১০০ টি চমৎকার ঘটনা বাকি অংশ পড়ুন...
ছোট্ট একজন বালক, তখনও মক্তবে যাওয়া শুরু করেননি। বাসাতেই মায়ের কাছে তা’লীম নেন। মা ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং আল্লাহওয়ালী মহিলা। তিনি উনার সন্তানকে তাওয়াক্কুল (আল্লাহ পাক উনার উপর পরিপূর্ণ ভরসা করা) শিক্ষা দিতে চাইলেন। উনার ছেলে মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করতেন। তাই তিনি একদিন ছেলেকে ডেকে আদর করে বললেন, ‘বাবা! আপনি যদি নিয়মিত নামায কালাম আদায় করেন, যিকির ফিকির করেন, আপনার প্রতিদিনের ছবক্ব সম্পন্ন করেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে প্রতিদিন মিষ্টি হাদিয়া করবেন।’ ছেলে খুব খুশি হলেন। এরপর থেকে প্রতিদিন ছেলে যখন নামায-কালাম, যিকির-ফিকি বাকি অংশ পড়ুন...
‘তাযকিরাতুল আউলিয়া’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, হযরতুল আল্লামা মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর সাহেব, হযরত শামস তাবরিজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তিকালের পূর্বে মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত নিয়ামত আল্লামা রুমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রদান করার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়ে রোম দেশের দিকে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে এক জঙ্গলের পার্শ্বে দেখতে পেলেন যে, এক বৃদ্ধা মহিলা সম্মুখে একটি মৃত যুবক ছেলেকে নিয়ে খুব কান্নাকাটি করছে। তখন হযরত শামস তাবরিজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বৃদ্ধা মহিলাকে বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুসিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত ‘ক্বাছীদাতুল-বুরদা’ শরীফ সমগ্র বিশ্বময় সর্বাধিক পঠিত একখানা দীর্ঘ ক্বাছীদা শরীফ। একশত ষাট পংক্তি বিশিষ্ট এই ক্বাছীদা শরীফটি রচিত হয়েছে সপ্তম হিজরীতে। আজও এ ক্বাছীদা শরীফ প্রতিদিন অগণিত সূফী সাধক ওযীফার ন্যায় পাঠ করে থাকেন। পৃথিবীর এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে ‘ক্বাছীদাতুল বুরদা’ শরীফ উনার নিয়মিত পাঠক পাওয়া যাবে না। এই ‘ক্বাছীদাতুল বুরদা’ শরীফ উনার সাথে একটি বরকতময় স্বপ্নের ঘটনা জড়িত আছে।
হযরত ইমাম হাসান আল বুসিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স যখন ষ বাকি অংশ পড়ুন...
এক লোক প্রতিদিন বাদ আছর, গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারকে যেত। তার যাতায়াতের রাস্তায় এক আলিমের বাড়ি পড়তো। আলিম প্রতিদিন মুরীদ লোকটিকে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে দেখতেন।
একদিন সেই আলিম, মুরীদ লোকটিকে আটকালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি প্রতিদিন কোথায় যান?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘আমি আমার সম্মানিত শায়েখ হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে যাই।’ আলিম বললেন, ‘ঠিক আছে। আমি আপনাকে একটি মাসয়ালা জিজ্ঞেস করবো। যদি উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনি যেতে পারবেন। নইলে আমি এই রা বাকি অংশ পড়ুন...
যখন গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের সময় নিকটবর্তী হলো, তখন উনার ছোট ইসিন্জার রাস্তা দিয়ে রক্ত মুবারক প্রবাহিত হতে লাগলো। এমনকি তা থেকে আতর গোলাপের সুঘ্রাণ বের হচ্ছিলো এবং যিকিরও হচ্ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
উনার মুরীদ-মুতাকিদ যাঁরা ছিলেন, উনারা বললেন, হুযূর! আপনার শরীর অসুস্থ। আপনার চিকিৎসা করানো দরকার। হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রথমে বললেন: দেখ, চিকিৎসা করে কি হবে? যিনি সমস্ত চিকিৎসকের চিকিৎসক, সমস্ত হাকীমগণের হাকীম সেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল বাকি অংশ পড়ুন...
