নবীজি উনার আওলাদ পরশমণি দুলালী
বসুধায় উম্মুল উমাম তিনি লক্ববে যাহরায়ী ॥
বতূলী সাজে দুনিয়া বিরাগী হয়ে
আনিলেন তাশরীফ এই অবনী মাঝে
শিক্ষা দিলেন উম্মাকে বিরাগী হতে
দুনিয়াবী ভোগ বিলাস থেকে ॥
জান্নাতের মহিলাদের সাইয়্যিদা তখতে বসি
খেজুর পাতার প্রাসাদ আপনার বারেবার গেছে খসি
নাহি চেয়েছেন রাজপদ, নাহি চেয়েছেন ধন
সর্বদা করিছেন মানুষের মাঝে দান ॥
এমনিভাবে রসূলী মুহাব্বতে সমুদয়কে করেছেন দান
নিজ সন্তান উনাদেরকেও ইসলামের তরে করেছেন কুরবান
আপনারই দ্বারা ইসলামের হয়েছে উত্থান
আপনিই কুল মুসলিম-মুসলিমার ঈমান ॥
মাওলাজীর মাহবুবা, মা বাকি অংশ পড়ুন...
জেনে রেখো, তিনি মুসাররিফাতুল ক্বুলুব,
এ তো তিলার্ধ সংশয়ের অবকাশহীন, মহান ধ্রুব।
ঋণাত্মক চিত্তের পরিবর্তন ধনাত্মক সূচকে,
উনার ক্ষণিকের ছোহবতে।
চলার পথের কেন্দ্র যদি ধন্য হয়, সেই মহান ব্যক্তিত্বে,
তবে তারুণ্যের অবাধ্যতা, নফসে আম্মারা, কুচক্রী-বিধর্মী
আর মহাশত্রু শয়তানের বহুমুখী অপকেন্দ্র বল
সব প্রশমিত হয়ে একটা মহান কেন্দ্রমুখী বলের প্রাপ্তিতে,
সুষম মসৃণ বৃত্তাকার সঞ্চার পথে, সুস্থিতিস্থাপন ইস্তিক্বামতে,
চিরন্তন বিচরণশীল সালিকা, ইলমের পরিধিতে;
অতিক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে, ইলমে তাছাউফের বৃত্তকলা
পরিণত হয় পূর্ণবৃত্তে।
বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা নারী জাতি, নারী কুল
ঘুণ ধরা সমাজের।
আমরা বলি,
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম আর্তনাদের ধ্বনিগুলো
আকাশে বাতাসে দুলিলো না;
সর্বহারা নারী জাতিদের দুঃখ-কষ্ট রহিলো না;
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম-
শয়নে-স্বপনে নারী সকল পুলকিত;
মায়া-মমতায় হৃদচেতনায়
এ ধরার বুকে শিহরিত।
খুশির আমেজ ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
বহিয়া চলিলো হেথায় ,
কুল-মাখলুক্বাত পড়িলো ক্বাছীদা
শান্তি পেল সবাই।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন কনকচাঁপা, রজনীগন্ধা,
গোলাপ, হাসনাহেনা
আরো যত ফুল, ফুটিল বাগানে
সুবাসে মাতিলো ধরণ বাকি অংশ পড়ুন...
পরাক্রমশালী দয়াময় খোদার উদার
অন্তহীন অনির্বাণ মহান রহমতী নির্ঝর;
মর্ত ধরায় প্রকাশ পায়,
যে মূল্যবান সময়;
সে, পূত-পবিত্র রবীউল আউওয়াল মাস।
পবিত্র মাস উনার সপ্তম দিবসে,
করুণাময়ী মমতাময়ী মায়ের বেশে;
বিচিত্র পৃথিবীতে নেমে আসে
রহমতী নির্ঝরের নির্গম নির্যাস।
রাজারবাগ দরবার শরীফের,
আম্মাজী আলাইহাস সালাম।
উনার মুবারক বিলাদতী ক্ষণে,
আকাশবাসী সমূদয় ফেরেশতাগণে;
চৌদিকে ছড়ায় জান্নাতী ফুলের সুবাস।
দলে দলে পড়ে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ উনার মীলাদ;
আকাশে বাতাসে প্রবাহিত হয় ইহার মৃদু নিনাদ।
আহলান সাহলান নূরে মুজাসসাম;
উনার আহলে বাইত আ বাকি অংশ পড়ুন...
