উচ্চ রক্তচাপ খুব পরিচিত রোগ। বিভিন্ন অঙ্গ উচ্চ রক্তচাপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখ এর মধ্যে অন্যতম। অনেক বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চোখের রেটিনায় বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। একে বলা হয় হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি। হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির প্রথমেই রেটিনার রক্তনালিগুলো সরু হতে থাকে। কোনো কোনো রক্তনালির রঙের পরিবর্তন হতে পারে। একে বলা হয় সিলভার অয়ারিং। রক্তনালি থেকে বিভিন্ন উপাদান চোখের ভেতরে রেটিনার সামনে চলে আসে। ডিস্ক ইডিমা তৈরি হয় শেষ পর্যায়ে। এসব অবস্থাকেই একত্রে বলা হয় হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি।
গঠনশৈল বাকি অংশ পড়ুন...
বাইরের কোনো কোলাহল বা শব্দের উৎস ছাড়াই অনেকে কানে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শোনেন। কেউ অস্বাভাবিক আঘাতের মতো শব্দ শোনেন, কারও কানে বাতাসের প্রবাহের মতো শোঁ শোঁ শব্দ হয়, কেউবা ভোঁ ভোঁ, ঝিঁ ঝি , টিকটিক, এমনকি সমুদ্রের গর্জনের মতো তীব্র বা মৃদু শব্দ শোনেন। এ সমস্যাকে টিনিটাস নামে অভিহিত করা হয়। এটি আসলে কানের বা শরীরের অন্য কোনো রোগের উপসর্গ।
কারণ
বয়সের কারণ, শ্রবণশক্তি কমে গেলে, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বসবাস, উচ্চমাত্রার পটকার শব্দ, অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার, কানে ময়লা জমা, কানের সংক্রমণ বা পর্দা ফেটে গেলে কিংবা কানে পানি গেলে, আঘাত পে বাকি অংশ পড়ুন...
ছোটদের দুধ দাঁত নির্দিষ্ট সময় পর নড়ে গিয়ে পড়ে যায়, সেখানে স্থায়ী দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক হলেও যে কোন স্থায়ী দাঁত নড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। কোনো না কোনো অস্বাভাবিক কারণে স্থায়ী দাঁত নড়ে বা পড়ে যায়। কারও ৮০ বছর বয়সেও দাঁত মজবুত, কারও কম বয়সেই দাঁত নড়ে যায়। তাই দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য মুখের সঠিক পরিচর্যার নিয়মিত অনুশীলন অবশ্যক। সুস্থ দাঁত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম একটি শর্ত। অনেক কারণেই দাঁত নড়তে পারে।
কারণ
● সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করলে অথবা দাঁতের ফাঁকে খাবার বাকি অংশ পড়ুন...
কোরবানির ঈদ মানেই ভারি খাবারের আয়োজন। পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি থেকে শুরু করে গোশতের বাহারি সব পদ তো থাকেই। এ সময় হঠাৎ বেশি খাবার খেয়ে অসুস্থও হতে পারেন। তাই খাবার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা দরকার। সেইসাথে বেশি খাবার দাবারের বিষয়ে সতর্কও থাকা দরকার।
খাবারের পরিমাণ
সকল বয়সীদেরই খাবারের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। অনেকেই একসঙ্গে বেশি তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। পর্যাপ্ত পানি পান না করায় অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এ ক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। দিনের মূল খা বাকি অংশ পড়ুন...
কিডনি সম্পূর্ণ অকেজো বা বিকল হবার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করাকে ডায়ালাইসিস বলে। শরীরের দুটি কিডনিই যখন বিকল হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরে প্রতি মুহূর্তে বিপাক কার্যক্রম চলমান। এতে তৈরি হয় প্রচুর বর্জ্য পদার্থ। প্রতিদিন এসব বর্জ্য শরীর থেকে বের করে থাকে কিডনি। এর সঙ্গে মূত্র তৈরির মাধ্যমে শরীরে লবণ-পানির ভারসাম্য রক্ষায় ও রক্ত প্রস্তুতেও কিডনির রয়েছে ভূমিকা। রক্তকণিকা তৈরির জন্য অতি আবশ্যক ইরাইথ্রোপয়েটিন ও কোলসিট্রায়াল হরমোনও উৎপাদন করে। ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে রক্ত পরিষ্কার হ বাকি অংশ পড়ুন...
