সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পুত-পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পুত-পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক বাকি অংশ পড়ুন...
ঠাট্টা-কৌতুক ও তা দূর করার উপায়
মানুষ আমোদ-প্রমোদ করতে গিয়ে কখনো কখনো একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা-কৌতুক করে থাকে, কিন্তু এতে প্রায়শ ঠাট্টাকৃত ব্যক্তির মনে ব্যথা লেগে সে ক্রোধান্বিত হয়। কাজেই এ ধরণের ঠাট্টা-কৌতুক থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ধরণের অহেতুক কাজে সময় নষ্ট না করে নিজেকে পারলৌকিক পাথেয় সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত রাখা অপরিহার্য। স্বাভাবিকভাবেই হাসি-তামাশা এবং ঠাট্টা-বিদ্রƒপ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রোধ উৎপাদনের কারণ ঘটায়। এ জন্যই অনিবার্যভাবে হাসি-তামাশা, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। প্রত্যেকেরই মনে রাখা উচিত যে, আমি যেরূপ অ বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের মধ্যে যতগুলো কুপ্রবৃত্তি আছে, লোভ তারমধ্যে একটি। লোভের শুরুতেই মানুষকে নানারূপ অপমান ও লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয় এবং পরিশেষে লজ্জার বোঝা ঘাড়ে বহন করতে হয়। আবার লোভ চরিতার্থ বা সফল না হলে সাথে সাথে তা থেকে আরো কতগুলো কুপ্রবৃত্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে। কেননা যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য লোভ করে, প্রথম থেকে তার সাথে চাটুবাক্য বলে তার মন ভুলাতে শুরু করে দেয় এবং নেফাক্বীমূলক আচরণ প্রদর্শন করতে থাকে। ধার্মিকতা বা সাধুগিরি দেখিয়ে তার প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা করে। সে ব্যক্তি ঘৃণা বা অবহেলা করলেও সে তা নির্বিবাদে সহ্য করে নেয় বাকি অংশ পড়ুন...
যারা নিজের ভাল-মন্দ কাজের মধ্যে তারতম্য করতে পারে না; বরং নিজের সব কাজই উত্তম বলে গর্বানুভব করে, তারা দ্বীনিপথে চলার কালে সর্বস্থলে বিপদাপন্ন হয়। এ কারণেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রোজ কিয়ামতে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বলবেন, আপনার সন্তানদের মধ্য থেকে জাহান্নামীদেরকে বেছে বের করুন। তিনি বলবেন, হে বারে ইলাহী! কতজনের মধ্যে কতজনকে বের করবো? মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জনকে বের করুন। অবশ্য এরা সবাই অনন্তকাল জাহা বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِّنَ الظَّنِّ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْـمٌ ۖ
অর্থ : “হে মু’মিনগণ! তোমরা অনেক ধারণা হতে বেঁচে থাক। নিশ্চয়ই কোন কোন ধারণা পাপজনক হয়ে থাকে।” (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
উদ্ধৃত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে অনেক ধারণা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে অর্থাৎ অনুমান করে ধারণা করা সম্মানিত শরীয়তসম্মত নয়। সেজন্যই বলা হয়েছে যে, কোন কোন ধারণা পাপ বা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرِتْ اَب বাকি অংশ পড়ুন...
মানব হৃদয়ের যাবতীয় আকাঙ্খার মধ্যে ভোজনাকাঙ্খা সবচেয়ে প্রবল। মূলত ভোজনাকাঙ্খাই মানুষের অন্যান্য সমস্ত আকাঙ্খার মূল। ভোজন দ্বারা উদর পরিতৃপ্ত হলেই কাম-রিপু প্রবল হয়ে উঠে। আর ভোজনাকাঙ্খা ও কাম উগ্রতাকে চরিতার্থ করতে হলে অর্থকড়ির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই প্রবৃত্তি দুটির সাথে সাথেই ধন সংগ্রহের লালসার উদয় হয়। ধনউপার্জন ও সঞ্চয়ের লক্ষ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তির লিপ্সাও জেগে উঠে। এরপর নিজেই সেই ধন-সম্পদ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি রক্ষার জন্য মানুষের সাথে বিবাদ-বিসম্বাদ এবং কলহ-কোন্দলে লিপ্ত হতে হয়। এই কলহ-কোন্দল থেকেই আবার পরস্পরের মধ্যে বাকি অংশ পড়ুন...
অধিক কথা বলার মধ্যে কোন বুযুর্গী ও সম্মান নেই। বরং প্রয়োজনীয় অল্প কথা বলার মধ্যে সম্মান নীহিত। যবান দ্বারা যা কিছুই বলা হয় তা এমনিতেই হওয়ায় উড়ে যায় না। তা আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ
অর্থ : “মানুষ যবান দ্বারা যা কিছুই বলে তা লিপিবদ্ধ রাখার জন্য তার কাছে প্রহরী নিযুক্ত রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ক্বাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)
অর্থাৎ যবান দ্বারা ভাল-মন্দ যা কিছুই বলা হোক অবশ্যই তার হিসাব নিকাশ হবে এবং তার সাথে ক্ষতি ও উপকারের বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। বাকি অংশ পড়ুন...
পার্থিব ধন-সম্পদ কিংবা দুনিয়াবী পদমর্যাদা প্রভৃতির জন্য আশা-আকাঙ্খা করা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দ্বীনি ইল্ম অর্জন, জিহাদে অংশগ্রহণ ইত্যাদি নেক কাজের আকাঙ্খা নিন্দনীয় নয়; বরং প্রশংসনীয়। অতএব বলা যায়, আশা-আকাঙ্খার ভাল-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। অত্র প্রবন্ধে কেবল মন্দ বা অবৈধ আকাঙ্খা সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে; যা প্রকৃতপক্ষে কাফির-মুশরিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন- এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
ذَرْهُمْ يَاْك বাকি অংশ পড়ুন...
নিফাক্ব থেকে মুনাফিক্ব শব্দটির উৎপত্তি। যার মধ্যে নিফাক্ব, নিফাক্বী বা মুনাফিক্বী আচরণ রয়েছে সেই মুনাফিক্ব। মুখে একটা আর অন্তরে আরেকটা এরূপ স্বভাবের অধিকারী ব্যক্তিকেই সাধারণত মুনাফিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুনাফিকের কাজ হলো ধোঁকা দেয়া বা প্রতারণা করা। মুনাফিক্ব দু’ শ্রেণীর হয়ে থাকে। ১. আক্বীদা বা বিশ্বাসের দিক দিয়ে মুনাফিক্ব। ২. আমল বা কর্মের দিক দিয়ে মুনাফিক্ব।
যারা আক্বীদার দিক দিয়ে মুনাফিক; এরা বাহ্যিকভাবে নিজেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুসারী বলে দাবী করে, কিন্তু আন্তরিকভাবে কুফরীকে লালন করে। এরা কাফির অথবা বাকি অংশ পড়ুন...












