মন্তব্য কলাম
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
বিষয়গুলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আলোচিত হচ্ছে না। হচ্ছে ‘পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ’, ‘মূল্যবোধের অবক্ষয়’, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট ইত্যাদি শিরোনামে। অনেকটা ধর্মনিরপেক্ষ স্টাইলে আলোচনা যা হচ্ছে, তার সমাধান বলতে হাক্বীক্বতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খুব কাছাকাছি যাওয়া হচ্ছে। এক কথায় এসব সমস্যার ক্ষেত্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বর্ণিত পর্দার প্রচলনের কথা বললে সব সমাধানই এসে যায়।
প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, ছাপার বক্তব্যে অথবা টকশোতে জোরালোভাবেই আলোচনা এসেছে- মাদক, এনার্জি ড্রিংক, পর্নো- এগুলো নিয়ে জনতার একটা বড় অংশ শুধু বেশামাল নয়; উন্মাতাল হয়ে উঠছে। শিশু-কিশোররা ডিজে-পার্টিতে যোগদান করছে। রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাসসহ শুধু সব অভিজাত মার্কেটই নয়; রাজধানীর অলি-গলিতেও হাজারো নামের পর্নোসিডি বিক্রি হচ্ছে। স্কুলের কোমলমতি কিশোররা ৩০/৪০ টাকায় পেনড্রাইভে ডাউনলোড করে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সরকারের অনুমোদিত আইনে পর্নোগ্রাফি বহন, বিনিময়, মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বিক্রি ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধানসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে বাদীর শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন অনুমোদনকারী মন্ত্রিসভায় উল্লেখ করেছে সমাজে পর্নোগ্রাফি ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
বলাবাহুল্য, আইন করে এ পর্নোগ্রাফি এবং মাদকের বিন্দুমাত্র রোধ করতে পারেনি সরকার। মূলত সরকারই পর্নোগ্রাফি ও মাদকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সরকারের সেন্সরশীপের পরও বিলবোর্ড, সিনেমা, নাটক, মুভি তথা পেপার-পত্রিকায় যেসব সুন্দরী ও বিবস্ত্রপ্রায় নারীর অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গীমা চিত্রিত হয়। তাই দেখে শিশু-কিশোরসহ বয়স্করা পর্নোগ্রাফির পূর্ণ ছবক পায়। এরপর হাত বাড়ালেই মেলে আসল পর্নোগ্রাফি।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে সরকারের লোকবল এমনিতেই নগণ্য। আর দু’-চারজন যা আছে, তারাই পর্নোগ্রাফি ও দুর্নীতি দুটোতেই আসক্ত। সুতরাং সরকারের নছীহত আর খোঁড়া আইনের কথা বলে পর্নোগ্রাফি ও মাদক কোনোটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। পর্নোগ্রাফিসহ বর্তমান সংস্কৃতিতে মানুষ আশে-পাশে তাকালেই বহু সুন্দরী মেয়েলোক দেখে। অপরদিকে নারীরা দেখে পুরুষ। উভয়ের মাঝেই জেগে উঠে কামুক প্রবৃত্তি। এর অবসান কিভাবে হবে?
মূলত, কাফির-মুশরিকরা বহু আগেই খুব সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে ও কৌশলে শেষ রহমতটুকুও উঠিয়ে নিয়েছে। কাফিররা খুব কৌশলে ও ঘৃণাভরে প্রচার করেছে, ‘মৌলভী সাহেবরা বিজ্ঞানের কথা বাদ দিয়ে শুধু হুর-গেলমানের ওয়াজ করেন। দুনিয়াবী কাজের কথা বাদ দিয়ে শুধু বেহেশতে যাওয়ার কথা বলেন। ”
বলাবাহুল্য, বেহেশতের হুর-গেলমানের যে বর্ণনা আছে, তা ফিকির করে একজন মানুষ তার চারপাশের সুন্দরী মেয়েলোকের কথা ভুলে থাকতে উৎসাহ পেতো। না তাকানোর শক্তি পেতো। অশ্লীল চিন্তা ও পথ পরিহার করার ক্ষমতা পেতো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, ইজ্জত-সম্ভ্রম হিফাযতকারী পুরুষ ও ইজ্জত-সম্ভ্রম হিফাযতকারী নারী এবং যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারীদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “বেহেশতে থাকবে আনত-নয়না হুরগণ। যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহর। ”
তাফসীরে লেখা হয়- বেহেশতের কোনো হুরের দেহের এক বিন্দু যদি দুনিয়াতে প্রকাশ পেতো, তাহলে গোটা দুনিয়া ঝলমল করে উঠতো। তাফসীরে বেহেশতের হুরদের যে ভুবন ভুলানো সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে, তার আশায় খুব সহজেই সাধারণ মানুষ এ গোটা জিন্দেগীর বেপর্দাগিরি ছেড়ে দিতে পারে। অনেক বড় কিছুর এবং বিশেষত অনন্তকালের সুখের আশায় কদর্যময় দুনিয়ার কিঞ্চিত কণ্টকযুক্ত সুখ ছেড়ে দেয়া সম্ভব।
অপরদিকে পর-নারীর দিকে তাকালে দোযখে যে আগুনের নারী তৈরি হবে, তারা ব্যভিচারকারীদের একান্তবাসে বাধ্য করবে, তখন তাদের আগুনের দেহের চাপে সে জ্বলে পুড়ে ছারখার হবে। এই তথ্যেরও প্রচার দরকার। এই তথ্য যেমন অনিবার্য সত্য। তেমনি আগুনের নারীর একান্তবাসে ভীত হয়ে প্রতিটি মুসলমান আমল করতে বাধ্য।
মূলত, এসব তথ্য জ্ঞাপন করেছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মাহকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু উম্মাহ যে সতর্কতার পথে না গিয়ে- পরকীয়া, লিভ টুগেদার, সংস্কৃতিমনা, প্রগতিশীল ইত্যাদি শব্দের স্রোতে ভেসে চলছে। পারিবারিক বন্ধন থেকে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করতে চাইছে। তাই তাদেরকে তাজদীদ করে পুনরায় সতর্ক করতে চাইছেন; বেহেশতের সুখ-শান্তি, দোযখের আযাবের কথা জানাতে চাইছেন যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি বলছেন, ছবি তোলা হারাম, পর্দা পালন করা ফরয।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












