সে আরো দোয়া করলো, কান্নাকাটি করলো, তারপর সে তার মাথা উত্তোলন করলো এবং সামনে বসা হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বললো, হুযূর! আমাকে আপনি চিনেছেন?
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “কে তুমি”?
আপনার কি স্মরণ নেই, বছরার বাজারে একবার এক ইহুদী মহিলা, একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছিলো, আপনি নিষেধ করেছিলেন। আমি সেই মহিলা। আমি বলেছিলাম, হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনিতো দিলের খবর রাখেন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তুমি কি সেই মহিলা? মহিলা বললো, হুযূর! আমি যে দান করেছিলাম তার বদৌলতে মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, অনুরসণ-অনুকরণ করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে। অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে। ” নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, আহমদ শরীফ, মুসনাদে বাযযার, আল মু’জামুল আও বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَئْىٍ مِنْ نُوْرِىْ.
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার সম্মানিত নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং উহা থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। (মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক, তাফসীরে নিশাপুরী, মাকতুবাত শরীফ, নূরে মুহম্মদী, আর ইনসানুল কামীল, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী)
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলে আসা প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজনস্বীকৃত একটি ইবাদত হচ্ছে, পবিত্র ছলাতুল জুমুআহ উনার পূর্বের ৪ রাকাত নামায যা ‘ক্বাবলাল জুমুআহ’ নামে পরিচিত এবং পবিত্র ছলাতুল জুমুআহ শরীফ উনার পরে ৪ রাকাত নামায যা বা’দাল জুমুআহ্ নামে পরিচিত। আর পবিত্র বা’দাল জুমুআহ্ শরীফ উনার পর আরো ২ রাকাত নামায আদায় করতে হয়, যাকে সুন্নাতুল ওয়াক্ত বলা হয়। উল্লেখিত প্রত্যেকটা নামাযই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
কিন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ اِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللهِ الْمُصَوِّرُونَ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি শুনেছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দিবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে। (বুখারী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
ঐ কুলি ছেলেটি আবার মাছটা নিয়ে বাড়ীতে পৌঁছায়ে দিয়ে পারিশ্রমিক নেয়ার পর বললো, আমাকে তাহলে এখন চলে যাওয়ার এজাযত দেন।
কিন্তু বুযুর্গ ব্যক্তির স্ত্রী ঘটনাটা শুনার পর বললেন, তাহলে এক কাজ করেন, এই কুলি ছেলেটাকে দাওয়াত দেন। সেও আমাদের সাথে মাছ খাবে।
কিন্তু সেই কুলি ছেলেটি বললো, আমি একবার যেখানে যাই দ্বিতীয়বার সেখানে যাই না আর আমি আজকে রোযা। তখন সেই বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, তাহলে তুমি এক কাজ করো, আমাদের সাথে ইফতারী করে যাও। সে বললো, তাহলে আমি আপনাদের বাড়ীর নিকটে যে মসজিদ, সেখানে অপেক্ষা করতে থাকি। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে ইফতারীর পরে খাওয়া-দ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يَـقُوْلُ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِزَارِ فَـهُوَ فِي الْقَمِيْصِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, লুঙ্গি যেমন নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে, তদ্রুপ জামাও নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুল আওসাত, শুয়াবুল ঈমান ৮/২২০)
মূলত, ক্বমীছ বা জামা ও ইযার বা লুঙ্গি সমান সমান হতে পারে আবা বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ কবুলের আলামতসমূহ:
১. ভয় লাগা, ভীতি সঞ্চার হওয়া।
২. অন্তরের পরিবর্তন হওয়া, অসাধারণ অবস্থার সৃষ্টি হওয়া।
৩. শরীরের পশম দাড়িয়ে যাওয়া, শরীর শিউরে উঠা।
৪. অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়া।
৫. বিকট আওয়াজে ক্রন্দন করা।
৬. অজান্তেই হেসে দেয়া।
৭. অন্তরের পরিবর্তনের পর প্রফুল্লতা অনুভব করা।
৮. হৃদয় ও মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়া।
৯. সব কিছু হালকা পাতলা ও ঝরঝরে মনে হওয়া।
১০. নিজের উপর থেকে কোন বিপদ কেটে গেছে এমনটি মনে হওয়া।
১১. যা দু‘আ করেছে সরাসরি সেটা পাওয়া।
১২. যা চেয়েছে তার থেকে উত্তম কিছু পাওয়া।
১৩. ক্বলব বা অন্তরে ইতমিনান বা প্ বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حضرت أبي سعيدٍ الْخُدْرِيّ رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রلَا تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نصيفه.
অর্থ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিও না। কেননা যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত মুবারক সম্পর্কে অনেক আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে অনেক হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহাজির ও আনছার সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالسَّابِقُوْنَ الْأَوَّلُوْنَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِيْنَ اتَّـبَـعُوْهُمْ بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللهُ عَنْـهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ تَحْتَـهَا الْأَنْـهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْـهَا أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ
অর্থ: মুহাজির ও আনছার সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায় বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
অর্থ: আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং আপনার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং মু’মিনদের আহলিয়াগণকে বলে দিন- উনারা যেন উনাদের চাদরের একটা অংশ চেহারা ও বুকের উপর টেনে দেন অর্থাৎ পর্দা করেন। এটা হচ্ছে- উনাদের সম্ভ্রান্ত হওয়ার পরিচয় এবং উনাদেরকে বিরক্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “হে ব্যক্তি! তুমি কি নিজের কানে শুনেছ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার যবান মুবারকে একথা বলেছেন”
সে বললো, হ্যাঁ, আমি শুনেছি।
হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সত্য কথাই বলেছেন।
তিনি যখন একথা ব বাকি অংশ পড়ুন...