স্টেরয়েড হল হর্মোনের মতো একটি পদার্থ, যা বানানো হয় কৃত্রিম উপায়ে। স্টেরয়েড এক ধরনের ওষুধ যার শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক অ্যালার্জি ও অন্যান্য রোগে সংকটাপন্ন ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে ওষুধ হিসেবে অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি ও ফুসফুসের কিছু রোগ, পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যায় প্রভৃতি রোগে নির্দিষ্ট সময় ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধের অপব্যবহার আমাদের দেশে অনেক। ব্যথা, চুলকা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেকটি অপারেশনের পর সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা যায়। যার সমাধানও খুব সহজ আবার কিছু হতে পারে কঠিন। সেগুলো রোগীর এবং রোগীর লোকদের জানা থাকলে তা সহজভাবে ম্যানেজ করা যায়। বড় কোনো অস্ত্রোপচারের পর সেই ক্ষতস্থান বা সেলাইয়ের জায়গাটা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত দুর্বল থাকে। যদি এই দুর্বল ফাঁক দিয়ে কোনো কিছু বেরিয়ে আসে, তাকে বলা হয় ইনসিশনাল হার্নিয়া। শরীরের কোনো গঠনগত দুর্বল অংশ দিয়ে যদি ভেতরের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অংশ বেরিয়ে আসে, তাকে বলা হয় হার্নিয়া।
অস্ত্রোপচারের ধকলের সঙ্গে যদি হার্নিয়া হয়, তাহলে তা অনেক ভোগান্তির বাকি অংশ পড়ুন...
মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনি মূলত একটি ছাঁকনযন্ত্র। কিডনি রক্তে উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে সেগুলো দেহ থেকে বের করে দেয়। একটি অসুস্থ বা অকার্যকর কিডনির কারণে একজন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হন। এজন্য কিডনি সুস্থ রাখার জন্য সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
কিডনির প্রধান কাজগুলো হলো-
রক্তের পরিশোধন
কিডনি দেহের বিপাকের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো মূত্র সৃষ্টির মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দেয়, ফলে রক্ত বর্জ্যমুক্ত হয়ে পরিশোধিত হয়।
দেহে পানির সমতা বজা বাকি অংশ পড়ুন...
মুখগহ্বরের নানা রোগের মধ্যে আলসার বা ক্ষত অন্যতম। প্রায়ই জিহ্বা, ঠোঁট, মাড়ি, চোয়ালের ভেতরের অংশ বা তালুতে নানা ধরনের ঘাঁ বা ক্ষত হয় অনেকের। মুখের নানাবিধ আলসারের সঠিক কারণ জানা না গেলেও কয়েকটি বিষয় এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে ধূমপান, জর্দা, গুল ও মদ্যপান অন্যতম। এ ছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে:
১। জিহ্বা বা মুখ গহ্বরের ভেতরে কামড় বা ব্রাশের আঘাত।
২। ভাঙা দাঁত বা কৃত্রিম দাঁতের অমসৃণ অংশের ঘর্ষণে কেটে যাওয়া।
৩। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা।
৪। গর্ভাবস্থায়, বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তন।
৫। কিছু ওষুধ যেম বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিক রোগীরা একটু সমন্বয় করে ওষুধ সেবন করলে সুস্থভাবেই রোজা রাখতে পারেন। রোজা না রাখলে রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে রাতের খাবার এবং থেকে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নাস্তা করলে প্রায় ১২ ঘণ্টা না খেয়েই থাকা হয়। বলা যায় এটাও প্রায় রোজা রাখার সমান সময়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু নিয়ম মেনে ও সময় মতো খাবার খেতে হয়। তাই খাবারের সাথে একটু সমন্বয় করে ওষুধ সেবন করলে সুস্থভাবেই রোজা রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা।
রোজার আগেই ডায়াবেটিক পরীক্ষা
রোজা শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ঠিক করে নিতে হবে ডায়াব বাকি অংশ পড়ুন...
কাঁধের জোড়ার নিজস্ব সমস্যার বাইরেও শরীরের বিভিন্ন স্থানের সমস্যার কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের সমস্যায়, পিত্তথলির প্রদাহ বা প্রদাহের ক্ষেত্রে কিংবা ফুসফুসের সমস্যাতেও কাঁধে ব্যথা হয়। কাঁধে ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হলো আঘাত। সাধারণত যে কারণে ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে ফ্রোজেন শোল্ডার’ অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা। পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। পেশি, টেনডন, লিগামেন্ট- সবকিছুই আক্রান বাকি অংশ পড়ুন...
রোজায় সুস্বাস্থ্য ও খাবার-দাবার
সাহ্রি
সারা দিন রোজা রেখে সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য সাহ্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সাহ্রি খেতে চান না অথবা খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। সাহ্রি সারা দিনের কাজ করার শক্তি জোগায়। তাই সাহ্রিতে একটু সময় নিয়ে পরিমিত পরিমাণে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ অথবা গোশত খাওয়া যেতে পারে। ভাত, সবজি ও মাছ খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে সারা দিন সুন্দরভাবে রোজা রাখা যায়। অনেকেরই কফি পান করার অভ্যাস থাকে। তাই অ বাকি অংশ পড়ুন...












