আল ইহসান ডেস্ক:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি আখেরী যামানায় ফিতনা ফাসাদের যুগে একটি সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে থাকবে সে ১ শত শহীদ উনাদের মর্যাদা পাবে। ” (মিশকাত শরীফ)
চকি বা খাট তো আমরা সবাই ব্যবহার করি, কিন্তু চকির মাপ ও ডিজাইন যদি সুন্নত মোতাবেক হয়ে যায়, তবে একই সাথে আমাদের অনেকগুলো সুন্নত পালন হয়ে যাবে।
তাহলে জেনে নিন সুন্নতি চকির বর্ণনা:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চকি মুবারক ছিল ৪ পায়া বিশিষ্ট এবং সেগুন বা শিল কড়ই কাঠের তৈরী।
পরিমাপ: একাকী ব্যবহারের জন্যে সাড় বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
فَخَلَقْتُكَ وَخَلَقْتُ اَهْلَ بَيْتِكَ مِنَ النُّوْرِ الْاَوَّلِ
অর্থ: “আমি আপনাকে এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম ভাগ নূর মুবারক অর্থাৎ মূল মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূর মুবারক থেকে তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র একই নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছি। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...
এত ফযীলত মহান আল্লাহ পাক তিনি আলিমদেরকে দিয়েছেন, যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ জন্যই পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا-
وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
যে ব্যক্তিকে হিকমত বা বিশেষ ইলিম দেয়া হয়েছে, তাকে অনেক ভালাই দেয়া হয়েছে, অনেক কল্যাণ দেয়া হয়েছে।
وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
নিশ্চয় যাঁরা সমঝদার, যাঁরা আলিম, জ্ঞানী, উনারা ব্যতীত কেউই নছীহত হাছিল করে না, অন্য কেউই নছীহত হাছিল করে না। (সূরা বাক্বারা শরীফ/ বাকি অংশ পড়ুন...
৩-৪. সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ (শরীফ-সম্ভ্রান্ত) ঈমানদার মহিলা উনাদের প্রতি অপবাদ দেয়, তারা ইহ্কালে ও পরকালে লা’নতগ্রস্ত এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وَقَدْ أَجْمَعَ الْعُلَمَ বাকি অংশ পড়ুন...
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে কিছুদিন পরপরই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র ছাপা, প্রদর্শনীর আয়োজন করা এসবের সংবাদ শোনা যায়। দেখা যায়, কিছু উগ্র রাজনীতিক কিংবা গীর্জার পুরোহিত এই কাজে জড়িত। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এই শান মুবারক বিরোধী কর্মকা- তাদের কতিপয় রাজনীতিক কিংবা পুরোহিতের বিচ্ছিন্ন কর্মকা-, এর সাথে তাদের মূলধারার সম্পর্ক নেই।
কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, এসব শান মুবারক বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র-লেখালেখিকে পশ্চিমা ইহুদী-খ্রিস্টান সম্প্রদায় বিগত ১ হাজার ব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرة عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رضى الله تعالي عنه ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: الدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না)
(২) ঐ সকল মহিলা যে পুরুষ বেশ বাকি অংশ পড়ুন...
► এক নজরে গাইরে মুকাল্লিদ তথাকথিত আহলে হাদীছদের আক্বীদা বিশ্বাস ও চিন্তাধারা:
(১) আল্লাহ তাআলা আরশের উপর বসে আছেন এবং আরশ হলো উনার বসতবাড়ী। (অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তিনি সর্বত্র বিরাজমান নন। ) নাঊযুবিল্লাহ! (হাদিয়াতুল মাহদী, ৯ম পৃষ্ঠা)
(২) আল্লাহ তাআলা উনার চেহারা, চোখ, হাত, হাতের তালু, আঙ্গুল, বাহু, সীনা, গোড়ালী, কোমর, পা ইত্যাদি প্রত্যেক অঙ্গই বিদ্যমান। নাঊযুবিল্লাহ! (হাদিয়াতুল মাহদী, ৯ম পৃষ্ঠা)
(৩) আল্লাহ তাআলা তিনি যে কোন রূপ (মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি) ধারণ করে জনসমক্ষে আসতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (হাদিয়াতুল মাহদী, ৯ম পৃষ্ঠা)
► নবী রসূল আ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মোজা পরিধানের পূর্বে তা ভালোভাবে ঝেড়ে পরিস্কার করে নিতে আদেশ মুবারক করা হয়েছে। কেননা এতে করে অনেক অনিষ্টকর প্রাণি বা বস্তুর অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ أَبـِيْ أُمَامَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَعَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِـخُفَّيْهِ يَلْبَسْهُمَا فَلَبِسَ أَحَدَهُـمَا ثُـمَّ جَآءَ غُرَابٌ فَاحْتَمَلَ الْآخَرَ، فَرَمٰى بِه فَخَرَجَتْ مِنْهُ حَيَّةٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَلْبَسْ خُفَّيْهِ حَتّٰى يَنْفُضَهُمَا
অর্থ: হযর বাকি অংশ পড়ুন...












