পবিত্র সূরা নছর শরীফ
পবিত্র আয়াত শরীফ-৩, পবিত্র রুকূ মুবারক-১
পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বরকতময় স্থানে নাযিল করেছেন।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এই পবিত্র সূরা মুবারক ১১০তম নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাযিলের ধারাবাহিকতায় এই পবিত্র সূরা মুবারক ১১৪তম ।
ছহীহ তরজমা
اَعُـوْذُ بِـاللهِ مِـنَ الشَّـيْطَانِ الـرَّجِـيْمِ
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمٰنِ الرَّحِيْمِ.
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করছি, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।
¬(১) খালিক্ব ম বাকি অংশ পড়ুন...
যখন কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ আসার পরে কেউ যদি মনগড়া, নফসানিয়াত করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত, শান্তি, বরকত কিছুই পাওয়া যাবে না। আযাব আর গযব, ঠিক আমাদের সেটাই হয়েছে।
আমরা যত কিছুই বলি না কেন, যত কিছুই করিনা কেন, যেহেতু আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মতে নেই, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে নেই, আমাদের আযাব-গযব হবেই।
কাজেই আমরা যখন মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হয়ে যাব, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়ে যাব, তখনই আমাদের কামিয়াবী।
হযরত ফারূক্বে আ’যম আ বাকি অংশ পড়ুন...
যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি এই পবিত্র আয়াত শরীফ যখন পেলাম, তখন মনে মনে চিন্তা করলাম, সত্যিই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার উপরই ভরসা করা উচিত। হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ঘটনা বলা হয় যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করতেন। উনার আর্থিক অবস্থা তত স্বচ্ছল ছিলনা। একবার পবিত্র হজ্জের সময় যখন হলো তখন উনার সঙ্গী-সাথীরা বললো- হে হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি আপনি কি পবিত্র হজ্জে যাবেন? তিনি বললেন, দেখ আমি হজ্জে বাকি অংশ পড়ুন...
বনী ইসরাঈলের এক রাজকন্যা ছিলেন বড় আবেদা ও আল্লাহওয়ালী। উনার দ্বীনদারী ও পরহেজগারী দেশময় প্রসিদ্ধ ছিল। একবার এক রাজপুত্র উনাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি কোন প্রকার ভূমিকা ছাড়াই ঐ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন। পরে তিনি উনার বাঁদীকে বললেন, আমার জন্য একজন ফকীর কিসিমের আবেদ-যাহেদ ও নেকপাত্র সন্ধান করো। বাঁদী বহু সন্ধান করে একজন গরীব নেককার পাত্র এনে হাজির করলো। রাজকন্যা যুবককে সরাসরি বললেন, আপনি যদি আমাকে বিবাহ করতে সম্মত হন, তবে এখনি কাজীর নিকট চলুন; সেখানে আমাদের বিবাহ হবে। রাজকন্যার প্রস্তাবে যুবক সম্মত হলে বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إذَا رَأَيْتُمُ الَّذِيْنَ يَسُبُّوْنَ أصْحَابِىْ فَقُوْلُوْا لَعْنَةُ اللهِ عَلَى شَرِّكُمْ.
অর্থ: যখন তোমরা কাউকে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিতে দেখবে, তখন তোমরা বলো, এ নিকৃষ্ট কাজের জন্য তোমাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষিত হোক। (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মুনাফিক কিছু বাতিল ও মনগড়া দলীল জোগাড় করে মূর্তিকে জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে মূর্তিকে পূজা, আরাধনা, ইবাদত করা হয়, যেটা মানুষকে মুশরিক বানায়; সেটা নিষেধ। কিন্তু যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না বরং যে মূর্তি সৌন্দর্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সেটা নিষেধ নয়।
অতএব, উক্ত ব্যক্তির এ ধরণের যুক্তি কতটুকু ইসলামসম্মত? দলীলসহ জাওয়াব দিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।
জাওয়াব:
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে- হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর বলা হয়েছে- দুরারোগ্য রোগ দেখা দিবে, এখন দেখা যায় অনেক দুরারোগ্য রোগ বের হয়েছে। আরো কত বের হবে, যেটা কেউই শুনেনি এমনও রোগ বের হবে। কেন? যখন মানুষ বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা করবে, বেপর্দা, বেহায়া হয়ে যাবে, মানুষ বেশরা’-বিদায়াতী হয়ে যাবে, বেপর্দা হয়ে যাবে, তখন মানুষের দুরারোগ্য রোগ দেখা দিবে এবং তাই দেখা দিচ্ছে সারা পৃথিবীতে। দেখেন, এমন সব দুরারোগ্য রোগ পূর্বপুরুষ, বাপ-দাদা, চৌদ্দপুরুষরা যেগুলি শুনেনি, সেগুলি বর্তমানে হচ্ছে।
এরপরে বলা হয়েছে- প্রত্যেকটা মুসলমান দেশের মধ্যে বিদেশী শত্রু চাপায়ে দেয়া হবে। কেন? যখন তারা মহান আল্লাহ পাক উনা বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা পালন করা সম্পর্কে বহু আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয় বাকি অংশ পড়ুন...












