১০০ টি চমৎকার ঘটনা
, ১৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
ঘটনা-৭০
দুনিয়া ধোঁকার উপকরণ ব্যতীত কিছু নয়
‘দুনিয়া ধোঁকা ব্যতীত কিছুই নয়’ এ বিষয়ে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্দর নছীহতপূর্ণ একটি উপমা পেশ করেছিলেন।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিল। হঠাৎ দেখলো এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। সে প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলো। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিবিহীন কুয়া দেখতে পেল। সে চোখ বন্ধ করে তাতে ঝাঁপ দিলো। পড়তে পড়তে একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললো এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলো। উপরে চেয়ে দেখলো, কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচের দিকে চেয়ে দেখলো, বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় আছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেল, একটি সাদা ও একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে। এমন হিমশিম অবস্থায় লোকটা যখন বুঝতে পারছিল না যে সে কি করবে, তখন হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেল। সে কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলো। সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে, সে কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাটতে থাকা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলো। ফলে তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এই উপমার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এই সিংহটি হচ্ছে মৃত্যু, যে সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সাপটি হচ্ছে কবর, যা আমাদের অপেক্ষায় আছে। দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন, যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা। সাদা ইঁদুর হলো দিন, আর কালো ইঁদুর হলো রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে আমাদের হায়াত কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মৌচাক হলো দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমরা আমাদের এই চতুর্মুখী ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যাই।’
সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে কামিয়াবী লাভ করতে হলে, দুনিয়ার মোহ দূর করে সম্পূর্ণ হায়াতটাই মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক অর্জনের কোশেশে লিপ্ত থাকা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












