“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: “জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। উনার হুকুম বা নির্দেশেই জগতের সব কিছু পরিচালিত হয়। তবে তিনি জগত পরিচালনার ক্ষেত্রে যেরূপ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়োগ করেছেন, তদ্রুপ মানুষের মধ্যে যারা খাছ ওলীউল্লাহ তথা আবদাল, কুতুব, গাউছ রয়েছেন, উনাদের কাছেও তিনি জগত পরিচালনার অনেক দায়িত্ব ন্যস্ত করে থাকেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই জগত পরিচালনা করে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
অর্থ: আসমান ও যমীনের মাঝে যা কিছু আছে, সবই মহান আল্লাহ পাক উনার তাসবীহ মুবারক পাঠ করে। (পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ. يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর পরিচয় ও আহ্কাম:
ইস্তিব্রা কাকে বলে:
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) শব্দটি بَرَأَ(বারায়া) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো পবিত্র করতে চাওয়া। এই اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) দু’ভাগে বিভক্ত। যথা: (১) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে রেহেম শরীফকে (জরায়ুকে) অন্যের সন্তান হতে হায়েযের দ্বারা (মাসিক মাজুরতার দ্বারা) পবিত্রতার নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া। (২) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে ছোট ইস্তিন্জার রাস্তা (প্রস্রাবের রাস্তা) পবিত্র করতে চাওয়া।
এখানে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) বলতে ছোট ইস্তিন্জা (প্রস বাকি অংশ পড়ুন...
وَإِمَّا يُنْسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ
শয়তান যদি তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে তাদের কাছে নিয়ে যায়, ওখানে যাওয়ার পরে যখন তোমাদের এ কথাটা স্মরণ হবে এই লোকটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এটা স্মরণ হওয়া মাত্রই
فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَى مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
এই জালিমদের সাথে আর বসো না, এখান থেকে সরে চলে আসো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। এটা হচ্ছে মুসলমান ঈমানদারের একটা সংজ্ঞা। ঈমানদার কাকে বলে? ঈমানদার ঐ ব্যক্তি; মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ সম্মানিত আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি অনেকবার বলা হয়েছে এবং আমাদে বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقُ الْاَكْبَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِـيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ
অর্থ: “খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল উপলক্ষে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেপর্দা বেশরা মহিলাদের জন্য সাবধান সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
‘দুই প্রকার জাহান্নামী মানুষ আসবে; যাদেরকে আমি আমার যুগে দেখতে পাচ্ছি না। এক প্রকার হচ্ছে, ওই সব নারী-
> যারা কাপড় পরেও বিবস্ত্র থাকবে।
> তারা সাজ-সজ্জা করে পর-পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
> তাদের মাথার খোপা (সাজসজ্জা ও ফ্যাশনের কারণে) উটের কুঁজের মত (উঁচু, যা) এ দিক-ওদিক হেলানো থাকবে।
তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না; এমনকি তার বাকি অংশ পড়ুন...
বোরকা পরিধান করে হাত ও মুখ খোলা রেখে ঘর থেকে বের হওয়া জায়েজ নেই
বোরকা পরিধান করে হাত ও মুখ খোলা রেখে ঘর থেকে বের হওয়া জাহিলী যুগের মহিলাদের কাজ- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قَرنَ في بُيوتِكُنَّ وَلا تَبَرَّجنَ تَبَرُّجَ الجاهِلِيَّةِ الأولى
অর্থ: মহিলারা যেন তাদের ঘরের মধ্যেই অবস্থান করেন, জাহেলী যুগের মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে তারা যেন ঘর থেকে বের না হন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৩)
চৌদ্দজন লোকের সাথে পর্দা করা ফরয এবং তাদের নিকট সৌন্দর্য প্রকাশ করার নিষেধাজ্ঞা ঘোষনা করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَل বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ-৮২) অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির-মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে ইহুদী-মুশরিকসহ সকল কাফিরদেরকে শত্রু হিসেবে জেনে তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন!
বাকি অংশ পড়ুন...