মুর্শিদ আমার মুহইউস সুন্নাহ,
করেন রসূলী সুন্নাহ জারী।
মুর্শিদ আমার ইমামুল আইম্মাহ,
সুন্নাত পালনে তিনি গাফেল যে হন না।
মুর্শিদ আমার মুজাদ্দিদ যামান,
উড়াবেন তিনি খিলাফতী নিশান।
আক্বা আমার মাহবুব ওলি,
বাতিল সব করছেন ধূলি।
আক্বা আমার কুতুবুল আলম,
উম্মায় করেন সীমাহীন রহম।
উলামায়ে ‘সূ’ যারা করতেছে হক্বের বিদ্বেষ,
অচিরেই ছাড়তে হবে এই বাঙলাদেশ।
বাতিলের আছে যত বংশ,
উনার তাজদীদে সব হয়ে যাচ্ছে ধ্বংস।
উলামায়ে সূ দের বুক করতেছে থর থর,
কোন সময় যে বাইয়্যিনাতের উঠে কলচর।
আক্বা আমি আপনার দরবারের ভিখারী,
আমার লিখায় হচ্ছে অসংখ্য বাকি অংশ পড়ুন...
আগমনে উম্মুল উমাম,
মোদের ক্বিবলা আম্মাজী।
পেয়েছি মোরা আত তহিরা আত তইয়্যিবা,
হয়েছি মোরা ধন্য।
আগমনে আম্মাজ্বী ক্বিবলা,
জমীন বাসী ধন্য।
আঁধার দূরীভূত করে দিলেন আলো,
সকল সালিকার ক্বলবে।
মোদেরকে দান করেন নছীহত,
করেন অন্তর ইসলাহপ্রাপ্ত।
কায়িনাত হলো আলোকিত,
আম্মাজ্বী উনার তাশরীফানে।
দূরীভূত হচ্ছে সকল,
কুফরী মন্ত্র -তন্ত্র।
সালিকাদের অন্তরে জ্বেলে দিচ্ছেন আলো,
দিচ্ছেন ইলমে ফিক্বহ,তাছাওফ শিক্ষা।
পড়ি মোরা উম্মুল উমামী শান,
জানাই মুবারক সালাম।
মোদেরে করিলেন আম্মাজী ধন্য,
নূরানী ছোহবত দিয়ে।
-তাসমিয়া জান্নাত।
বাকি অংশ পড়ুন...
যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননা করে, কটুক্তি করে তারা কাফির ও মুরতাদ। এই শ্রেণীর লোকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক ফয়সালা মুবারক দিয়েছেন-
مَّلْعُونِينَ ۖ أَيْنَمَا ثُقِفُوا أُخِذُوا وَقُتِّلُوا تَقْتِيلًا ﴿٦١﴾ سُنَّةَ اللَّـهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ ۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّـهِ تَبْدِيلًا ﴿٦٢﴾
অর্থ: “অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং কতল করা হবে। যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে এটাই ছিলো মহান আল্লাহ পাক উনার রীতি। আপনি আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لِكُلّ مُؤْمِنٍ فِيْ كُلّ شَهْرٍ اَرْبَعَةُ اَعْيَادٍ اَوْ خَـمْسَةُ اَعْيَادٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন মুসলমান উনাদের প্রতি মাসে চারটি অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়ে থাকে। (কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খ-: বাবু ছলাতিল ঈদাইন, হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া)
বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খ্বাইরে কাছীর বা সর্বপ্রকার খায়ের ও বরকত ভালাইয়ের মালিক ও বন্টনকারী মনোনীত করেছেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিভিন্ন উছীলায় উম্মতকে খ্বাইরে কাছীর হাদিয়া করেন।
যার বিশেষ উদাহরণ হলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে অঙুলি চুম্বন করা ও চোখে বুছা দেয়া।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি সে নির্দেশ নিয়ে চলে আসলেন। কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্চাশ বৎসর এভাবে তিনি উনার পীর ছাহেবের নির্দেশ পালন করলেন। প্রথম দিকে কোন লোক হতো না উনার মাহফিলে। তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ করতেন। একদিন মাহফিলে কোন লোকই ছিলো না। তিনি মনে করলেন, আজকে চলে যাই, লোক যখন নেই। হঠাৎ একটা বৃদ্ধা মহিলা কোথা থেকে এসে বললেন, হে ইউসুফ! আপনি পীর ছাহেবকে যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা স্মরণ রাখুন। তিনি আবার সেই ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ শুরু করে দিলেন।
পঞ্চাশ বৎসর পর তিনি কামালিয়াত হাছিল করলেন। তবে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনের মূল যে বাকি অংশ পড়ুন...












