مَنْ تَعَلَّمَ مَسْأَلَةً وَاحِدَةً قَلَّدَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَلَادَةً مِّنْ نُّوْرِ، وَغَفَرَلَهٗ أَلْفَ ذَنْبٍ، وَبَنٰى لَهٗ مَدِيْنَةً مِّنْ ذَهَبٍ، وَكَتَبَ لَهٗ بِكُلِّ شَعْرَةٍ عَلٰى جَسَدِهٖ ثَوَابَ حَجَّةٍ وَّعُمْرَةٍ ـ
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি একটি মাসয়ালা শিক্ষা করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিয়ামতের দিন নূরের অনেকগুলো মালা তার গলায় পরিয়ে দিবেন, তার এক হাজার গুনাহখাতা ক্ষমা করবেন, তার জন্য স্বর্ণ দ্বারা একটি শহর তৈরী করে দিবেন, আর তার শরীরের প্রতিটি পশমের বাকি অংশ পড়ুন...
উনার জীবনী মুবারক সম্পর্কে এইটুকু জানা যায়, তিনি তারতুস শহরের অধিবাসী ছিলেন। হযরত শায়েখ আব্দুল ওয়াহেদ তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খলীফা ছিলেন। নিজ সময়ের ছাহিবে মাকাম দরবেশ ও জামে’ কামালাতের অধিকারী শায়েখ ছিলেন। (সফিনাতুল আওলিয়া)
কোন কোন সীরতের কিতাবে এইরূপ উল্লেখ আছে যে, উনার প্রকৃত নাম মুহম্মদ ইউসুফ, আবুল ফাররাহ উনার উপনাম বা কুনিয়াত, তিনি শায়েখে তরীক্বত, কামেল ওলী এবং জাহেরী ও বাতেনী ইলিমে পরিপূর্ণ ছিলেন। তিনি একজন কারামত সম্পন্ন বুযূর্গ ছিলেন। ছবর ও তাওয়াক্কুলে উনার মাকাম অনেক উর্ধ্বে ছিলো। উনার যামানার উলামা ও মা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِى اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ وَفِى رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যেরূপ সম্মানিত ও অনুসরণীয়, শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনিও উনার অধীনস্থদের নিকট তদ্রƒপ সম্মানিত ও অ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ হাদিয়া মুবারক করার সাথে সাথে অনুরূপ তথা মহাপবিত্র সুন্নত মুবারকও হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে বরং মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক কালামুল্লাহ শরীফ থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রচার ও প্রসারে অগ্রগামী হয়ে মুবারক নির্দেশনা মুতাবিক সুন্নত মুবারক অনুসরণের মাধ্যমেই হাক্বীক্বী হিদায়েত মুবারক লাভ করার সাথে সাথে ঈমান ও আমলের উপর ইস্তিক বাকি অংশ পড়ুন...
পরিখা খননকালে প্রকাশিত কতিপয় মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মু’জিযাহ শরীফ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ حضرت جَابِرٍ رضي الله تعالى عنه: لَمَّا حُفِرَ الخَنْدَقُ رَأيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً، فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأتِي، فَقُلتُ: هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ ؟ فَإنّي رَأيْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً شَديداً، فَأخْرَجَتْ إلَيَّ جِرَاباً فِيه صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ، وَلَنَا بَهِيمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا، وَطَحَنتِ الشَّعِيرَ، فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغي، وَقَطَعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا، ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَت: لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ، فَجِئتُهُ فَسَارَرْت বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাক্বাম সর্বোচ্চে। মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার নেয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব। খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক ও উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছেন মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়ষ্ক মুমিন মুসলমান ছেলে মেয়ে সবার জন্যই ফরযে আইন। আর বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, পবিত্র দ্বীন ইসলামে নির্দেশিত প্রতিটি আমল আখলাক ছোট বেলা হতে শিক্ষা দিতে হয় কিংবা প্র্যাকটিস করাতে হয়। এটা প্রত্যেক মুসলিম অভিভাবকদের জন্য ফরজ। কিন্তু বর্তমানে মানুষ দুনিয়াদারীতে এতটাই মগ্ন হয়ে গেছে যে, সামান্য দুনিয়াবী পড়ালেখার অজুহাতে, পরীক্ষার অজুহাতে, শারীরিক দুর্বলতার অজুহাতে অতি দয়া মায়া দেখিয়ে মুসলমান নামধারী পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদেরকে ফরয রোযা রাখা হতে বিরত রাখার অপচেষ্টা করে বাকি অংশ পড়ুন...
বিষয়গুলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আলোচিত হচ্ছে না। হচ্ছে ‘পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ’, ‘মূল্যবোধের অবক্ষয়’, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট ইত্যাদি শিরোনামে। অনেকটা ধর্মনিরপেক্ষ স্টাইলে আলোচনা যা হচ্ছে, তার সমাধান বলতে হাক্বীক্বতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খুব কাছাকাছি যাওয়া হচ্ছে। এক কথায় এসব সমস্যার ক্ষেত্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বর্ণিত পর্দার প্রচলনের কথা বললে সব সমাধানই এসে যায়।
প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, ছাপার বক্তব্যে অথবা টকশোতে জোরালোভাবেই আলোচনা এসেছে- মাদক, এনার্জি ড্রিংক, পর্নো- এগুলো নিয়ে জনতার একটা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সুতরাং যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত হিদায়াত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
জুব্বা পরিধান করা খাছ সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জুমুয়া, ঈদ এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কামীছ বা কোর্তা মুবারকের উপরে জুব্বা মুবারক পরিধান করতেন। জুব্বা কালো, গন্ধম ইত্যাদি রং-এর হওয়া সুন্নত মুবারক। জুব্বা হচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...












