মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (২০)
, ১২ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
৩-৪. সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ (শরীফ-সম্ভ্রান্ত) ঈমানদার মহিলা উনাদের প্রতি অপবাদ দেয়, তারা ইহ্কালে ও পরকালে লা’নতগ্রস্ত এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وَقَدْ أَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ رَحِمَهُمُ اللَّهُ قَاطِبَةً عَلَى أَنَّ مَنْ سَبَّها بَعْدَ هَذَا وَرَمَاهَا بِمَا رَمَاهَا بِهِ [بَعْدَ هذا الَّذِي ذُكِرَ] فِي هَذِهِ الْآيَةِ فَإِنَّهُ كَافِرٌ لِأَنَّهُ مُعَانِدٌ لِلْقُرْآنِ وَفِي بَقِيَّةِ حضرت أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ عليهن السلام قَوْلَانِ أَصَحُّهُمَا أَنَّهُنَّ كَهِيَ
অর্থ: “নিঃসন্দেহে সমস্ত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই এ ব্যাপারে ইজমা’ করেছেন যে, এরপরেও অর্থাৎ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পরেও যারা উনাকে দোষারোপ করবে, উনাকে গাল-মন্দ করবে এবং এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিষয়ে উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা মুবারক করেছেন, সে বিষয়ে উনাকে অপবাদ দিবে, অবশ্যই সে কাফির। কেননা, নিশ্চয়ই সে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার অবাধ্য, বিরোধী। না‘ঊযুবিল্লাহ! (কাজেই, শরঈ শাস্তি স্বরূপ অবশ্যই তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে যে গাল-মন্দ করবে, উনাদের মানহানী করবে, তার ব্যাপারে দুইটি মত রয়েছে। বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দিবে, উনার মানহানী করবে, তার হুকুম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দেয়ার, উনার মানহানী করার হুকুমের অনুরূপ। অর্থাৎ সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী- যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দিবে, উনার মানহানী করবে, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৫/৭৫)
ইবনে তাইমিয়্যাহ্ বলেছে,
وأما من سب غير اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ من أزواجه صلى الله عليه وسلم ففيه قولان أحدهما أنه كساب غيرهن من الصحابة على ما سيأتي والثاني وهو الأصح أن من قذف واحدة من حَضْرَتْ أمهات المؤمنين عَلَيْهن السَّلَامُ فهو كقذف اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَة سَيِّدَتنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَة عَلَيْهَا السَّلَامُ وقد تقدم معنى ذلك عن حَضْرَتْ ابن عباس رضى الله تعالى عنه وذلك لأن هذا فيه عار وغضاضة على رسول الله صلى الله عليه وسلم وأذى له أعظم من أذاه بنكاحهن بعده وقد تقدم التنبيه على ذلك فيما مضى عند الكلام على قوله {إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَه} الآية والأمر فيه ظاهر
অর্থ: “আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে গাল-মন্দ করার ব্যাপারে, উনাদের মানহানী করার ব্যাপারে দুইটি মত রয়েছে। এক. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গাল-মন্দ করার, উনাদের মানহানী করার হুকুমের অনুরূপ। যার আলোচনা সামনে আসবে। দুই. এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ- যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দিবে, উনার মানহানী করবে, তার হুকুম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দেয়ার, উনার মানহানী করার হুকুমের অনুরূপ। অর্থাৎ সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী- যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাকে অপবাদ দিবে, উনার মানহানী করবে, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর ইতোপূর্বে এ কথার ব্যাখ্যা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে তুলে ধরা হয়েছে। আর এটা এজন্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে যদি অপবাদ দেয়া হয়, উনাদের মানহানী করা হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর দোষারোপ করা হয় এবং উনাকে কলঙ্কিত করা হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর এটা উনার জন্য কষ্টের কারণ। এই কষ্টটা ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে শাদী করা হবে। ’ এরূপ বলার মাধ্যমে উনাকে যে কষ্ট দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো অধিক কষ্টদায়ক। ইতোপূর্বে এই বিষয়ে নির্দেশনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা পেশ করা হয়েছে। যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৭নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে) ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللهُ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْنًا
‘নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দেয়, তাদের উপর দুনিয়া ও আখিরাতে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হুকুম এখানে সুস্পষ্ট’। ” (আছ ছরিমুল মাসলূল ‘আলা শাতিমির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫৬৭ নং পৃষ্ঠা)
(অপেক্ষায় থাকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৯)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












