فَأُفّ لِلِحْيَانَ عَلَى كُلّ حَالِهِ ... عَلَى ذِكْرِهِمْ فِي الذّكْرِ كُلّ عِفَاءِ
ধিক্কার সর্বাবস্থায় বানূ লিহ্ইয়ানের জন্য, ইতিহাসের পাতা হতে তাদের স্মৃতি মুছে যাক।
قَبِيلَةٌ بِاللّؤْمِ وَالْغَدْرِ تَغْتَرِي ... فَلَمْ تَمَسّ يَخْفِي لَوْمُهَا بِخِفَاءِ
এরা একটি নীচাশয় গোত্র, যারা বিশ্বাসঘাতকতায় একে অপরকে উৎসাহ যোগায়। নাউযুবিল্লাহ! ফলে তাদের নীচতা আর মোটেই গোপন থাকে না।
فَلَوْ قُتِلُوا لَمْ تُوفِ مِنْهُ دِمَاؤُهُمْ ... بَلَى إن قَتْلَ الْقَاتِلِيهِ شِفَائِي
তাদের সকলকে যদি হত্যা করা হয়, তবুও তাদের সকলের রক্ত দ্বারা উনার পবিত্র রক্তের ক্ষতিপূরণ হবে না। হ্যাঁ, সেই ঘাতকদের হত্যা করতে পারলে আমার অন্ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যুহাইর ইবনে আগার ও জামি’ হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বিক্রি করেছিল। তারা উভয়ে হুযাইল গোত্রের লোক ছিলো।
হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরো বলেন-
إنْ سَرّك الْغَدْرُ صِرْفًا لَا مِزَاجَ لَهُ ... فَأْتِ الرّجِيعَ فَسَلْ عَنْ دَارِ لِحْيَانَ
তোমার অন্তর নিখাঁদ গাদ্দারীতে ভর্তি। (সেখানে প্রতিশ্রুতি পালনের লেশমাত্রও নেই) তুমি রাজী’ অঞ্চলে যাও এবং লিহ্ইয়ান গোত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো।
قَوْمٌ تَوَاصَوْا بِأَكْلِ الْجَارِ بَيْنَهُمْ ... فَالْكَلْبُ وَالْقِرْدُ الْإِنْسَانُ مِثْلَانِ
ওরা এমন এক সম্প্রদায় যে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশে ক্রন্দন করে আরও বলেন-
يَا عَيْنُ جُودِي بِدُفَعِ مِنْك مُنْسَكِبِ ... وَأَبْكِي حَضْرَتْ خُبَيْبًا رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ مَعَ الْفَتَيَانِ لَمْ يَؤُبْ صَقْرًا تَوَسّطَ فِي الْأَنْصَارِ مَنْصِبَهُ ... سَمْحَ السّجِيّةِ مَحْضًا غَيْرَ مُؤْتَشِبِ
হে চোখ! অশ্রু বহাও অবিশ্রান্ত ধারায়। হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য কাঁদো, মর্যাদায় তিনি ছিলেন হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন শুনলেন, কাফির মুশরিকরা উনাকে শূলবিদ্ধ করতে সমবেত হচ্ছে তখন তিনি যে কবিতার পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেছিলেন তা নি¤েœ উল্লেখ করা হলো-
لَقَدْ جَمّعَ الْأَحْزَابُ حَوْلِي وَأَلّبُوا ... قَبَائِلَهُمْ وَاسْتَجْمَعُوا كُلّ مَجْمِعِ
আমার পাশে (কাফির মুশরিকদের) সমস্ত সম্প্রদায়গুলো সমবেত হয়েছে। তারা তাদের সকল গোত্রকে এখানে একত্রিত করেছে।
وَكُلّهُمْ مُبْدِي الْعَدَاوَةَ جَاهِدٌ ... عَلَيّ لِأَنّي فِي وِثَاقٍ بِمَضْبَعِ
তারা সকলে আমার প্রতি শত্রুতা প্রকাশ করছে, আমার উপর তারা চরম জুলুম-নির্যাতন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْغَضُ الرِّجَالِ إِلَى اللهِ الْأَلَدُّ الْخَصِمُ.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ওই ব্যক্তি সবচেয়ে ঘৃণ্য যে ‘আলাদ্দুল খছিম’ তথা চরম কলহপ্রিয়।” নাউযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ لِلَّهِ مَلَكًا مُوَكَّلًا بِمَنْ يَقُولُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، فَمَنْ قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ الْمَلَكُ: إِنَّ أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ قَدْ أَقْبَلَ عَلَيْكَ فَاسْأَلْ"
অর্থ: “হযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে একজন সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম ন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আশহুরে হারাম (নিষিদ্ধ মাসসমূহ) পর হওয়া পর্যন্ত হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাদের কাছে বন্দী থাকেন এরপর তারা উনাকে শহীদ করে। সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হায়াতুছ ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
এক সম্মানিত নারী বলেন-
وَاللهِ مَا رَأَيْتُ أَسِيرًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ حَضْرَتْ خُبَيْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ وَاللهِ لَقَدْ وَجَدْتُهُ يَوْمًا يَأْكُلُ قِطْفًا مِنْ عِنَبٍ فِي يَدِهِ وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ بِالْحَدِيد বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এরপর শত্রুরা হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নিয়ে বের হলো।
তানঈম নামক স্থানে পৌঁছে তারা যখন উনাকে শূলবিদ্ধ করতে চাইল, তখন তিনি তাদের বললেন, তোমরা আমাকে দু’রাকায়াত পবিত্র ছলাত বা নামায আদায় করার সুযোগ দাও? তারা বলল, অসুবিধা নেই, আদায় করে নিন।
তিনি মনের খুশু-খুযুর সাথে অতি সুন্দরভাবে দু’রাকায়াত ছলাত মুবারক আদায় করে নিলেন। এরপর তাদের সামনে অগ্রসর হয়ে বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তোমরা হয়ত ভাবছো আমি বিদায়ের ভয়ে ছলাত দীর্ঘ করছি, মূলত সেটা নয়। ত বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পবিত্র মক্কা শরীফের কুরাইশ কাফির মুশরিকদের কাছে হুযাইল গোত্রের দু’জন বন্দী ছিলো। তাদের বিনিময়ে তারা হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ও হযরত ‘আদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বিক্রি করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ!
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ নাওফেলের মিত্র হুজাইর ইবনে আবূ ইহাব উকাবা ইবনে হারিছ ইবনে আদি ইবনে নাওফেলের পক্ষে হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ক্রয় করল। হুজাইরের পিতা আবূ ইহাব ছিলো উকবার পিতা হারিছ ইব বাকি অংশ পড়ুন...












