لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: আমরা যখন মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করতাম, তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের সওয়ারী থেকে নেমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (পবিত্র হাত মুবারকে) এবং নূরুদ দারাজাত মুবারকে (পবিত্র ক্বদম মুবারকে) বুছা দিতাম। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুছ ছাহাবাহ্, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ্, শু‘আবুল ঈমান, ইত্যাদি)
বাকি অংশ পড়ুন...
লা-মাযহাবীরা একটা আপত্তি করে, আপনারা অন্ধ তাকলিদ করেন কেন? কোন ইমামকে চোখ বুজে অনুসরন করেন কেন?
আপত্তির জবাবে লা-মাযহাবীকে প্রদত্ত উত্তর: আপনার কোন অসুখ হয়েছে। ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ দিলো। আপনার মনে শঙ্কা জাগলো, এই ওষুধ খেলে যদি ক্ষতি হয়!! কি জানি কি দিয়ে এই ওষুধ বানিয়েছে। আপনি নিজেই বাড়িতে এক ল্যাবরেটরি খুলে বসলেন এবং ওষুধের উপাদান পরীক্ষা করতে ক্যামিকেল এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলেন!!! কি পাগলের প্রলাপ মনে হচ্ছে??
অথবা ডাক্তার টেষ্ট করে বললো, আপনার কিডনীতে সমস্যা হয়েছে। অপারেশন করতে হবে। আপনার অনুসন্ধিৎসু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمُ الْإِيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ وَكَرَّهَ إِلَيْكُمُ الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ أُولَئِكَ هُمُ الرَّاشِدُونَ
অর্থ: কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের অন্তর মুবারকে সম্মানিত ঈমান উনার মুহব্বত মুবারক সৃষ্টি করে দিয়েছেন এবং আপনাদের অন্তর মুবারকসমূহ সম্মানিত ঈমান উনার দ্বারা সৌন্দর্যম-িত করে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে কুফরী, শিরকী, নাফরমানী ইত্যাদির প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) উনারাই সঠিক পথপ্রাপ্ত। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা হু বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহাবী, নাম মুবারক আবদুল্লাহ, উপনাম আবু আবদুল্লাহ, পিতার নাম সালামা বিন উমাইর, পিতার উপনাম আবু হাদরাদ এবং এই নামেই তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন। মদীনা শরীফের অধিবাসী, আসলাম গোত্রের লোক। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে ছিলেন। খায়বার এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহণ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে মালিক ইবনে আউফ আন-নাছরীর গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন এবং অন্য একটি ক্ষুদ্র অভিযানেও পাঠিয়েছিলেন। হযরত আবদুল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন : খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয। ’ তা কোন কোন খেলা?
উত্তর-(১) এর জবাবে বলতে হয় যে, হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব “মুস্তাদরাকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “সর্ব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ, তিনটি বিষয় ব্যতীত- (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ আহলিয়া বা স্ত্রীর সাথে শরীয়ত সম্মত হাসি-খুশী করা। ”
আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ শ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকাশ থাকে যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী মুবারক ব্যতীত নিজের থেকে কোন কথা মুবারক বলেন না। ” (পবিত্র সূরা নজম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩, ৪)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত মিক্বদাম ইবনে মা’দী কারিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, জেনে রাখো, আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ দেয়া হয় বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট থেকে আনুষ্ঠানিক খিলাফত লাভ:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মহান পীর ও মুর্শিদ ক্বিবলা কুতুবুল আকতাব, সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নিজের জানের চেয়ে বেশি মুহব্বত করতেন। সুবহানাল্লাহ!
জান-মাল সময়, শ্রম সব কিছু দিয়েই উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিতেন। সুদীর্ঘ সাড়ে বিশ বছর যেভাবে উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিয়েছেন তার কোনো তুলনা নেই। তিনি জীবনের বিরাট সময় সফরে অতিবাহিত করেছেন। এই বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মাওলানা জালালউদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহ আলাইহি তিনি ‘মসনবী শরীফ’ কিতাবে ফার্সিতে উল্লেখ করেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদব তলব করছি। কারণ বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত। একজন মুসলমান উনার কবরের সাথে বেয়াদব করা যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে একজন ওলী আল্লাহ উনার মাজার শরীফের সাথে বেয়াদবি বা হামলা করা কত বড় খারাপ কাজ হতে পারে, যা কল্পনাও করা যায় না। যে বা যারা এই ধরনের অপকর্ম করছে, তারা অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত বেয়াদব এবং লানতপ্রাপ্ত। বাকি অংশ পড়ুন...












