পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও। ” (বুখারী শর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা লাহাব শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা লাহাব শরীফ’ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও খুছূছিয়ত বর্ণনা করেছেন।
অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা বিরোধিতা করবে সে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে তুমি কেন ঈমান আনলে না? তাহলে তুমি ঈমান আন।
তখনই সেই ইহুদী আলেম বললো যে, হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আপনি সাক্ষী থাকেন, আমি এখনই ঈমান আনছি, এ বলে সে পবিত্র কালেমা শরীফ পাঠ করলো। সুবহানাল্লাহ!
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ.
আমি ঈমানদার হয়ে গেলাম এবং আমার অর্ধেক সম্পদ আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই বলেছেন-
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ
অর্থ : মহ বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِخْتَارَ اَصْحَابِىْ عَلَى الثَّقَلَيْنِ سِوَى النَّبِيِّيْنَ وَالْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ : হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসানের উপর, সমস্ত সৃষ্টির উপর বাকি অংশ পড়ুন...
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চুপ করে রইলেন। উনি বললেন- হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! এই ইহুদী আলেম কর্জ দিয়ে তো কোন দোষ করেনি। বরং সে কর্জ দিয়ে আমাদের উপকার করেছে। তার সাথে ভালভাবে কথা বলা উচিত এবং তারও আদবের সাথে তার পাওনা চাওয়া উচিত ছিলো।
এটা বলে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আপনি এখনই তাকে নিয়ে যান। বাইতুল মালে নিয়ে তার ঋণ পরিশোধ করে দিন। তবে তার সাথে একটু কটু কথা, শক্ত কথা বলা হয়েছে, সেজন্য তাকে বিশ ছা’[ (প্রায় পৌনে দুই মণ) গম বে বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো। (পবিত্র সূরা আন নিসা: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৬)
স্মরণীয় যে, ঈমানদার তথা মু’মিন দু প্রকার। (এক) মু’মিনে কামিল (দুই) মু’মিনে নাক্বিছ বা মু’মিনে ফাসিক্ব।
মু’মিনে কামিল বা পরিপূর্ণ মু’মিন যাঁরা উনারা ইন্তিকালের পর সরাসরি জান্নাতী হবেন। আর মু’মিনে নাক্বিছ বা অপরিপূর্ণ তথা মু’মিনে ফাসিক্ব বা গুনাহগার মু’মিন যারা তারা পাপের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ وفى رواية لَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হা বাকি অংশ পড়ুন...
আশিকে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আল্লামা আব্দুর রহমান মোল্লা জামি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াহ এর মধ্যে উল্লেখ করেন- দালায়িলুন নুবুওয়াত কিতাবে উল্লেখ আছে, আমি শৈশবে এক ব্যক্তির ছাত্র ছিলাম। যে আমাকে শিয়া মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট করতো। তার কথা ও প্ররোচনায় আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কথা-বার্তা বলতাম। নাউযুবিল্লাহ!
এক রাতে আমি স্বপ্নে দেখলাম, ক্বিয়ামত শুরু হয়ে গেছে। সকল মানুষ নূরে মুজাস বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান, “শীঘ্রই এমন এক সময় আসবে, যখন পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিরা একে অপরকে মুসলমানদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য পরস্পরকে আহবান করবে, যেভাবে ক্ষুধার্ত নেকড়ে তাদের খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ”
একজন জিজ্ঞেস করলেন, “সেই সময় কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো?”
উত্তরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “না, সে সময় সংখ্যায় তোমরা হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা হবে বন্যার পানিতে ভেসে আসা খড়কুটোর মতো (অর্থাৎ শক্তিহীন)। শত্রুদের অন্ বাকি অংশ পড়ুন...












