কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, ‘সম্মানিত যমযম কূপ মুবারক খনন করার সময় কুরাইশদের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিবাদ হয়েছিলো, তার প্রেক্ষিতে তিনি মানত করেছিলেন, যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে দশ জন আওলাদ (পুত্র সন্তান) দান করেন, তাহলে উনাদের একজনকে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিকটে কুরবানী করবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ইচ্ছা মুবারক পূরণ করলেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক রজনী মুবারকে কা’বা শরীফ উনার নিকটে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি স্বপ্ন মুবারকে বাকি অংশ পড়ুন...
মূলকথা হলো- পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ অর্থাৎ পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ। যা কায়িনাতবাসী সকলের জন্য খুশি মুবারক প্রকাশের দিন। এ উপলক্ষে সকলের জন্য র্কতব্য হচ্ছে- উক্ত মুবারক দিনে খুশি প্রকাশ করে সাধ্যমতো হাদিয়া পেশ করা, গোসল করা, ভালো খাওয়া, বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা ও পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা। এর সাথে সাথে দান-ছদক্বা করা। আর বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ মুবারক দিন উপলক্ষে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
‘পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ’ উনার প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুছূছিয়ত মুবারক বর্ণনা করেন তথা উনার ইল্ম মুবারক সম্পর্কে সমস্ত ক্বায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি মুত্তালা’ আলাল গইব অর্থাৎ ইলমে গইব উনার অধিকারী। যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব ‘মুসলিম শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আমাকে সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘মাদারিজুন নুবুওয়াত শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে সবসময় মেশক ও আম্বরের সুগন্ধি বের হতো। ” সুবহানাল্লাহ!
‘মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
وكان عبد المطلب يفوح منه رائحة المسك الاذفر،
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে মেশকের প্রবল সুগন্ধি মুবারক বিচ্ছুরিত হতো। ” সুবহা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাবযাওয়ারে অবস্থান:
অতঃপর ইয়াদগারে মুহম্মদ ও তার সঙ্গীরা সকলেই বাইয়াত গ্রহণ করার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাদেরকে বাইয়াত করিয়ে নিলেন।
ইয়াদগারে মোহাম্মদ মুরীদ হওয়ার পর তার সমুদয় সম্পদ ও আসবাবপত্রের এক বিশাল তালিকা প্রস্তুত করতঃ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলো। তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেন। এ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَقَالَ بَعْضُ الصَّالِـحِـيْـنَ كَانَ شَيْخِىْ لَهٗ عَادَةً كُلَّ عَامٍ يَـقْـرَاُ قِصَّةَ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ وَيـَحْـتَـفِـلُ فِـيْـهِ اِحْـتِـفَالًا عَظِـيْمًا فَجَاءَتْ سَنَةُ اِحْدٰى وَسِتِّـيْـنَ وَثَـلَاثـِـمِائَةٍ وَّاَلْفٍ بَـلَغَ فِـيْهَا شُـنْـبُـلُ الْـحِـنْطَةِ سَبْعِـيْـنَ لِـيْـرَةً سُوْرِيَّـةً وَحَصَلَ فِـيْهَا كَـرْبٌ عَظِـيْـمٌ لِـبَعْضِ النَّاسِ فَلَمَّا جَاءَ وَقْتُ اِقَامَةِ حَفْلَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ صَارَ شَيْخِـىْ يَسْتَعِدُّ لَـهَا فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَـيْتَ الشَّـيْخَ هٰذِهِ الدَّرَاهِمَ الَّذِىْ يُرِيْدُ اَنْ يُّـنْفِقَهَا عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ يُـنْفِقُهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنِ كَانَ اَفْضَلُ فَبَلَغَ شَيْخِىْ هٰذ বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানীর গোশত বণ্টনের নিয়ম:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يَسْتَحِبُّ التَّصَرُّفُ ثُلُثٌ لِنَفْسِه ثُلُثٌ هَدْيَةٌ ثُلُثٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ اِنْ كَانَتْ تَطَوُّعًا فَاِنْ كَانَتْ وَصِيَّةً يَتَصَدَّقُ بِجَمِيْعِهَا
অর্থ: কুরবানীকৃত পশুর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য আর আরেক ভাগ গরিব-মিসকীনদের জন্য বণ্টন করা মুস্তাহাব সুন্নত; যদি কুরবানী নফল বা ওয়াজিব হয়। আর যদি কুরবানী মানতের হয় তাহলে পুরোটাই গরিব-মিসকীনদেরকে দান করে দিবে”।
উল্লেখ্য, কুরবানীদাতার সামর্থ্য থাকলে এভাবে গোশত বণ্টন করবে। অন্যথায় ঈদের দিনস বাকি অংশ পড়ুন...
