স্বয়ং যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوٰى، إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُّوحٰى
“তিনি ওহী মুবারক ছাড়া কোন কথা বলেন না, কোন কাজ মুবারক করেন না, কোন সম্মতি মুবারকও দেন না। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের দু’জনের মধ্যে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টা যখন প্রথমতঃ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় পবিত্র কালাম পাক উনার অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে বান্দা-বান্দীদের কাজ-কর্ম সম্পাদন করার ব্যাপার তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন। বরং চিন্তা-ভাবনা করে ধীরস্থিরতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ মুবারক করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْاٰنِ
অর্থ : পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করো না। (পবিত্র সূরা ত্বহা : আয়াত শরীফ ১১৪)
স্মরণীয় যে, পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ উনাদের নুযূল খাছ কিন্তু হুকুম ‘আম (ব্যাপক) অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত। এছাড়া বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শানে সূরা আহক্বাফ শরীফ ও সূরা আর-রা‘দ শরীফ উনার যথাক্রমে ১০নং ও ৪৩ নং আয়াত শরীফ দু’টি নাযিল হয়-
পবিত্র সূরা আহক্বাফের ১০নং আয়াত শরীফ-
قُلْ أرَءَيْتُمْ إنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللهِ وَ كَفَرْتُمْ بِهِ وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ بَنِى إسْرَاءِيْلَ عَلَى مِثْلِهِ فَآمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْ - إنَّ اللهَ لَا يَهْدِىْ الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ.
অর্থ: (আপনি বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছো কি, যদি এই কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট হতে অবতীর্ণ হয়ে থাকে, আর তোমরা এতে অবিশ্বাস করো, অথচ বনী ইসরাইলের একজন ইহার অনুরূপ কিতাব (অর্থাৎ তাওরাত বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُحْضُرُوا الْمِنْبَـرَ فَحَضَرْنَا فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّانِيَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّالِثَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمّاَ نَزَلَ قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ سَـمِعْنَا مِنْكَ الْيَوْمَ شَيْئًا مَا كُنَّا نَسْمَعُهٗ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَرَضَ لِـىْ فَقَالَ بَعُدَ مَنْ اَدْرَكَ رَمَضَانَ فَلَمْ يُغْفَرْ لَهٗ قُل বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মাসিক পত্রিকায় হজ্জের অজুহাতে ছবি তোলাকে বৈধ বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দলীল হিসেবে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ ১৭৩, পবিত্র সূরা আনআম শরীফ ১১৯ ও ১৪৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, তীব্র প্রয়োজন হারাম বস্তুকে সাময়িক হালাল করে দেয়। তাই হজ্জের ফরয আদায় করতে হারাম ছবি তোলা সাময়িক বৈধতা পাবে। নাউযুবিল্লাহ! এ বিষয়ে সঠিক জাওয়াব কি?
জাওয়াব:
উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ বা বিরোধী ও কুফরী হয়েছে। কারণ হারাম বা ফাসিকী কাজ করে তথা ছবি তুলে, বেপর্দা হয়ে হজ্জ করা যাবে না। এ বাকি অংশ পড়ুন...
মাটির ঘড়া-মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র মুবারক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো কখনো মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র মুবারক ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ মাটির পাত্রে খাদ্য খাওয়া ও পানীয় পান করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
মাটির পাত্র ব্যবহার সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَت سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ رضي الله عنه أَنَّ أَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ رضي الله عنه دَعَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عُرْسِهِ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ خَادِمَهُمْ يَوْمَئِذٍ، وَهِيَ الْعَرُوسُ، فَقَالَتْ أَ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّىْ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اَرْبَعًا وَبَعْدَهَا اَرْبَعًا
অর্থ: “ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (পবিত্র জুমুআর দিন) পবিত্র ছলাতুল জুমু‘আহ্ আদায় করার পূর্বে ৪ রাকাত এবং পরে ৪ রাকাত নামায আদায় করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (মু’জা বাকি অংশ পড়ুন...
(গত পর্বের পর)
পূর্বে উল্লেখিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত আবূ সাঈদ ইবনে মু‘আল্লা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত আহবান মুবারক করেছিলেন উনারা পবিত্র নামাযে থাকার কারণে উনার সম্মানিত আহবান মুবারক-এ সাড়া দেননি। বিষয়টা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করা হলে বাকি অংশ পড়ুন...
৩ নং হাদীছ শরীফ:
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اَرْبَعًا وَبَعْدَهَا اَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ
অর্থ: “রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (পবিত্র জুমুয়ার দিন) পবিত্র ছলাতুল জুমুয়াহ আদায় করার পূর্বে পৃথক না হয়ে অর্থাৎ এক সালামে চার রাকায়াত ছলাত আদায় করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ১০/২৭৬, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ২/২৩০, হাদ বাকি অংশ পড়ুন...
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ বা মু’জিযা শরীফ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত অলৌকিক বিষয়কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ (মহাসম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হায়াতুন নবী, শাহিদুন্ নবী, মুত্বালা’ আলাল গইব, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...












