সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য মতবাদ অনুসরণ করা নিষেধ, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ : যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (নিয়ম-নীতির) অনুসরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আলে ইমরান শরীফ: আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তক ও বইপত্রে একাদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাজদীদী জীবনী মুবারক নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। প্রচলিত কিছু কিছু বইতে সামান্য এরকম বলা রয়েছে যে, “তৎকালীন সময়ে শাসক আকবরের ‘দ্বীনে ইলাহী’র বিরুদ্ধে একজন সংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছিল”, এতটুকুই! নাঊযুবিল্লাহ!
এর একটি বড় কারণ হলো, বর্তমান সময়ে প্রচলিত বইপত্রে তিনি যেই গুমরাহ শাসক আকবরের দ্বীনে ইলাহী’র বিরুদ্ধে তাজদীদ করেছিলেন, সেই ‘দ্বীনে ইলাহী’র হাক্বীক্ব বাকি অংশ পড়ুন...
শায়িরু রসূলিল্লাহ, কাতিবে ওহী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম-পুঙ্খানুপুঙ্খ আনুগত্যে কত বেশি তৎপর ছিলেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে লিখা হয়- একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ খুতবা দিচ্ছিলেন। এ সময় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি যখন মসজিদের রাস্তায় তখন তিনি শুনতে পেলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা তো কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর নেই, আমাদের কামিয়াবি আসবে কোথা থেকে। কাজেই আমাদের প্রত্যেকেরই মাথার তালু থেকে পায়ের তলা, হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত প্রতিটি অবস্থায় কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের উপর কায়েম থাকতে হবে।
হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করা হয়েছিল, হে ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম! আপনার উম্মতের মধ্যে এক লক্ষ উম্মতকে ধ্বংস করে দেয়া হবে, এক লক্ষ উম্মতকে।
তখন হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক, কেন? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনার উম্মতের মধ্যে ষাট হাজার উম্মত, তা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه‘ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ: ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মসজিদসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় বা বিরাণ করতে চেষ্টা করে। তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মসজিদসমূহে প্রবেশ করা জায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থ: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। (কানযুল উম্মাল)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيَأْتِىْ قَوْمٌ يَسُبُّوْنَهُمْ وَ يَسْتَنْقِصُوْنَهُمْ فَلا تُجَالِسُوْهُمْ وَلا تُآكِلُوْهُمْ وَلا تُشَارِبُوْهُمْ وَلا تُنَاكِحُوْهُمْ و فى رواية أُخرى وَلا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلا تَدْعُوْ لَهُمْ.
অর্থ: অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এতই বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত ও মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “এই সম্পদ (অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উন বাকি অংশ পড়ুন...












