পবিত্র সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায
পবিত্র জুমু‘আহর দিন ৪ রাকাত পবিত্র বা’দাল জুমুআহ্ নামায আদায় করার পর ২ রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করতে হয়। যাকে সুন্নাতুল ওয়াক্ত বা ওয়াক্তিয়া সুন্নাত নামায বলা হয়। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ السُّلَمِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنَا حَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنْ نُّصَلِّىَ بَعْدَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْنَا سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَلِىُّ بْنُ اَبِىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَّمَنَا اَنْ نُّصَلِّىَ سِتًّا
অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র ছলাত বা নামায মু’মিনদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ে’।
পবিত্র ছলাত বা নামায সম্মানিত শরীয়ত উনার একটি বুনিয়াদী ফরয ইবাদত। সুবহানাল্লাহ! যা ইহকালে গুনাহখতা ক্ষমা করার ও পরকালে জান্নাত অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার একটি অন্যতম মাধ্যম।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত পবিত্র ছল বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা ছহীহ সনদেই বর্ণিত রয়েছে-
وَرُوِىَ عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّى قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকায়াত নামায পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রায্যাক ৩/২৪৭; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৪৬৩ এবং ২/১৩১, শরহুস সুন্নাহ ৩/৪৫০, উমদাতুল ক্বারী ১১/৪০৯, তুহফাতুল আহওয়াজী ২/৬২, শরহু আবী দাঊদ লিল আইনী ৪/৪৭১, আওনুল মা’বূদ ৩/৪৭৭, মুখতাছারুল আহকাম ৩/৪৩ বাকি অংশ পড়ুন...
তাইয়াম্মুমের জরুরী মাসায়িল
১. মাটিতে কোনো নাজাসাত পতিত হয়ে তা যদি শুকিয়ে যায় এবং দুর্গন্ধও চলে যায়, তবে উক্ত মাটি পাক এবং তার উপর নামায পড়া জায়িয হবে। কিন্তু সেই মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয হবে না।
২. যদি কোনো স্থানে কাদা বা ভিজা মাটি ব্যতীত অন্য কোনো জিনিস না পাওয়া যায়, তবে তা কাপড়ে বা শরীরে মেখে, শুকানোর পর উক্ত মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম করাই উত্তম যদিও কাদা মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয রয়েছে।
আর যদি নামাযের ওয়াক্ত ফউত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে কাদা মাটি দ্বারাই তাইয়াম্মুম করে নামায আদায় করতে হবে, নামায ক্বাযা করা যাবে না।
৩. বন্ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত পর্বের পর)
সেই রাত্রে ঐ কাজী সাহেব
স্বপ্নে দেখতেছে, সে জান্নাতে গেছে। জান্নাতে গিয়ে দেখতেছে সেখানে অনেকগুলি বড় বড়
বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। সেখানে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও আছেন। সেই
কাজী সাহেব জিজ্ঞাসা করতেছে এখানে কি করা হচ্ছে? এখানে বড় বড় জান্নাতী বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। কাদের জন্য? এটা মুসলমানদের জন্য। তখন
কাজী সাহেব সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার কাছে গেলো। গিয়ে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাব বাকি অংশ পড়ুন...
শাতিম রাজপাল:
১৯২৯ সালের ৩১ অক্টোবর গাজী ইলমুদ্দীনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি এখন গাজী থেকে শহীদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। মিয়ানওয়ালিতে উনাকে দাফন করা হয় যদিও মুসলমানগণ উনার লাশকে লাহোরে দাফন করতে চেয়েছিলেন। ব্রিটিশ বেনিয়ারা ভয় পেয়েছিলো যে, এটা একধরনের উত্তেজনা তৈরি করবে যা হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা তৈরি করতে পারে। আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল এবং মিয়া আবদুল আযীয লাশ লাহোরে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
এরপর তার দেহ কবর থেকে ১৫ দিন পর তুলে আনা হয়। কিন্তু লাশে কোনো পচন ধরেনি; বরং চাঁদের আলোর ন্যায় জ্বলজ্বল করছিলো। দুই বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম
উনাদের আমল মুবারক
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
শুধু এতটুকুই নয়; হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অন্যদেরকেও ৪ রাকাত ‘ক্বাবলাল জুমু‘আহ এবং ৪ রাকাত বা’দাল জুমু‘আহ’ নামায পড়ার জন্য আদেশ মুবারকও করতেন।
যেমন বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ السُّلَمِىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كَانَ حَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَأْمُرُنَا أَنْ نُّصَلِّىَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আবূ আব্দুর রহমান আস সুলামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
মাটির ঘড়া-মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র মুবারক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো কখনো মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র মুবারক ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ মাটির পাত্রে খাদ্য খাওয়া ও পানীয় পান করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
মাটির পাত্র ব্যবহার সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَت سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ رضي الله عنه أَنَّ أَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ رضي الله عنه دَعَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عُرْسِهِ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ خَادِمَهُمْ يَوْمَئِذٍ، وَهِيَ الْعَرُوسُ، فَقَالَتْ أَ বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। কেননা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং উনাকে দেখে দেখে আমল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একারণেই উনাদেরকে বানানো হয়েছে সত্যের মাপকাঠি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا اٰمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনতে পারো, তাহলে তো বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জুমু’আহ উনার নামাযের খুতবাতে, পবিত্র ঈদ উনার খুতবাতে লাঠি ব্যবহার করা আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যারা খুতবার সময় লাঠি ব্যবহার করা বিদ্য়াত বা মাকরূহ্ বলে থাকে, তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভ্রান্ত।
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দেয়ার সময় লাঠি মুবারক ব্যবহার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে-
إِنَّ النَّبِي বাকি অংশ পড়ুন...












