নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
, ২৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৭ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০১ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন, আছমা বিনতে মারওয়ান ছিলো এক অভিশপ্ত, কুখ্যাত, ঔদ্ধত্যপরায়ণা ও বিদ্বেষপরায়ণা কাফির মহিলা।
وَكَانَتْ تَعِيْبُ الْاِسْلَامَ وَتُؤْذِىْ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘এই অভিশপ্ত মহিলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে কটাক্ষ করত এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দিত, উনার মানহানি করতো।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!
হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু নামে একজন অন্ধ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উক্ত কাফির মহিলাকে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য রাতে গোপনে তার ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরে তার চারপাশে তার সন্তানরা ঘুমিয়ে ছিলো; এমনকি একজন তখন দুধ পান করছিলো। তিনি যেহেতু চোখে দেখতেন না, তাই হাতে স্পর্শ করে তাকে চিনে নেন।
فَنَحَّى الصَّبِىَّ عَنْهَا وَوَضَعَ سَيْفَهٗ عَلٰى صَدْرِهَا حَتّٰى اَنْفَذَهٗ مِنْ ظَهْرِهَا
‘তারপর তিনি শিশুটিকে সরিয়ে দিয়ে সেই অভিশপ্ত মহিলার বুকের উপর তলোয়ার রেখে এমন জোরে চালালেন যে, তা পৃষ্ঠদেশ ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে যায়।’ সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উক্ত মহিলা জাহান্নামে চলে যায়।
এরপর তিনি ফিরে এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছলাতুল ফজর জামাআতে আদায় করেন। ছলাত মুবারক শেষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। ‘আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্’ কিতাবে রয়েছে, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
لَا يَنْطَحُ فِيْهَا عَنْزَانِ اَىْ لَا يُعَارِضُ فِيْهَا مُعَارِضٌ وَلَا يُسْاَلُ عَنْهَا فَاِنَّهَا هَدَرٌ
অর্থ: “এ বিষয়ে দুটি ছাগলও একে অপরের সঙ্গে শিং লাগাবে না। অর্থাৎ, এ বিষয়ে এতটুকুও মতবিরোধের অবকাশ নেই; কেউ এতে বিরোধিতা করবে না, কেউ প্রশ্ন তুলবে না। কেননা, সেই কাফির মহিলার রক্ত ছিল হালাল। অর্থাৎ সে এমন অপরাধ করেছে যার কারণে সর্বসম্মতভাবে তার শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সেটাই তাকে দেয়া হয়েছে। কাজেই, উক্ত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যা করেছেন সঠিকই করেছেন। এজন্য উনাকে কোনো রকম দোষারোপ করা তো যাবেই না; বরং উক্ত আমলের জন্য উনার প্রশংসা করতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আল মাওয়াহিব ১/২৩০, তারীখুল খমীস ৪০৬, শারহুয যারক্বানী ২/৩৪৩)
অতএব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হচ্ছেন- ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা মানহানি করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তারা নামধারী ইমাম হোক, খতীব হোক, মুফতী হোক, মুহাদ্দিছ হোক, মুফাসসির হোক, ইসলামী চিন্তাবিদ হোক অর্থাৎ সে মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। অর্থাৎ সে যেই হোক না কেন। তার বা তাদের তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড’।
আর যেই সমস্ত দ্বীনদার আশিকে রসূলগণ এ সমস্ত মানহানিকর বক্তব্য শুনে বা মানহানিকর লেখা পড়ে বরদাশত করতে না পেরে তাদেরকে শরঈ শাস্তি দিবেন বা সাবির্কভাবে প্রতিবাদ করবেন ও প্রতিক্রিয়া জানাবেন, উনারা সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবেক অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন না। উনারা বেকসুর খালাছ পাবেন। আর যেই আশেকে রসূল উক্ত গোস্তাখে রসূল এর বক্তব্য শুনে বরদাশত করতে না পেরে ঐ কুলাঙ্গারকে আঘাত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং যাঁরা আরেক মালঊন কুলাঙ্গারের কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য দেখে বা পড়ে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে উনারা অপরাধী নন। এদেশের সরকার, আদালত ও প্রশাসনের উচিত উক্ত আশিকে রসূল উনাদের এই ঈমানী হিম্মতের যথাযথ মূল্যায়ন করা এবং উনাদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ও উনাদেরকে বেকসুর খালাছ প্রদান করা এবং তার পাশাপাশি কথিত ইমাম নামধারী ঐ গোস্তাখে রসূল ও কুলাঙ্গারকে এবং মালঊন কুলাঙ্গারকেও গ্রেফতার করে হাজতে প্রবেশ করানো এবং তাদের উপর শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়ন করা। আর জনগণের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে উক্ত কাজে পূর্ণ সমর্থন করা এবং সার্বিক সহযোগিতা করা।
অতএব, কথিত ইমাম নামধারী ঐ গোস্তাখে রসূল ও কুলাঙ্গার যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানি করেছে, তাই তার একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












