রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাজির-নাযির, সু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ.
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০)
বাকি অংশ পড়ুন...
(২য় পর্বের পর)
‘তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
يَقُوْلُ لَا تَسُمُّوْهُ اِذَا دَعَوْتُمُوْهُ يَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَقُوْلُوْا يَا اِبْنَ عَبْدِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلكِنْ شَرَّفُوْهُ فَقُوْلُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا نَبِىَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করবে তখন উনার সম্মানিত নাম মুবারক ধরে এভাবে ইয়া মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন করবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বিতীয় সনদ:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অর্থাৎ হাদীছটা যে দূর্বল তা সম্পর্কে সবাই একমত। হযরত জুহাইরি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, উনার পরিবারের কোনো এক নারী এটা হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা থেকে শুনেছেন, কিন্তু তার নাম-পরিচয় কিছুই জানা নেই। তার উপর হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি ছাহাবীয়াহ্ না তাবিয়াহ্ তা নিয়েও আছে ইখতিলাফ। হযরত ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মারাসীলে উল্লেখ করার থেকে বুঝা যায় হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি তাবিয়াহ্। অতএব এটা মুরসাল বর্ণনা।
এখ বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যেটা বলা হয়েছে, তারা পর্দা ঢেলে দিবে।
وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
তারা তাদের যে পর্দা রয়েছে বা বোরকা রয়েছে, সে কাপড়টা সিনা পর্যন্ত লম্বা করে দিবে বা ঢেলে দিবে। এর মধ্যে যেন কোন প্রকার ত্রুটি না হয়। কাপড় ছোট-খাট হলে, মুখ খুলে রাখবে তা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও কোন কোন মুফাস্সির, কোন কোন ব্যক্তি অনেকে বই লিখেছে, পর্দার বই প্রকাশ করেছে, সেখানে তারা লিখেছে সাধারণভাবে
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
এর ব্যাখ্যায় তারা বলেছে, চেহারা, মুখ, হাতের কব্জি থেকে অতিরিক্ত আর পায়ের গীরা থেকে নীচে যা রয়েছে তা বের করা জায়িয রয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম:
উনার মাঝে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়িমীভাবে জ্বলজ্বল করতেন:
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّ سَيِّدَنَـا حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ كَانَ يُرٰى بَيْنَ عَيْنَيْهِ نُوْرُ النُّبُوَّةِ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝখানে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নুবুওওয়াহ্ মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলা বাকি অংশ পড়ুন...
৮৮ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বৃদ্ধাঙ্গুল মুবারক نُوْرُ الْـخُلْدِ مُبَارَكٌ নূরুল খুল্দ মুবারক (স্থায়ী)
৮৯ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাত আঙ্গুল মুবারক نُوْرُ الصِّدْقِ مُبَارَكٌ নূরুছ ছিদ্ক্ব মুবারক (সত্যবাদিতা)
৯০ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মধ্যমা আঙ্গুল মুবারক نُوْرُ الْـخَيْرِ مُبَارَكٌ নূরুল খইর মুবারক (ভালাই, ভালো)
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হাফেজ ছিলেন। কিতাবে লেখে- দু’জন ব্যক্তি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা হাফেজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। একজন হলেন- হযরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয়জন হলেন- হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি বাদশাহ আলমগীরের আত্মীয় ছিলেন। তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, হাফেজে মাদারযাদ, বিরাট বুযূর্গ। তিনি উনার পীর ছাহেব হযরত নূর মুহম্মদ বাদায়ুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে রীতিমত যাওয়া-আসা করতেন।
একদিন পীর বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক সময় বলতেন, তিন কারণে মানুষ ধ্বংস হয়- (ক) অহংকার, (খ) লোভ এবং (গ) হিংসা। নাউযুবিল্লাহ!
তিনি বলেন, (ক) অহংকারের কারণে মানুষের দ্বীনি অনুভূতি বিনষ্ট হয়, এ কারণেই ইবলিস অভিশপ্ত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(খ) লোভ হচ্ছে নফসের দুশমন। যে কারণে ইবলিস পবিত্র জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(গ) আর হিংসা পাপীদের গোয়েন্দা, এ কারণেই কাবিল সে হযরত হাবিল আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে। বাকি অংশ পড়ুন...












