ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
(বিলাদত শরীফ ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ ১৫০ হিজরী)
, ২৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র হাদীছ শরীফ মুখস্থ করার ক্ষেত্রে তিনি সকল ইমাম-মুজতাহিদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছেন:
সর্বকালের স্বীকৃত ইমাম সাইয়্যিদুনা হযরত মিসওয়ার ইবনে কিদাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন-
طَلَبْتُ مَعَ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ الْـحَدِيْثَ فَغَلَبَنَا وَاَخَذْنَا فِـى الزُّهْدِ فَبَـرِعَ عَلَيْنَا وَطَلَبْنَا مَعَهُ الْفِقْهَ فَجَاءَ مِنْهُ مَا تَرَوْنَ
অর্থ: আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে পবিত্র ইলমে হাদীছ শরীফ অন্বেষণ করেছি। সেক্ষেত্রে তিনি আমাদেরকে অতিক্রম করে গেছেন। উনার সাথে যুহদ বা দুনিয়া বিমুখতা গ্রহণ করেছি। তখনও তিনি আমাদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছেন। উনার সাথে ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করেছি। এক্ষেত্রে তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তা আপনারা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! (মানাকিবু আবী হানিফা-৪৩, ইমাম আ’যম আবু হানীফা উনার জীবন ও কর্ম-১০৫)
শুধু তাই নয় তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করা বা রাবীর জন্য অনেকগুলো শর্তারোপ করেছেন, যার মধ্যে মুখস্থ রাখার বিষয়টি অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “মাদখাল ফী উলূমিল হাদীছ ১৭ পৃষ্ঠা” কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
قَالَ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَا يَـحِلُّ لِلرَّجُلِ اَنْ يَّرْوِىَ الْـحَدِيْثَ الشَّرِيْفَ اِلَّا اِذَا سَـمِعَهٗ مِنْ فَمِ الْـمُحَدِّثِ فَيَحْفِظُهٗ ثُـمَّ يُـحَدِّثُ بِهٖ.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করা কেবল তখনই জায়িয হবে, যখন সেই হাদীছ শরীফখানা কোন মুহাদ্দিছীনে কিরামের মুখে শুনবে। অতঃপর সে তা সংরক্ষণ করবে অতঃপর তা বর্ণনা করবে। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার শোভা বর্ধণকারী বা সৌন্দর্য হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যীনাতুদ দুনিয়া তথা দুনিয়ার সৌন্দর্য বা শোভা বর্ধনকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
تُرْفَعُ زِيْنَةُ الدُّنْيَا سَنَةَ خَـمْسِيْنَ وَمِأَةٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুনিয়ার সৌন্দর্য ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) হিজরীতে উঠিয়ে নেয়া হবে। (তাযকিরাতুন নুমান- ৭৬, ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এর জীবন ও কর্ম-৬১৩, জাওয়াহিরুল মুদ্বীয়াহ ফী তবাকাতিল হানাফিয়া-৫৭৭)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












