যারা দু‘আর মধ্যে দরূদ শরীফ পাঠ করে না তাদের দু‘আ কবুল হয় না:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهَ صلى الله عليه وسلم عَجِلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّي إِذَا صَلَّيْتَ فَقَعَدْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَصَلِّ عَلَىَّ ثُمَّ ادْعُهُ. قَالَ ثُمَّ صَلَّى رَجُلٌ آخَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّهَا الْمُصَلِّي ادْعُ تُجَبْ
অর্থ: “হযরত ফাযালাহ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আপনায় দেখিবার আরজি সীমাহীন
ইয়া রাসূলাল্লাহ
মুর্শিদী উছিলায় একবার দেখা দিন
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
দিদারের পিপাসায় হৃদয় যে আমার
মরু কারবালা
সারাদিন শুধু যে আপনার অপেক্ষা
ইয়া হাবীবাল্লাহ
আধার এই জিন্দেগী নূরের পরশে
করুন উজালা
মুবারক শাফায়াত চাইছি অভাগা
ইয়া শাফিয়াল্লাহ
পাপিষ্ঠ জবানে খুবই বে-মানান
পাক দরূদ মালা
তবুও শির ঝুকিয়ে দিচ্ছি সালাম
ছলাওয়াতুল্লাহ
একান্ত সাক্ষাতের হবে কি সুযোগ
কাঁদছি নিরালা
গরীবের ভাঙা দিলে হাত বুলায় দিন
ইয়া হাদীয়াল্লাহ
অসংখ্য অশ্রুতে আবদার করি পেশ
আখেরী বেলা
কদমে অধমে আপন করে নিন
ইয়া মেরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
সংক্ষেপে পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার কারণে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কীকরণ:
আল ক্বওলুল বদী’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت إبراهيم النسفي رحمة الله عليه قال رأيت النبي صلى الله عليه وسلم- في المنام كأنه منقبض مني فمددت يدي إليه ثم قبلتا يده وقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا من اصحاب الحديث ومن أهل السنة وأنا غريب فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم- وقال إذا صليت علي لم لا تسلم فصرت بعد ذلك إذا كتبت صلى الله عليه كتبت وسلم
অর্থ: “হযরত ইবরাহীম নাসাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
২১. এমন বাক্য দ্বারা দু‘আ করা যা ছোট হলেও ব্যাপক অর্থবহ। অর্থাৎ যেই বাক্যের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে সে সমস্ত বাক্য দ্বারা দু‘আ করা।
২২. চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সাথে দু‘আ করা। দু‘আর সময় হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
২৩. গানের মত সুর করে দু‘আ না করা। সম্মানিত শরীয়তে এ ধরণের দু‘আ করার কোন ভিত্তি নেই।
২৪. সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্য দু‘আ না করা।
২৫. দু‘আর সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রহমত-দয়া মুবারক উনার আরজী করে দু‘আ করা।
২৬. দু‘আ কবুল হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
সংক্ষেপে দুরূদ শরীফ লেখা চরম বেয়াদবী:
এমনকি কেউ যদি দুরূদ শরীফ লেখতে গাফলতি করে এটা কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যেমন- ‘হাশিয়াতুত্ব ত্বাহত্বাহবী আলাদ দুররিল মুখতার’ কিতাবে ‘তাতারখানীয়া’ কিতাবের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে-
من کتب علیه السلام بالهمزة والمیم یکفر لانه تخفیف و تخفیف الانبیاء کفر بلا شك
অর্থ: “যে ব্যক্তি আলাইহিস সালাম কে হামযা ও মীম দ্বারা লিখলো সে কুফরী করলো। কেননা এটা হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল। আর হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা সন্দেহাতীতভাবে কুফরী। ” নাঊযুবিল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করো। ” মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাস্ বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
১. দু‘আ বা মুনাজাতকারীর পানাহার, লিবাস-পোশাক হারাম ও অবৈধ উপার্জন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তার উপার্জনের মধ্যে কোন প্রকার হারাম মিশ্রিত হতে পারবে না। অর্থাৎ তার সকল রিযিক হালাল পন্থায় উপার্জিত হতে হবে। কেননা, হারাম ভক্ষণকারীর দু‘আ ও ইবাদত মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেন না।
২. অত্যন্ত ইখলাস ও খুলূছিয়তের সাথে দু‘আ করতে হবে।
৩. দু‘আ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে খালিছভাবে রুজু থাকতে হবে। রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দু‘আ করা যাবে না।
৪. দু‘আ করার পূর্বে কোন নেক কাজ করা উত্তম। অর্থাৎ পবিত্র মীল বাকি অংশ পড়ুন...