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাহেবজাদা কুতুবুল মাশায়িখ হযরত আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, “আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন জুমুয়ার নামায পড়ার জন্য বের হলেন। আমি এবং আমার আরো দুই ভাই হযরত আব্দুল ওহাব রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ঈসা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে ছিলাম। পথিমথ্যে বাদশাহর তিনটি শরাবের পাত্র আমাদের নিকট দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেগুলো হতে দুর্গন্ধ এত অধিক মাত্রায় বের হচ্ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
ঘটনা-৭০
দুনিয়া ধোঁকার উপকরণ ব্যতীত কিছু নয়
‘দুনিয়া ধোঁকা ব্যতীত কিছুই নয়’ এ বিষয়ে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্দর নছীহতপূর্ণ একটি উপমা পেশ করেছিলেন।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিল। হঠাৎ দেখলো এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। সে প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলো। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিবিহীন কুয়া দেখতে পেল। সে চোখ বন্ধ করে তাতে ঝাঁপ দিলো। পড়তে পড়তে একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললো এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলো। উপরে চেয়ে দেখলো, কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচের দিকে চেয়ে দেখলো, বিশাল এক সাপ তার নিচে নামা বাকি অংশ পড়ুন...
ঘটনা-৪৭
ইলমের গভীরতা
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, “ঘোড়া তার হ্রেষা ধ্বনিতে বলে, ‘আয় আল্লাহ পাক! মুসলিম উম্মাহকে সম্মানিত করুন এবং কাফিরদেরকে লাঞ্ছিত করুন।’ উট বলে, ‘পরকালীন পাথেয় না থাকা সত্ত্বেও যে আমলের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রীয় থাকে, তার জন্য আশ্চর্য!’ গরু বলে, ‘হে গাফিল ব্যক্তি! মৃত্যু তোমার জন্য অবধারিত। তাই তুমি আমলে মশগুল হও। হে গাফিল ব্যক্তি! তুমি অতি অল্প সময়ের জন্য দুনিয়াতে আগমনকারী। হে গাফিল ব্যক্তি! যা তুমি পরকালের জন্য প্রেরণ করেছো, সেটাই কেবল তোমার জন্য থাকবে। অতি শীঘ্রই তুমি তোমার আমলের বদ বাকি অংশ পড়ুন...
ঘটনা-৪৬
ইলমের গভীরতা :একদা একদল ইহুদী পাদ্রী ইমামুল আউয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলো ‘হে আমীরুল মু’মিনীন! আমাদের কতিপয় সুওয়াল রয়েছে। আপনি যদি সেগুলোর জওয়াব দিতে পারেন, তাহলে আমরা ইসলাম গ্রহণ করবো। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, ‘নিশ্চয়ই আমার নিকট ইলমের ষাটটি দরজা রয়েছে। প্রত্যেক দরজার ইলম বহনে কমপক্ষে এক হাজার বাহন প্রয়োজন।’ অর্থাৎ উনার ইলম মুবারকের কোনো সীমা নির্ধারণ অসম্ভব বিষয়। ‘কাজেই হে বাকি অংশ পড়ুন...
পরের বছর আবার তিনি হজ্জ করতে আসলেন এবং পূর্বের মতই পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত সালাম পেশ করে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, উনাদের প্রতিও ছলাত সালাম পাঠ করলেন। একটা যুবক বুযুর্গ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করছিল। তিনি রওযা মুবারক যিয়ারত শেষে যখন বের হয়ে আসলেন, তখন সেই যুবক উনাকে নিজের বাসায় দাওয়াত করলো। বুযুর্গ ব্যক্তি মনে মনে ফিকির করলেন আগের বার তো এক বৃদ্ধ লোকের দাওয়াত কবুল করে তিন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, উনার প্রতি নাযিলকৃত কিতাব ইনজিল শরীফ অনুসারে তিনি মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন। এই উদ্দেশ্যে সারা এলাকা তিনি সফর করে বেড়াতেন। একদিন সফর করতে করতে তিনি এক স্থানে গিয়ে পৌঁছলেন। সেখানে একজন ইহুদী লোক ছিল। সে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বললো, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমি চাচ্ছি আপনার দ্বীন গ্রহণ করতে। আপনার অনুসারী হতে।’ তার কথা শুনে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম খুশী হলেন। লোকটা উনার দ্বীন গ্রহণ করার পর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস বাকি অংশ পড়ুন...












