মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
উল্লেখ্য যে, ইহুদী হুয়াই ইবনে আখতাব সে কা’ব ইবনে আসাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলো। কুরাইশ কাফির মুশরিক ও গাতফানরা চলে যাওয়ার পর কা’ব ইবনে আসাদ সে বনূ কুরাইজার সাথে তাদের দুর্গে ঠাঁই নেয়। বনূ কুরাইজা যখন বুঝে ফেললো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে ধ্বংস না করে ফিরবেন না। তখন কা’ব ইবনে আসাদ তাদের লক্ষ্য করে বললো, “হে ইহুদী সম্প্রদায়! আজ তোমরা যে অবস্থার সম্মুখীন হয়েছো, তাতো তোমরা দেখতেই পাচ্ছো। আমি তোমাদের সামনে বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আনছার মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন ‘হযরত উম্মু উমারাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা’। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ‘বনূ নাজ্জার গোত্রে’ বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তিনি আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াতের সময় সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি উহুদ, হুদায়বিয়াহ্, খাইবার, উমারাতুল কা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنِ حضرت ابْنِ عُمَرَ رضى الله تعالى عنه، قَالَ قَالَ رسول الله صلى الله عليه وسلم لَنَا لَمَّا رَجَعَ مِنَ الأَحْزَابِ "لاَ يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلاَّ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ".فَأَدْرَكَ بَعْضُهُمُ الْعَصْرَ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ نُصَلِّي حَتَّى نَأْتِيَهَا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ بَلْ نُصَلِّي لَمْ يُرَدْ مِنَّا ذَلِكَ. فَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنْهُمْ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীব বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত গৃহবাসীদেরকে সালাম না দাও এবং অনুমতি না পাও । এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা স্মরণ রাখ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
উপরোক্ত আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলকেই যে কোন কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অর বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত গৃহবাসীদেরকে সালাম না দাও এবং অনুমতি না পাও । এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা স্মরণ রাখ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
উপরোক্ত আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলকেই যে কোন কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অর বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
এ সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ ‘সীরাতে ইবনে হিশামে’ উল্লেখ রয়েছে, হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত পতাকা মুবারক নিয়ে বনূ কুরাইজার দিকে আগেই পাঠিয়ে দিলেন। বাকি যারা হযরত মুজাহিদ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ছিলেন উনারাও সকলে উক্ত জিহাদ মুবারকে দ্রুত রওয়ানা হলেন। সা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির, মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু। কাজেই সম্মানিত দ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫৯তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১৯তম বছর, মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৬ষ্ঠ ও ৭ম বছর):
খন্দকের জিহাদ মুবরাক: তারপর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে খন্দকের মূল সম্মানিত জিহাদ মুবরাক হয়। ‘খন্দক’ শব্দের অর্থ পরিখা বা গর্ত। যেহেতু এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৩ দিকে দীর্ঘ খন্দক বা পরিখা খনন করা হয়েছিল, তাই এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনাকে ‘খন্দকের জিহাদ’ বলা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫৪তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১৪তম বছর, মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ১ম বছর):
* মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে নববী শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ নির্মাণ করা হয়। এর পূর্ব পর্যন্ত ৬ মাস নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ আইয়ূব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাড়ি মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন।
* এ বৎসরই আযান ও ইক্বামত শুরু হয়।
* এ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৬তম বৎসর মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক:
এ বৎসরের শুরুর দিকের কথা- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার ‘হযরত নাফিসাহ্ বিনতু মুনীয়াহ্ বা মানিয়াহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা’ নামে একজন খাছ খাদিমা ছিলেন। তিনি উনার সেই খাছ খাদিমার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব মুবারক পেশ কর বাকি অংশ পড়ুন...