প্রসঙ্গত, কিতাবে একটি ওয়াকিয়া বর্ণিত আছে, পূর্ববর্তী যামানায় এক ব্যক্তি ছিল, যে মোটামুটি স্বচ্ছল ছিল। সে কুরবানী না করে কুরবানীর টাকা গরীব-মিসকীনদেরকে দিয়ে দিত। ঐ ব্যক্তি একদিন স্বপ্নে দেখল, ক্বিয়ামত সংঘটিত হয়ে গেছে এবং জান্নাত-জাহান্নামের ফায়ছালাও হয়ে গেছে। পুলছিরাত পার হয়ে যারা জান্নাতী উনারা জান্নাতে চলে যাবেন, আর যারা জাহান্নামী তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। দেখা গেল, একটি করে বাহন আসলো এবং সেই বাহনে চড়ে অনেকে পুলছিরাত পার হয়ে গেল। কিন্তু ঐ লোকের কোনো বাহন আসল না। জিজ্ঞাসা করা হল, তার বাহন কোথায়? বলা হল, তার কোন বাহন নেই বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَقَالَ بَعْضُ الصَّالِـحِـيْـنَ كَانَ شَيْخِىْ لَهٗ عَادَةً كُلَّ عَامٍ يَـقْـرَاُ قِصَّةَ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ وَيـَحْـتَـفِـلُ فِـيْـهِ اِحْـتِـفَالًا عَظِـيْمًا فَجَاءَتْ سَنَةُ اِحْدٰى وَسِتِّـيْـنَ وَثَـلَاثـِـمِائَةٍ وَّاَلْفٍ بَـلَغَ فِـيْهَا شُـنْـبُـلُ الْـحِـنْطَةِ سَبْعِـيْـنَ لِـيْـرَةً سُوْرِيَّـةً وَحَصَلَ فِـيْهَا كَـرْبٌ عَظِـيْـمٌ لِـبَعْضِ النَّاسِ فَلَمَّا جَاءَ وَقْتُ اِقَامَةِ حَفْلَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ صَارَ شَيْخِـىْ يَسْتَعِدُّ لَـهَا فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَـيْتَ الشَّـيْخَ هٰذِهِ الدَّرَاهِمَ الَّذِىْ يُرِيْدُ اَنْ يُّـنْفِقَهَا عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ يُـنْفِقُهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنِ كَانَ اَفْضَلُ فَبَلَغَ شَيْخِىْ هٰذ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন যে, ‘সম্মানিত যমযম কূপ মুবারক খনন করার সময় কুরাইশদের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বিবাদ হয়েছিলো, তার প্রেক্ষিতে তিনি সম্মানিত মানত মুবারক করেছিলেন যে, যদি উনার দশ জন সম্মানিত আওলাদ (পুত্র সন্তান) আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং প্রাপ্ত বয়স মুবারক-এ উপনীত হয়ে উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার উপযুক্ত হন, তাহলে উনাদের একজনকে মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে মহাসম্মানিত ও বাকি অংশ পড়ুন...












