সুওয়াল:
ছারছিনা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক পত্রিকা ৬০ বর্ষ ১লা সংখ্যা ১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিষেধাজ্ঞা না মেনে নাফরমান হয়ে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে বেয়াদবীমূলক উক্ত বক্তব্যের শরঈ ফায়ছালা জানতে ইচ্ছুক।
জাওয়াব: (৬ষ্ঠ অংশ)
প্রকৃতপক্ষে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ছহী বাকি অংশ পড়ুন...
কয়েকদিন পর হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার! রুটিগুলো কোথায়? উনাকে জবাব দেয়া হলো, রুটিগুলো রেখে দেয়া হয়েছে পাকের ঘরের তাকের মধ্যে। উনি বললেন, সর্বনাশ! রুটিগুলো নষ্ট করেছেন? রুটিগুলো মানুষকে দিয়ে দিন। তবে দেয়ার সময় বলে দিবেন, রুটির আটাগুলো হলো ইমাম ছাহেবের, আর লবণ হলো কাজী ছাহেবের। যখন ফকীর-মিসকীনকে বলা হলো, হে ব্যক্তি তুমি যে এটা নিতে এসেছ, এই রুটির আটাগুলো হলো ইমাম ছাহেবের, আর লবণ হলো কাজী ছাহেবের। ইমাম ছাহেব এটা গ্রহণ করেননি। ফকীর-মিসকীনও গ্রহন করলো না এটা। শেষ পর্যন্ত এটা নষ্ট হয়ে গেল। বাকি অংশ পড়ুন...
মূলতঃ তার তাকওয়ার কেন্দ্রবিন্দু কি?
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
اَلتَّقْوَى ههُنَا، وَأَشَارَ إِلَى صَدْرِهِ
তাকওয়া হলো সিনার মধ্যে অর্থাৎ ক্বলবের মধ্যে তাকওয়া। যেমন একটা মেছাল ধরেন, একটা লোক যদি বয়স্ক হয়, তার দাড়ি ওঠে। আঠার, বিশ বছর, বাইশ বছরে তার দাড়ি উঠে যায়। সে যদি দাড়ি কাটেও যদিও এটা গুনাহের কাজ, তবুও তার আবার দাড়ি উঠে যায়। একটা গাছ বড় হচ্ছে- ফুল গাছ, গোলাপ ফুল। প্রত্যেকদিন মানুষ গোলাপ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরের দিন আবার তার মধ্যে ফুল হয়। কারণ তার এটা উপযু বাকি অংশ পড়ুন...
যখন একথা বলা হলো, হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি মনে মনে ফিকির করলেন, এমন একটা মেয়েকে বিবাহ করে তার মাধ্যমে কোন খিদমত নেয়া কখনই সম্ভব হবে না। বরং তাকেই খিদমত করতে হবে। কিন্তু পরক্ষণেই ফিকির করলেন, যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকের জন্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক দরকার রয়েছে, যদি হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি ক্ষমা না করেন, তাহলে পরকালে জবাবদিহী করবেন কি করে? ইত্যাদি ইত্যাদি চিন্তা করে সম্মতি প্রকাশ করলেন, ঠিক আছে, যদ বাকি অংশ পড়ুন...
অনুরূপভাবে সূরা ত্ব-হা শরীফ উনার ১২১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষাংশে
وعصى ادم ربه فغوى
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তরজমা বর্ণনায় অনেকে বলে থাকে যে, হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম তিনি উনার পালনকর্তার আদেশ লঙ্ঘন করলেন, ফলে তিনি পথভ্রান্ত হয়ে গেলেন। নাউযুবিল্লাহ!
এ তরজমা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ হওয়ার কারণে প্রকাশ্য কুফরী। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হচ্ছে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উনারা পবিত্র ওহী ম বাকি অংশ পড়ুন...
আর এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হযরত ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে; আলিম কাকে বলা হয়? হাক্বীক্বী ফক্বীহ্ বা আল্লাহওয়ালা কাকে বলা হয়?
উনি জবাবে বলেছিলেন-
إِنَّمَا الْفَقِيهُ اَلزَّاهِدُ فِي الدُّنْيَا اَلرَّاغِبُ فِي الآخِرَةِ اَلْبَصِيرُ بِذَنْبِهِ، اَلْمُدَاوِمُ عَلَى عِبَادَةِ رَبِّهِ اَلْوَرِعُ اَلْكَافُّ عَنْ أَعْرَاضِ الْمُسْلِمِينَ، اَلْعَفِيفُ عَنْ أَمْوَالِهِمْ اَلنَّاصِحُ لِجَمَاعَتِهِمْ
জবাব দিয়েছিলেন-
إِنَّمَا الْفَقِيهُ
নিশ্চয় ফক্বীহ্ বা আল্লাহওয়ালা বা আলিম ঐ ব্যক্তি-
اَلزَّاهِدُ فِي الدُّنْيَا
যে দুনিয়া থেকে বিরাগ।
اَلرَّاغِبُ فِي الآخِرَةِ
যিনি পরকালের দ বাকি অংশ পড়ুন...
“নিশ্চয়ই যে সকল মহান ব্যক্তিত্ব-ব্যক্তিত্বা উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু, উনাদের কোনো ভয়ভীতি নেই এবং উনারা চিন্তিতও হবেন না। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৬২)
‘আউলিয়া’ শব্দটি ‘ওলী’ শব্দের বহুবচন। আরবী ভাষায় ‘ওলী’ শব্দের অর্থ: নিকটবর্তী এবং দোস্ত, বন্ধু- উভয়ই বুঝায়।
হযরত আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পার্থিব জীবনে ওলীআল্লাহগণ উনাদের ভয় ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা বলতে এই বুঝায় যে, পৃথিবীবাসী সাধারণতঃ যেসব ভয় ও দুশ্চিন্তার সম্মুখীন থাকে; আরাম-আয়েশ, মান-সম্ভ্রম, ধন-সম্পদ ইত্যাদির বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে তাক্বওয়া সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মানিত যিনি সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী বা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।” (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে বনী আদম! আপনাদের সতর ঢাকার এবং দেহের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্যে আমি পোশাক নাযিল করেছি। সম্মান বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ননা করেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় লক্বব মুবারক:মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনাকে আহ্বান মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার মহ বাকি অংশ পড়ুন...












