পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)কে ফার্সী ভাষায় ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। দিনটি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনেক বরকতপূর্ণ স্মৃতি ধারণ করে রেখেছে। ফলশ্রুতিতে সকল মু’মিন-মুসলমান সারা বছরব্যাপী পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনাকে স্মরণে রাখেন। শ্রদ্ধাভরে গণনা করেন, মুহব্বত করেন। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুবারক মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছিলেন পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ। মহান আল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত-মুহব্বতে দগ্ধীভূত ব্যক্তি তথা মুসলমানরা যে দিনটিকে মা’রিফাত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছেন সেই মুবারক দিনটি ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে তওবা করালেন। উনি মুসলমান হয়ে গেলেন। এই সালমান ফারেসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এত বছর কোশেশ করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়ার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার জন্য।
কাজেই এটাই প্রমাণ করে অর্থাৎ যে কোন কাজে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে পেতে হলে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে চলতে হলে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেতে হলে, যেটা মহান আল্লাহ পাক ত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও (বন্ধুত বাকি অংশ পড়ুন...
“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهٗ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهٖ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهٗ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মানুষ যখন ইন্তিকাল করে, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
উনাদের সমালোচনাকারীদেরকে লা’নত দেয়া ফরয:
এদেরকে লা’নত দেয়ার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنِ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَسُبُّونَ أَصْحَابِي فَقُولُوا لَعْنَةُ اللهِ عَلَى شَرِّكُمْ
অর্থ : হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা যখন কাউকে দেখবে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মোতাবেক কোশেশ করে যেতে হবে নিজেকে ইছলাহ করার জন্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় মেছাল কি জানেন? এই আয়াত শরীফের মেছাল, হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং এটাই সবচেয়ে বড় মেছাল।
উনার সম্পর্কে বলা হয়, মুহাদ্দিছীন-ই-কিরাম, ঐতিহাসিকগণ উনারা বলেছেন, উনার বয়স ছিল পাঁচ’শ বৎসর। কেউ তিন’শ, তিনশত পঞ্চাশ, আড়াই’শ, দুই’শ বছর পর্যন্ত বলেছেন। কমপক্ষে দুই’শ বলা হয়েছে। উনি ছিলেন একজন মজূসীর সন্তান। ইরানের এক মজূসীর সন্তান। কিন্তু উনি মজূসী ধর্ম ছেড়ে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসেল, নসিবাইন ইত্যাদি এক স্থানের পর এক বাকি অংশ পড়ুন...












