চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের ফায়ছালা:
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
নাক, কান ছিদ্র করা:
রোযা রেখে কেউ যদি গহনা পরিধানের জন্য নাক, কান ছিদ্র করে, তবে রক্ত বের হলেও রোযা ভঙ্গ হবে না কিন্তু তাতে যদি মলম লাগনো হয়, (ointment - যেগুলোতে ওষুধ রয়েছে) তবে রোযা ভঙ্গ হবে।
দাঁত তোলা:
রোযা রেখে, স্থানিক চেতনানাশক (local anesthesia) ছাড়া দাঁত তুললে রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে যদি কিছু পরিমাণ রক্ত ভিতরে চলে যায়, রোযা ভঙ্গ হবে। কিন্তু স্থানিক চেতনানশক দিয়ে দাঁত তুললে রোযা ভঙ্গ হবে।
ইনসুলিন গ্রহণ:
এমন অনেক রোগী আছেন, যারা রোযা না রাখার মত অসুস্থ নন কিন্তু রোযা রাখার সামর্ বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি কোনো বাহন ছাড়া শুধুমাত্র হেঁটে ১৫ বার পবিত্র হজ্জ মুবারক সম্পাদন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! একবার তিনি পবিত্র হজ্জ মুবারক করার জন্য হেঁটে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ গমন করছিলেন। পথিমধ্যে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) ফুলে গেলেন। তা দেখে উনার খাদিম আরজ করলো, হে আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ
গ) যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানী করবে, উনাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কেননা উনাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ার অর্থই হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া, উনার মানহানী করা।
মাহবূবে এলাহী, আরিফ বিল্লাহ, আদীব, শায়ির, ছাহিবুস শুজা‘য়াহ, ছাহিবু হুসনিস সীরাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবন বাকি অংশ পড়ুন...
রিয়াজত-মাশাক্কাত:
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিযামিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নকালে বাগদাদ শরীফের বিভিন্ন আওলিয়ায়ে কিরাম তথা পীর মাশায়িখগণের দরবার শরীফে যাতায়াত করতেন। মাদরাসায় ইলমে ফিকাহ তথা জাহিরী ইলিম হাছিলের পাশাপাশি বাতিনী ইলিম তথা ইলমে তাছাউফ হাছিলের লক্ষ্যেই ছিল সেই যাতায়াত। তিনি অতি অল্প বয়সেই এই উপলব্ধির চরম স্তরে পৌঁছেছিলেন যে, শুধু ইলমে ফিক্বাহ তথা জাহিরী ইলিম দ্বারা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার বুযূর্গী সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
مَنْ اكْرَمَ شَهْرَ اللهِ رَمَضَانَ اَكْرَمَهُ اللهُ تَعَالَـى بِالْـجَنَّةِ
অর্থ : যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনাকে সম্মান করলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সম্মানিত জান্নাত দিয়ে সম্মানিত করবেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে উল্লেখ আছে যে, একজন বুযূর্গ ব্যক্তি একবার স্বপ্নে দেখেন- এক ইহুদী মহিলা সম্মানিত জান্নাতে বিচরণ করছেন, খুব আরাম-আয়েশে আছেন। বুযূর্গ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে মহিলা! আপনি তো ইহুদী ছিলেন, আপনি কি করে সম্মানিত জান্নাতে বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বিশেষ রহমত মুবারক উনার কারণে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে প্রতিটি নেক কাজের বিনিময়ে সত্তরগুণ বেশি নেকী দান করেন সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যেই পবিত্র যাকাত প্রদান করতেন। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ يَقُولُ : هَذَا شَهْرُ زَكَاتِكُمْ فَمَنْ كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ فَلْيُؤْدِّ دَيْنَهُ حَتَّى تَحْصُلَ أَمْوَالُكُمْ فَتُؤَدُّونَ مِنْهَا الزَّكَاةَ.
অর্থ: বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ رضى الله تعالى عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ زَادَ حضرت ابْنُ عُيَيْنَةَ رحمة الله عليه فَإِنَّهُ بَرَكَةٌ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّهُ طَهُورٌ.
অর্থ: হযরত সালমান ইবনে আমির দববিয়্যী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ যদি ইফতার করে তবে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। হযরত ইবনে উয়ায়না রহমতুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশী দেওবন্দী-খারেজীদের নারী নিয়ে মাখামাখি:মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সূরা নূর শরীফে ও সূরা নিসা শরীফে এবং সূরা আহযাব শরীফের মাধ্যমে ‘পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন। এই সূরা শরীফসমূহে শুধু মহিলাদের পর্দাকে ফরয করা হয়নি, পুরুষদের পর্দাকেও ফরয করা হয়েছে। একজন বেগানা পুরুষ কর্তৃক একজন বেগানা মহিলাকে দেখা যেমন হারাম, তেমনি একজন বেগানা মহিলা কর্তৃক একজন বেগানা পুরুষকে দেখা হারাম করা হয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফে আছে, ‘অনিচ্ছাকৃত প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু তারপর প্রতি দৃষ্টিতে একটি করে কবীরা গুনাহ লেখা বাকি অংশ পড়ুন...
(ধারাবাহিক পর্ব- ০৫)
ইবনে ক্বাইয়্যুম বলেন-
ولا يثبت ما فى هذا الإسناد
অর্থ: এই সনদ প্রমাণিত নয়। (আত্ব তিব্বুন নববী লি ইবনে ক্বাইয়্যিম ২৪৫ পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই রাবীকে উনার ‘আল মুগনী ফিদ্ব দুআফা’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন-
دفاع بن دغفل عن عبد الحميد بن صيفي ضعفه أبو حاتم
অর্থ: দাফফা’ ইবনে দাগফল তিনি আব্দুল হামীদ ইবনে ছাইফী উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করতেন। হযরত আবূ হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে দুর্বল বলেছেন। (আল মুগনী ফিদ্ব দুআফা ১/২২৩)
হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে উনার ‘আদ্ব দ বাকি অংশ পড়ুন...
‘ইসলাম’ শান্তির দ্বীন। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুসরণে মুসলমান-ঈমানদারগণ শান্তিতে থাকেন ও শান্তিতে থাকতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অন্যতম উছুল হলো- ফিতনা-ফাসাদ হলো- খুন বা হত্যার চেয়েও বেশি ঘৃণিত ও ভয়ঙ্কর।
মুসলমান-ঈমানদারদের এই শান্তিপ্রিয়তা ও শান্তভাবকে অমুসলিম-বিধর্মীরা সুযোগ মনে করে দ্বীন ইসলাম ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে হিংসাত্মক ও ঘৃণাত্মক কথা-বার্তা বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
স্বাভাবিকভাবেই অমুসলিমদের ইসলাম অবমাননার এ বিষয়টি সকল মুসলমানদেরকেই পীড়িত করে, অন্তরকে ব্যথিত করে। যে কারণে মুসলম বাকি অংশ পড়ুন...












