আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে জেরুজালেম তথা বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ট ছাহাবী, হযরত আবূ উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। সেখানকার ইহুদি সম্প্রদায়ের জানা ছিলো যে, আসমানী কিতাবে বর্ণিত ছিল আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতগণ বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ জয় করবেন। এমনকি সেই সময় যিনি সম্মানিত খলীফ থাকবেন, তিনি কি অবস্থায় আগমন করবেন সেটাও সেখানে বর্ণনা করা ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন- তোমরা তোমাদের কথাগুলো গোপন রাখো বা প্রকাশ করো, নিশ্চয়ই তিনি অন্তরের অন্তঃস্থলের খবর জানেন। তিনি কি জানবেন না, যিনি সৃষ্টি করেছেন! তিনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের খবর রাখেন। তিনি যমীনকে তোমাদের বশীভূত করেছেন বা অধীন করেছেন। তোমরা এর উপর (ভূ-পৃষ্ঠে) চলো এবং তা থেকে উৎপন্ন রিযিক খাও আর যমীন থেকেই তোমাদের পুনরুত্থান। যিনি আসমানে আছেন, তোমরা কি উনার থেকে নিরাপদ? তিনি তোমাদেরসহ যমীনকে দাবিয়ে দিবেন, তখন যমীন কাঁপতে থাকবে। [ পবিত্র সূরা মুলক : আয়াত শরীফ ১৩-১৬]
আমরা আমাদের বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ আল্লামা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে শিহাব ইবনে ইঊসুফ আল বাযযাযী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ৮২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল ফাতাওয়াউল বাযযাযিয়্যাহ আউইল জামিউল ওয়াজীয’ উনার মধ্যে বলেন-
اِذَا سَبَّ الرَّسُوْلَ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَوْ وَاحِدًا مِّنَ الْاَنْۢبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ فَاِنَّهٗ يُـقْتَلُ حَدًّا وَّلَا تَوْبَةًلَهٗ اَصْلًا سَوَاءٌ بَـعْدَ الْقُدْرَةِ عَلَيْهِ وَالشَّهَادَةِ اَوْ جَاءَ تَائِـبًا مِّنْ قِـبَلِ نَـفْسِهٖ كَالزِّنْدِيْقِ لِاَنَّهٗ حَدٌّ وَّجَبَ فَلَا يَسْقُطُ بِالتَّـوْبَةِ كَسَائِرِ حُقُوْقِ الْاٰدَمِيِّـيْـنَ وَكَحَدِّ الْقَذْفِ لَا يَسْق বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ يَهْدِ اللهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَـجِدَ لَهٗ وَلِيًّا مُرْشِدًا
অর্থ: খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে হিদায়াত দান করেন, সেই হিদায়াত লাভ করে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে কখনো ওলীয়ে মুর্শিদ বা কামিল শায়েখ উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক লাভ করতে পারে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা কাহ্ফ : আয়াত শরীফ ১৭)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম তিনি গেলেন অতঃপর সালাম দিলেন।
উনারা জাওয়াবে বললেন-
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ
একটা শব্দ বাড়িয়ে উনারা বললেন। সেজন্য আদম সন্তানের জন্য এই নিয়ম মহান আল্লাহ পাক তিনি করে দিলেন।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও করে দিলেন, সালাম দিবে-
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
ইচ্ছা করলে আরো বাড়িয়ে বলতে পারে-
وَبَرَكَاتُهٗ وَمَغْفِرَتُهٗ
আরো অনেক বাড়িয়ে বলতে পারে। সালাম দিবে এবং তার জাওয়াবও দিবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটাই ফায়সালা করে দিলেন যে, গৃহবাসীর কাছে গিয়ে সালাম দিবে, সে তার জাওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
১. প্রতি দমে দুটি ঈদ ও দুটি ঈদে আকবর হওয়ার দলীল:
বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ উনার ১১৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ’ উনার তাফসীরে বলেন,
كُلُّ يَوْمٍ كَانَ لِلْمُسْلِمِيْنَ عِيْدًا فِى الدُّنْيَا فَهُوَ عِيْدٌ لَّهُمْ فِى الْجَنَّةِ يَجْتَمِعُوْنَ فِيْهِ عَلٰى زِيَارَةِ رَبِّهِمْ وَيَتَجَلّٰى لَهُمْ فِيْهِ فَيَوْمُ الْجُمُعَةِ فِى الْجَنَّةِ يُدْعٰى يَوْمَ الْمَزِيْدِ وَيَوْمُ الْفِطْرِ وَالْا বাকি অংশ পড়ুন...
৭৯ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘুম মুবারক نُوْرُ الْـمُطْمَئِنَّةِ مُبَارَكٌ নূরুল মুত্বমাইন্নাহ্ মুবারক
৮০ জিহাদে আহত হওয়া শান মুবারক نُوْرُ الْاِسْتِقَامَةِ مُبَارَكٌ নূরুল ইস্তিক্বামত মুবারক (দৃঢ়চিত্ত)
৮১ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ نُوْرُ التَّشْرِيْفِ/ نُوْرُ الْوِلَادَةِ شَرِيْفٌ নূরুত তাশরীফ/ নূরুল বিলাদত শরীফ (আগমন)
বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সকল নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি পরীক্ষা করেছেন তেমনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক পরীক্ষা করেছেন।
জাওয়াব: সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার বিষয়টি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে সে অর্থে ব্যবহৃত হবে না। কেননা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মনোনীত অর্থাৎ উনাদেরকে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির পর থেকে যমীনে আগমনের পূর্ব পর্যন্ত শুধুমাত্র নূর মুবারক উনার ছূরত বা আকৃতি মুবারক-এ ছিলেন। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নূর মুবারক উনার দ্বারা সৃষ্টি বলা হয়। তাই বলে কি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনও একথা বলেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের মতো? বললে কি শুদ্ধ হতো? কখনোই না। তাহলে মেছালী ছূরত মুবারক উনার কারণে তিনি অন্য মা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِنَّـمَا اَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِيْ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি হলেন দাতা। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন কুল-কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী। সুবহানাল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...












