নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের জন্য সর্বাবস্থায় অনুসরণীয়। কাজেই, নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দেগী, ওযূ-গোসল, তায়াম্মুম, ইস্তিঞ্জা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজার-সদাইসহ যাবতীয় বিষয়ে তিনি অনুসরণীয়। উনাকেই সব বিষয়ে অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন লজ্জাবোধ করা যাবে না এবং হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। আজকে, আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, “ইস্তিঞ্জার মাসয়ালা-মাসায়িল ও ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক” এ সম্পর্কে।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ বাকি অংশ পড়ুন...
ঝগড়া-বিবাদ খুবই ন্যাক্কারজনক ও খারাপ কাজ। নিজের হক্ব ও অধিকার রক্ষা ও লাভের জন্য ন্যায় পন্থায় বিবাদ করা দুরস্ত থাকলেও বিবাদ পরিহার করে চলা সর্বাবস্থায়ই উত্তম। ঝগড়া-বিবাদ করলে কথায় কথায় অশ্লীল, গালিগালাজ ও কটুবাক্য এসে যায় এবং মনের ভিতরে ঘৃণা বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভয়াবহ পরিণামেরও সম্মুখীন হতে হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوا فَاَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ۖ فَاِنْ بَغَتْ اِحْدَاهُـمَا عَلَى الْاُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْءَ اِلٰى اَمْرِ اللهِ ۚ فَاِنْ فَاءَتْ فَاَصْلِحُ বাকি অংশ পড়ুন...
অত্র দশখানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো এতে কি বলা হয়েছে? মুসলমানরা কি শিখলো। এজন্য বিভিন্ন কিতাবাদিতে দেখা যায়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নাম মুবারক কিতাবের শেষে নামকাওয়াস্তে লেখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের শান-মান মানুষ উপলব্ধি করতে পারেনি। কাজেই উনাদের শান-মান বেমেছাল যা জিন-ইনসানের চিন্তা-ফিকিরের উর্র্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! আর যারা উনাদের শান-মান নিয়ে চু-চেরা, কীল-কাল করবে সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে এবং সে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আখাছ্ছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ৫ যিলহজ্জ শরীফের পর)
মহান মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি যা আদেশ করবেন তা নির্দ্বিধায় পালন করবে। এটাই মুরীদের জন্য কল্যাণকর। সে সম্পর্কে আরো একটি ওয়াকেয়া রয়েছে।
হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন মুরীদ ছিলেন। তিনি একাধারে একই স্থানে চল্লিশ দিন করে চল্লিশবার নির্জনে ইবাদত করেছিলেন। চল্লিশবার হজ্জ আদায় করেছিলেন। একাধারে চল্লিশ বছর সারা রাত ইবাদতে লিপ্ত ছিলেন। একবার উক্ত মুরীদ হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকটে আবেদন জানালেন, হুজুর! আমি আপনার নির্দেশ অনুযায়ী দীর্ঘ চল্লিশ বছর ইবাদত-বন্দেগী করলাম; কিন বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করা মহাপাপ।’ (কিমিয়ায়ে সা’য়াদাত)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘উত্তম ধারণা হচ্ছে উত্তম ইবাদত।’ সুবহানাল্লাহ!
একজন দরবেশ লোক বহু ইবাদত করেছে বলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, অপরাপর লোককে তুচ্ছ জ্ঞানে ঘৃনা করে তাদের প্রতি বদগুমান (খারাপ ধারণা) রাখে। নাউযুবিল্লাহ! আর এক ব্যক্তি অপর একজন মুসলমান ভাইকে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ধারণা করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূর বাকি অংশ পড়ুন...
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সব
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহা বাকি অংশ পড়ুন...












