল্লাহগণ উনাদের সঙ্গী বলে বাকি অংশ পড়ুন...












