সম্মানিত যাকাত শব্দের অর্থ
সম্মানিত যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অত বাকি অংশ পড়ুন...
২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ:
ক) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কষ্ট দেয়ার অর্থই হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া। তারা ইহকাল ও পরকালে লা’নতগ্রস্ত। তাদের একমাত্র শরঈ শস্তি মৃত্যুদ-। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। যারা তাদের সমর্থন করবে, তাদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই হুকুম:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ الْاَوَّلِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ বাকি অংশ পড়ুন...
আপনারা জানেন কি? একসময় বাঙ্গালাহ সালতানাত অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে মুসলমান মুদ্রা প্রচলিত ছিলো। মুসলমান শাসন ব্যবস্থায় শাসকের নামে মুদ্রা প্রচলন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। ১২০৫ খ্রি: গৌড় বিজয়ের স্মরণে সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুলতান মুহম্মদ বিন সামের নামে গৌড় থেকে মুদ্রা জারি করেন।
এটিই ছিল বাংলায় জারি করা প্রথম মুসলমান মুদ্রা। গৌড় বিজয়ের সময় থেকে বাংলায় স্বাধীন সালতানাত প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ বছর বাংলা দিল্লির সুলতানদের অধীন একটি প্রদেশ হি বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
উনার আসল নাম জা’ফর বিন ইউনুস, যদিও কেউ কেউ অন্যান্য নামও বলেছেন। কারণ বাগদাদে উনার মাযার শরীফের উপর যে শিলালিপি রয়েছে তাতে জা’ফর বিন ইউনুসই লিখা রয়েছে। (নাফাহাতুল উন্স)
তবে তিনি উনার কুনিয়াত বা উপনাম “আবূ বকর শিবলী” দ্বারা মশহুর। তিনি তৃতীয় তবকার আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে একজন। তিনি বাগদাদের অধিবাসী ছিলেন। হযরত খাজা খায়ের নাসসাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে তিনি তওবা করেন, কিন্তু হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট আরিফ ছিলেন এবং মজলিসে ওয়াজ নছীহত বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত প্রদান করার ক্ষেত্রেও শরয়ী খুঁতমুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রদান করতে হয়, নতুবা যাকাত আদায় হবে না। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন-
تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰى. وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ. وَاتَّقُوا اللهَ. اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ : তোমরা নেককার ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে ও শত্রুতাতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না। আর এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (পবিত্র সূরা মায়িদা : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
সুতরাং সম্মানিত যা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ই’তিকাফকারীর জন্য নিষিদ্ধ কাজ
সম্মানিত ই’তিকাফ অবস্থায় জাগতিক ফায়দাদায়ক কাজ করা অবস্থাভেদে হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী হবে।
১. মু’তাকিফ ব্যক্তি পবিত্র মসজিদে এসে কোন ফাহেশা, অশ্লীল-অশালীন ও অপ্রয়োজনীয় কথা বা কাজ করবে না এবং কোন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল না থেকে চুপ করে বসে থাকা মাকরূহ। ঘুম ব্যতীত বাকি সময় ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে। যেমন- পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র নফল নামায, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র যিকির-ফিকির করা, কিতাব পাঠ করা, ইলিম অর্জন করা ইত্যাদি।
২. সম্মানিত ই’তিকাফকারী ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ, বাকি অংশ পড়ুন...
(ধারাবাহিক পর্ব- ০৬)
সাম্প্রতিক কালের বিশিষ্ট হাদীছ শরীফ বিশারদ শায়েখ মুহম্মদ বিন ছালিহ আল উছাইমিন উনাকে ‘গরুর গোশতে রোগ আছে’ এই হাদীছের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো। জবাবে তিনি বলেন-
هذا الحديث الذي فيه أن لحم البقر داء هذا حديث باطل مكذوب على الرسول صلى الله عليه وسلم، ولا يمكن أن يصح إطلاقاً؛ لأن الله سبحانه وتعالى يقول فيما أحل لنا: { وَمِنَ الإِبِلِ اثْنَيْنِ وَمِنَ الْبَقَرِ اثْنَيْنِ قُلْ آلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ الْأُنْثَيَيْنِ أَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ الْأُنْثَيَيْنِ} [الأنعام:১৪৪] فأباح الله عز وجل لحم البقر، وهل الله تعالى يبيح لعباده ما هو داء؟ لا. لا يمكن أن يبيح ما هو داء، إذاً: فهذا الحديث نعلم أنه مكذوب، وقد خرجه بعض الأخوة من طلب বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমরা নেকী ও পরহেজগারীর মধ্যে সাহায্য করো। আর পাপ ও শত্রুতা অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরোধিতা বা নাফরমানীর মধ্যে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠোর শাস্তিদাতা। ” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
কাজেই মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ৫টি বুনিয়াদ উনার মধ্যে অন্যতম হলেন পবিত্র যাকাত। এখন এই পবিত্র যাকাত কোথায় কাকে বাকি অংশ পড়ুন...












