ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৬০)
, ২৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আমরা তো কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর নেই, আমাদের কামিয়াবি আসবে কোথা থেকে। কাজেই আমাদের প্রত্যেকেরই মাথার তালু থেকে পায়ের তলা, হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত প্রতিটি অবস্থায় কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের উপর কায়েম থাকতে হবে।
হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করা হয়েছিল, হে ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম! আপনার উম্মতের মধ্যে এক লক্ষ উম্মতকে ধ্বংস করে দেয়া হবে, এক লক্ষ উম্মতকে।
তখন হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক, কেন? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনার উম্মতের মধ্যে ষাট হাজার উম্মত, তারা সরাসরি গুণাহে লিপ্ত। সরাসরি বিদ্য়াত-বেশরা’ কাজে লিপ্ত। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মত ও পথের খেলাফ চলে। তাদের উপর গযব নাযিল হবে।
তখন উনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক! তাহলে আর চল্লিশ হাজার?
আর চল্লিশ হাজার যেহেতু এই ফাসেক-ফুজ্জারদের সাথে মিলমিশ রেখে চলে, তাদের সাথে উঠা-বসা করে, তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে, তাদের বিরোধিতা তারা করেনা, এজন্য এই ষাট হাজারের সাথে সেই চল্লিশ হাজার মোট এক লক্ষ উম্মতকে ধ্বংস করে দেয়া হবে।
এখন ফিকির করেন, যারা বেশরা’-বিদ্য়াত চলে, কুফরী-শেরেকীভাবে চলে, তাদেরকে যদি কেউ সমর্থন করে, সাহায্য করে, তাহলে মূলতঃ সে তাদের অন্তভুক্ত হয়ে যাবে।
কারণ হাদীছ শরীফে আছে-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ.
অর্থ : যে যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
কাজেই মুসলমানের এক মত, এক পথ- মহান আল্লাহ পাক উনার মত, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ, এক কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস-এর বাইরে কোন মত, কোন পথ নেই, কোন রীতি-নীতি, কোন পদ্ধতি, কোন মত, কোন পথ মুসলমান গ্রহণ করতে পারবে না।
বিজাতীয়-বেদ্বীনি কোন মত-পথ মুসলমান গ্রহণ করতে পারবে না। একটাই মত, একটাই পথ গ্রহণ করতে হবে। যদি তার খেলাফ কেউ চলে, সে কখনো কামিয়াব হবে না। সেটা আমাদের দেশে হোক, বিদেশে হোক, ইউরোপ-আমেরিকায় হোক, মধ্যপ্রাচ্য হোক, যেখানে হোক না কেন, কোন খানেই চলবে না।
সব জায়গায় মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হতে হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












