যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের খুছূছিয়ত মুবারক সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা মুবারক করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য ও অগণিত নিয়ামত মুবারকের মধ্যে কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের খুছূছিয়ত মুবারক, বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক কর বাকি অংশ পড়ুন...
কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ اَلَّذِىْ اِذَا اَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهٗ كَشَفَهٗ عَنْكَ وَاِنْ اَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهٗ اَنْـبَـتَـهَا لَكَ وَاِذَا كُنْتَ بِاَرْضٍ قَـفْرٍ اَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَـتُكَ فَدَعَوْتَهٗ رَدَّهَا عَلَـيْكَ.
‘আমি ঐ মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে, দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হও তখন তুমি উনার নিকট দোয়া করলে তিনি তোমার বিপদ-আপদ, দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দেন। যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি উ বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে এক নিকৃষ্ট লোক সে বদ আক্বীদা পোষণ করায় তার শাস্তি স্বরূপ তাকে ক্বতল করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়-
قَالَقَاضِيَ الْقُضَاةِ: كُنْتُ يَوْمًا بِحَضْرَةِ الْحَسَنِ بْنِزَيْدٍ الدَّاعِي بِطَبَرِسْتَانَ، وَكَانَ يَلْبَسُ الصُّوفَ، وَيَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ، وَيَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيُوَجِّهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ بِعِشْرِينَ أَلْفَ دِينَارٍ إِلَى مَدِينَةِ السَّلَامِ تُفَرَّقُ عَلَى صَغَائِرِ وَلَدِ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ بِحَضْرَتِهِ رَجُلٌ ذَكَرَ عَائِشَةَ بِذِكْرٍ قَبِيحٍ مِنَ الْفَاحِشَةِ, فَقَالَ: يَا غُلَامُ اضْرِبْ عُنُقَهُ، فَقَالَ لَهُ الْ বাকি অংশ পড়ুন...
২. سَبِيْل (সাবীল): শব্দটি মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই সাবীল শব্দ উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- পথ, চলার পথ, পন্থা, রাস্তা, মাযহাব, পদ্ধতি, শরীয়ত, নিয়ম-নীতি, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ ইত্যাদি। আর পারিভাষিক দৃষ্টিতেও সাবীল শব্দটি মাযহাব শব্দের মতোই অর্থ প্রদান করে।
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
(২১৩)
وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ.
অর্থ: আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করেন, তাহলে তারা আপনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ’ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সমস্ত ইজ্জত-সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং উনার যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ أَحَقُّ أَنْ يُّرْضُوْهُ إِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
رِضْوَانٌ مِّنَ اللهِ أَكْبَرُ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকই হচ্ছেন সবচেয়ে অর্থাৎ মহা বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা নেককার উম্মত হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক যদি কেউ ইখতিয়ার করে সে কত বেমেছাল ফযীলত, বুযুর্গী, সম্মান মুবারক হাছিল করবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ بَـهْذِ بْنِ حَكِيْمٍ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنِ اسْتَقْبَلَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ اِسْتَقْبَلَنِىْ وَمَنْ زَارَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ زَا বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বলা হয়, খইরুত তাবিয়ীন হযরত ওয়ায়িছ আল ক্বরনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اِنَّ خَيْرَ التَّابِعِيْنَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهٗ وَائِسٌ وَلَهٗ وَالِدَةٌ كَانَ بِهٖ بَيَاضٌ فَمُرُوْهُ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ.
অর্থ : হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব ম বাকি অংশ পড়ুন...












