সম্মানিত খন্দক জিহাদের সর্বশেষ আলোচনা:
হযরত ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ সম্মানিত জিহাদে কাফির মুশরিকদের মধ্যে তিনজন কাফির মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামে চলে যায়। তারা হচ্ছে- নওফল ইবনে আব্দুল্লাহ, আমর ইবনে আব্দুদ দার এবং মুনিয়া ইবনে উবাইদ।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে ছয়জন ছাহাবী শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন-
১. হযরত সা‘দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আনাস ইবনে আবিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল রদ্বিয়াল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির-মুশরিকরা লাঞ্ছিত ও পরাজিত হওয়ার পরও তাদের ষড়যন্ত্র ও শত্রুতা:
জীবনী লেখকগণ বলেন, সম্মানিত খন্দক জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর একদিন আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (তিনি তখনও ঈমান গ্রহণ করেননি) তিনি কাফির-মুশরিকদের কঠিন ষড়যন্ত্রকারীদের কথায় বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছো যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ যেয়ে ওঁৎ পেতে বসে থাকতে পারবে? এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিশোধ আমাদেরকে নিতেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ! তিনিতো হাট-বাজার-রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করেন। বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির-মুশরিকদের লাঞ্ছিত ও পরাজিত হয়ে জিহাদের ময়দান থেকে রাতারাতি পলায়ন:
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দক জিহাদের সময় আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে দোয়া মুবারক করার আর্জি জানাই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করার তা’লীম মুবারক দান করেন।
اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِنَا وَاٰمِنْ رَوْعَاتِنَا قَالَ: فَضَرَبَ اللّٰهُ وُجُوهَ أَعْدَائِه بِالرِّيحِ وَهَزَمَ ال বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির-মুশরিকদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর:
হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, তখন শৈত্য প্রবাহ চলছিলো। ঠান্ডার কারণে অনেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না। এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি উঠে খুব দ্রুত উনার নিকট হাযির হয়ে বললাম, লাব্বাইক ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি গ বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির-মুশরিকদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর:
বনু কুরাইজা ও বনু গাতফান গোত্রের মতানৈক্যের কথা যথাসময়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে পৌঁছে গেলো। তিনি জানতে পারলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে কাফির-মুশরিকদের সম্মিলিত বাহিনীর ঐক্য চূর্ণ করে দিয়েছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ডাকলেন এবং বললেন, ‘আপনি দেখে আসুন, রাতে তাদের কি ঘটেছে?’
ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আ বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির-মুশরিক ও ইহুদীদের
মাঝে বিভেদ সৃষ্টি:
হিজরী ৬ষ্ঠ সালে ঐতিহাসিক খন্দক জিহাদ সংঘটিত হয়। এই সম্মানিত জিহাদ মুবারকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান মুবারক প্রকাশ পায়। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (তিনি পরবর্তীতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন) ও গাতফান গোত্রের নেতৃবৃন্দ বনূ কুরাইজার কাছে হযরত ইকরামা ইবনে আবূ জাহল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে কুরাইশ ও গাতফানের কতিপয় প্রতিনিধিসহ প্রেরণ করে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নুয়াইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক মুশরিকদের সাথে হিকমত:
এরপর হযরত নুয়াইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কুরাইশ কাফির মুশরিকদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে (যিনি তখনও ঈমান আনেন নি) ও উনার সাথে অন্যান্য কুরাইশ কাফির-মুশরিকদের নেতৃবৃন্দকে বললেন, তোমাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব পূর্ব থেকে তা তোমাদের জানা আছে। আমার সাথে তোমাদের সম্পর্কটাই বড়। আমার কানে একটা সংবাদ পৌঁছেছে, যা একজন শুভাকাঙ্খী হিসাবে তোমাদের জানানো আমি কর্তব্য বলে মনে করছি। তবে শর্ত হলো আমার কথা তোমাদের অব বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক কাফির-মুশরিকদের প্রতি নিন্দা:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দ নিহত হওয়ার পর হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (যিনি তখনও ঈমান আনেননি) পরাজিত হয়ে পিছু হটলেন। তখন তিনি নিজ বর্শাটিও ফেলে যান। এ সম্পর্কে হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
فَرَّ وَأَلقى لَنا رُمحَهُ - لَعَلَّكَ عِكرِمَ لَم تَفعَلِ
وَوَلَّيتَ تَعدو كَعَدوِ الظَليمِ - ما إِن تَجورُ عَنِ المَعدِلِ
وَلَم تُلقِ ظَهرَكَ مُستَأنِساً - كَأَنَّ قَفاكَ قَفا فُرعُلِ
“তিনি প্রাণ নিয়ে পালালেন, আর বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম কর্তৃক কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দকে হত্যা:
ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার তরবারী মুবারক উনার আঘাতের এতো অধিক কুওওয়াত ছিলো যে, এক আঘাতে কাট্টা কাফির আমরের কাঁধ থেকে কোমর পর্যন্ত দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত উচ্চ আওয়াজ মুবারকে তাকবীর মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহ! কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দে উদ্দের নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে হযরত ছাহাবায়ে কির বাকি অংশ পড়ুন...
অন্য বর্ণনায় রয়েছে-
إنك كنت تقول لا يدعوني أحد إلى واحدة من ثلاثة إلا قبلتها قال أجل
‘তুমি না বলতে যে, যুদ্ধের ময়দানে যদি কোনো বীর তার প্রতিপক্ষকে তিনটি প্রস্তাব দেয়, তা হলে সেগুলোর যে কোনো একটি তাকে গ্রহণ করতে হবে। সে বললো, হ্যাঁ; অবশ্যই। ’
তখন ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
فإني أدعوك أن تشهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم وتسلم لرب العالمين فقال يابن أخي أخر عني هذه
‘আমি তোমাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো মা’বূদ নেই এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম কর্তৃক কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দকে হত্যা:
এই পরিখা খনন ও তার আশপাশে মুসলিম সেনাদের কড়া প্রহরার ফলে বহু দিন ধরে অবরোধ চালিয়ে যেতে হয়েছিলো সকল কাফির বাহিনীকে। তীব্র শীত শুরু হওয়ায় এবং খাদ্য-দ্রব্য ও রসদ ফুরিয়ে আসায় পরিস্থিতি ক্রমেই কাফিরদের জন্য হতাশাজনক হয়ে পড়ছিলো। তাই কাফির নেতারা যে কোনোভাবে পরিখা অতিক্রম করে মুসলমানদের উপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর মহাপবিত্র মদীনা শরীফের ভিতর থেকে ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজা কাফিরদের জন্য পথ খুলে দেবে ও শহরের ভিতরে আকস্মিক লু বাকি অংশ পড়ুন...












