পূর্বের পর্বগুলোতে সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত। কোনো হক্ব তালাশী ব্যক্তির বুঝার জন্য যেটা যথেষ্ট। এ পর্বে পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
৪ রাকায়াত পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম:
পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়াই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যেমন এ বিষয়ে বুখারী শরীফের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে’ উল্লেখ রয়েছে-
وأكثر العلماء على أنها سنة راتبة منهم الأوزاعي والثوري وأبو حنيفة رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وأصحابه وهو ظاهر كلام أحمد رَحْـ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ফুজায়েল বিন আয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি একটা সময় ডাকাত সর্দার ছিলেন। তিনি তওবা করলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হলেন, তিনি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হয়ে গেলেন। একদিন হযরত ফুজায়েল বিন আয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ইশার নামাযের ওযূ করলেন। ওযূ করার সময় প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার ধোয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবরক উনার অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু তিনি তিনবার ধোয়ার জায়গায় ভুলে হাত ধোয়ার সময় দু’বার ধুয়ে ওযূ করে পবিত্র ইশার নামায পড়ে শুয়ে রইলেন।
শোয়ার সাথে সাথে তিনি স্বপ্নে দেখতে লাগলেন- মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ إبْرَاهِيمَ النَّخَعِيّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ১/৪৬৩, শরহে আবূ দাঊদ লিল আইনি ৪/৪৭১, ত্বরহুত তাছরীব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ فِيْهِ وُلِدْتُ وَفِيْهِ اُنْزِلَ عَلَىَّ.
অর্থ: “হযরত আবূ ক্বাতাদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা মুবারক রাখার ব্যাপারে সুওয়াল মুবারক করা হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ওই দিন আমি পব বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল মুবারক:
যেমন বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِسَلَامٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে ৪ রাকায়াত নামায পড়তেন। মাঝে পৃথক হতেন না অর্থাৎ এক সালামে ৪ রাকায়াত পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরহু মা‘য়ানিইল আছার ১/৩৩৫, ত্বহাবী শরীফ)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وروى حَضْرَتْ ا বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা ছহীহ সনদেই বর্ণিত রয়েছে-
وَرُوِىَ عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّى قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকায়াত নামায পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রায্যাক ৩/২৪৭; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৪৬৩ এবং ২/১৩১, শরহুস সুন্নাহ ৩/৪৫০, উমদাতুল ক্বারী ১১/৪০৯, তুহফাতুল আহওয়াজী ২/৬২, শরহু আবী দাঊদ লিল আইনী ৪/৪৭১, আওনুল মা’বূদ ৩/৪৭৭, মুখতাছারুল আহকাম ৩/৪৩ বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। কেননা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং উনাকে দেখে দেখে আমল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একারণেই উনাদেরকে বানানো হয়েছে সত্যের মাপকাঠি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا اٰمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনতে পারো, তাহলে তো বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ফাতিহাতুল কিতাব’ ও ‘উম্মুল কুরআন’ এ উভয় নাম মুবারকে সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে এ কারণে যে, সূরাটি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মূল। এ সূরা মু বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান আলাইহাস সালাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের উমাইয়া শাখার অন্তর্ভুক্ত। হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মেয়ের নাম, সেজন্য হযরত উম্মে হাবীবা আলাইহাস সালাম এই কুনিয়াত মুবারকেই তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। উনার প্রকৃত নাম মুবারক ছিল হযরত রমলা আলাইহাস সালাম। উনার পিতা হযরত আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কুরাঈশ নেতা ছিলেন।
হযরত আবু সুফিয়ান রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...












