পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: আমরা যখন মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করতাম, তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের সওয়ারী থেকে নেমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (পবিত্র হাত মুবারকে) এবং নূরুদ দারাজাত মুবারকে (পবিত্র ক্বদম মুবারকে) বুছা দিতাম। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুছ ছাহাবাহ্, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ্, শু‘আবুল ঈমান বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ وَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ مِائَةٌ يَغْلِبُوا أَلْفًا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَفْقَهُونَ.
অর্থ: আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিনদেরকে জিহাদ করার জন্য উৎসাহিত করুন। আপনাদের মধ্যে যদি ২০ জন ধৈর্য্যশীল, দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি থাকেন, তাহলে আপনারা ২০০ কাফিরের মোকাবেলায় বিজয়ী হবেন। আর যদি আপনাদের মধ্যে ১০০ লোক থাকেন, তাহলে আপনারা ১০০০ কাফিরদের উপর বিজয়ী হবেন। কারণ তারা জ্ঞানহীন। (পবিত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّهَا كَانَتْ قَدْ اِتَّخَذْتُ عَلٰى سَهْوَةٍ لَّهَا سِتْرًا فِيْهِ تَمَاثِيْلُ فَهَتَكَهُ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে অপর একটি বর্ণনা মুবারক-এ এসেছে যে, একবার তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ উনার জানালা মুবারকে একটি পর্দা মুবারক ঝুলিয়েছিলেন, যাতে প্রাণীর ছবি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পর্দাটিকে ছিঁড়ে ফেললেন। (মি বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই প্রত্যেক কথা লিখে রাখা হবে। সুতরাং সাবধাণতার সাথে কথা বলতে হবে। মানুষের চলাফেরা, উঠাবসা, খাওয়া-দাওয়া, আচার-ব্যবহার, কথা-বার্তা, চাল-চলন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তাকে তাকওয়া অবলম্বন করে চলতে হবে, কোন অবস্থাতেই সে তাকওয়ার খেলাফ করতে পারবে না। যদি করে, তার আমলে ঘাটতি হবে, ইহকালে তার ক্ষতি হবে, পরকালেও তার ক্ষতি হবে।
আর যদি সে তাকওয়া অবলম্বন করে চলে, ইহকালে সে ফায়দা পাবে, পরকালেও সে ফায়দা পাবে। সব জায়গায় সে মর্যাদাবান হবে, কোন জায়গায় তার মর্যাদার ঘাটতি হবে না।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لِّقِرَائَتِهٖ لَايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ
অর্থ: যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, মর্যাদা দিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজাম মুবারক করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথমত: উনার সম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং সম্মানিতা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা।
দ্বিতীয়ত: উনার সম্মানিতা আযওয়াজ বা আহলিয়া হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা।
তৃতীয়ত: উনার সম্মানিত আবনা আলাইহিমুস সালাম-সম্মানিতা বানাত আলাইহিন্নাস সালাম এবং সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনারা।
বাকি অংশ পড়ুন...
৩ নং হাদীছ শরীফ:
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اَرْبَعًا وَبَعْدَهَا اَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ
অর্থ: “রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (পবিত্র জুমুয়ার দিন) পবিত্র ছলাতুল জুমুয়াহ আদায় করার পূর্বে পৃথক না হয়ে অর্থাৎ এক সালামে চার রাকায়াত ছলাত আদায় করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ১০/২৭৬, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ২/২৩০, হাদ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থ: “তোমাদের উপর জিহাদ ফরয করা হয়েছে। যদিও তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়; কিন্তু তোমরা যা পছন্দ করো না সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ করো সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন, তোমরা জানো না। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ২১৬)
বাকি অংশ পড়ুন...
তাইয়াম্মুমের শর্ত
১. নিয়ত করা,
২. পাক মাটি হওয়া,
৩. উভয় হাত মাটিতে মারা,
৪. পানির অভাব কিংবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হওয়া,
৫. তিন অঙ্গুলির কম দ্বারা তাইয়াম্মুম না করা।
তাইয়াম্মুম ওয়াজিব হওয়ার শর্ত
১. মুসলমান হওয়া,
২. বুদ্ধিমান হওয়া,
৩. বালেগ/বালেগা হওয়া,
৪. হাদাছ (অজু ও গোসল উনাদের কারণ) বর্তমান থাকা,
৫. হায়িয বা মাসিক মাজুরতা না থাকা,
৬. নিফাস বা সন্তান প্রসবের পর মাজুরতা না থাকা,
৭. যেসব বস্তুর দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয হয়, তা ব্যবহারে সক্ষম হওয়া।
যেসব বস্তুর দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয
মাটি কিংবা মাটি জাতীয় পাক জিনিসের উপর তাইয়াম্মুম করা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই যে ওয়াকেয়াগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো ফিকির করে শুনতে হবে।
فِكْرُ سَاعَةٍ خَيْرٌ مِّنْ عِبَادَةِ سِتِّيْنَ سَنَةٍ
অর্থ: কিছুক্ষণ সময় ফিকির করা ষাট বৎসর ইবাদত থেকে উত্তম।
কাজেই প্রত্যেকেরই এটা ফিকিরের বিষয় রয়ে গেছে, চিন্তার বিষয় রয়ে গেছে। কাজেই যেটা বলা হচ্ছে, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, তাহলে বুঝতে সোজা হবে। আর ফিকির না করলে সেটা বুঝা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস স বাকি অংশ পড়ুন...












