এ মুবারক দিবস সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, পবিত্র ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ উনার তৃতীয় সপ্তাহে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ যিয়ারত করার বিষয়ে ওহী মুবারক করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান্নাতুল বাক্বী শরীফ যিয়ারত মুবারক করেন এবং যিয়ারত মুবারক শেষে উনার ছের মুবারকে (সম্মানিত মাথা মুবারক) মারীদ্বী শান (ব্যথা) মুবারক জাহির করেন। এর ৮/১০ দিন পর তিনি আবার ছিহ্হাতী (স্বাভাবিক) শান মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর ছফর শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
اَلسَّعْىُ مِنَّا وَالْاِتْمَامُ مِنَ اللهِ
“চেষ্টা বান্দা করবে, পুরা করবেন মহান আল্লাহ পাক তিনি।
এমন অনেক নবী আলাইহিমুস সালাম অতিবাহিত হয়ে গেছেন যাঁদের সম্পর্কে আপনারা মি’রাজ শরীফের বর্ণনায় দেখবেন, অনেক নবী আলাইহিমুস সালাম অতিবাহিত হয়ে গেছেন, যাঁদের উম্মতই ছিল না। একজনও উম্মত ছিল না। কাজেই সেজন্য নবী আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনো খেলাফে শরা’ কাজ করেন নাই। উনারা হক্বের উপরে চলে গেছেন।
কাজেই আমাদের হক্বের উপরে থাকতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত, মহান আল্লাহ পাক উন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাথে সফর:
আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল ছিলো বোখারা। সেখানে প্রায় সব মাশায়িখগণের সাথে সাক্ষাত করলাম। উনাদের মধ্যে প্রত্যেকেই এমন সৌন্দর্য মুবারকের অধিকারী ছিলেন যে, উনাদের প্রশংসা বর্ণনাতীত। এমনি সফর করতে করতে দশটি বছর স্বীয় সম্মানিত পীর ও মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাথে কাটালাম। সফরের উপযোগী প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র মাথায় করে পথ চলতাম। সফরের দশ বছর পূর্ণ হলে আমরা পবিত্র বাগদাদ শরীফে এসে পৌঁছলাম। তারপর আমার মহান মুর্শিদ ক্বিবলা বিশেষ ইবাদত-বন্দেগীর জন্য নির্জনতা অবলম্বন করলেন। আ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য মতবাদ অনুসরণ করা নিষেধ, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ : যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (নিয়ম-নীতির) অনুসরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আলে ইমরান শরীফ: আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তক ও বইপত্রে একাদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাজদীদী জীবনী মুবারক নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। প্রচলিত কিছু কিছু বইতে সামান্য এরকম বলা রয়েছে যে, “তৎকালীন সময়ে শাসক আকবরের ‘দ্বীনে ইলাহী’র বিরুদ্ধে একজন সংস্কারকের আবির্ভাব ঘটেছিল”, এতটুকুই! নাঊযুবিল্লাহ!
এর একটি বড় কারণ হলো, বর্তমান সময়ে প্রচলিত বইপত্রে তিনি যেই গুমরাহ শাসক আকবরের দ্বীনে ইলাহী’র বিরুদ্ধে তাজদীদ করেছিলেন, সেই ‘দ্বীনে ইলাহী’র হাক্বীক্ব বাকি অংশ পড়ুন...
শায়িরু রসূলিল্লাহ, কাতিবে ওহী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম-পুঙ্খানুপুঙ্খ আনুগত্যে কত বেশি তৎপর ছিলেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে লিখা হয়- একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ খুতবা দিচ্ছিলেন। এ সময় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি যখন মসজিদের রাস্তায় তখন তিনি শুনতে পেলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...












