মহান আল্লাহ্ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ্্ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اِنَّـمَا الْـخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, বেদী, মূর্তি পূজা (অর্থাৎ মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য প্রাণীর ছবি ইত্যাদি।) ও ভাগ্য নির্ধারক তীরসমূহ ঘৃণ্য অপবিত্র বস্তু, শয়তানী কাজ। সুতরাং তোমরা এগুলো বর্জন কর, এতে তোমরা অবশ্যই সফলকাম হতে পারবে। (সূরা মায়িদাহ্্: আয়াত শরীফ ৯০)
অত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে اَلْأَنْصَابُ শব্দটি দ্বারা মূর্তি, ভাস্কর্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِىْ فَلَوْ أَنَّ اَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهُ
অর্থ: তোমরা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কেননা যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, তবুও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম দান করার ফযীলতের সমপরিমাণ ফযীলতও অর্জন করতে পারবে না। (বুখারী শরীফ)
আজ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ
অর্থ: “তোমরা মূর্তি-ছবির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো।” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ
অর্থ: “অবশ্যই আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই একজন সম্মানিত রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করেছি এই জন্য যে, যেন তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করো এবং তাগুত অর্থাৎ মূর্তিপূজা থেকে দূরে থাকো।” (পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
এই সম্মানিত আয়াত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নছর শরীফ উনার বরকতময় শানে নুযূল বা অবতীর্ণের কারণ
‘পবিত্র সূরা নছর শরীফ’ উনার বরকতময় শানে নুযূল সম্পর্কে কয়েক প্রকার বর্ণনা রয়েছে। উনার শানে নুযূলে বলা হয়, প্রথমবার নাযিল হয়েছে হুদায়বিয়ার সন্ধির পর। কারণ হুদায়বিয়ার সন্ধিকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে প্রকাশ্য বিজয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই পবিত্র সূরা শরীফ উনার প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য ও প্রকাশ্য বিজয় মুবারক উনার কথা বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য, হুদায়বিয়ার সন্ধি উনার পরেই কুরাঈশ ও অন্যান্য কওমের লোকেরা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
আখিরী যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল যিনি জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আসবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তিনিতো মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন একক। উনার পরে মর্যাদা সম্পন্ন যে সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা রয়েছেন উনাদের প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই রয়েছেন হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি।
তিনি যখন আখ বাকি অংশ পড়ুন...
এ বিষয়টিই ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারকে বর্ণিত রয়েছে, উনি ছিলেন মুখলিছ বা মুখলাছ। ইখলাছপ্রাপ্ত বা ইখলাছ হাছিলকারী। এখন ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারকে বর্ণিত রয়েছে যে, মুখলিছ, যারা ইখলাছকারী উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন, কতটুকু ভয় করেন? কঠিন বিষয়, সূক্ষ¥ বিষয়।
যে সম্পর্কে আমি পূর্বে বলেছি গউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার যে ওয়াকিয়া, ঠিক ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াকি বাকি অংশ পড়ুন...
বুখারী শরীফ ও অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ عُرْوَةُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) مَوْلَاةٌ لِاَبِىْ لَهَبٍ كَانَ اَبُوْ لَهَبٍ اَعْتَقَهَا فَاَرْضَعَتِ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ اُرِيَهٗ بَعْضُ اَهْلِهٖ بِشَرِّ حِيْبَةٍ قَالَ لَهٗ مَاذَا لَقِيْتَ قَالَ اَبُوْ لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنِّىْ سُقِيْتُ فِىْ هٰذِهِ بِعَتَاقَتِىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “হযরত উরওয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাবযাওয়ারে অবস্থান:
ইরাকের অন্তর্গত সাবযাওর একটি সুন্দর মনোরম, নয়নাভিরাম স্থান। তৎকালে ইয়াদগারে মোহাম্মদ নামক একজন বদদ্বীন ও কর্কশ স্বভাবের শিয়া সম্প্রদায়ের লোক সাবযাওয়ারের শাসনকর্তা ছিল।
সে সুন্নীদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর হস্ত ছিল। তার এলাকায় কোন শিশুর নাম আবু বকর, ওমর ফারুক, উছমান গণী, আয়িশা ইত্যাদি নাম রাখা আইনত দ-নীয় অপরাধ ছিল। নাঊযুবিল্লাহ! কেউ যদি উক্ত নাম মুবারক রাখতো কিংবা ঐ নাম মুবারকে ডাকতো তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হতো। নাঊযুবিল্লাহ! বাদ্য-বাজনা ও নৃত্যগীত ব্যতী বাকি অংশ পড়ুন...












