সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيَأْتِىْ قَوْمٌ يَسُبُّوْنَهُمْ وَ يَسْتَنْقِصُوْنَهُمْ فَلا تُجَالِسُوْهُمْ وَلا تُآكِلُوْهُمْ وَلا تُشَارِبُوْهُمْ وَلا تُنَاكِحُوْهُمْ و فى رواية أُخرى وَلا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلا تَدْعُوْ لَهُمْ.
অর্থ: অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিবে, উনাদেরকে নাকিছ বা অপূর্ণ বলবে। সাবধান! তোমরা তাদের মজলিসে বসবে না, তাদের সাথে পানাহার করবে না, তাদের সাথে বিবাহ-শাদীর ব্যবস্থা কর বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে আরো একটা ওয়াকিয়া বলা হয় সেটা হলো, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াকিয়া।
উনি প্রথম যামানায় ছিলেন খুব বড় ব্যবসায়ী, ওষুধের ব্যবসা করতেন। হাজারো রকম ওষুধ ছিলো, একদিন এক ভিখারী আসল উনার দোকানে। ভিখারী অর্থাৎ ফকীর, এসে বললো যে, আমাকে কিছু খয়রাত দান করেন। কিন্তু উনি এত ব্যস্ত ছিলেন বেচা-কেনার মধ্যে যে, উনি উনাকে একটা পয়সাও দিলেন না, উনার দিকে দৃষ্টিও করলেন না।
যখন লোক খালি হয়ে গেল, তখন সে ভিখারী বললেন, হে ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি করে আপনার জ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা পালন করা সম্পর্কে বহু আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয় বাকি অংশ পড়ুন...
আপনি যে দেখলেন- কতগুলি সৈন্য-সামন্ত, তারা কি বললো জানেন? সৈন্য-সামন্তরা তাদের ঢাল-তলোয়ার নিয়ে তারা তার কবরকে প্রদক্ষিণ করলো এবং তারা কাঁদতে কাঁদতে বললো, হে শাহযাদা যদি ঢাল দিয়ে, তলোয়ার দিয়ে তোমাকে রক্ষা করা সম্ভব হতো, তাহলে আজকে তোমাকে আমরা অবশ্যই রক্ষা করতাম সেই মৃত্যু থেকে। কিন্তু তোমাকে এমন এক অস্তিত্ব অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মৃত্যু দিয়েছেন, যাঁর কাছে আমাদের ঢাল-তলোয়ারের কোন মূল্যই নেই, কোন মূল্যই নেই। কাজেই তোমাকে রেখে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোন পথ নেই। এই কথা বলে তারা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
এ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও। ” (বুখারী শর বাকি অংশ পড়ুন...
মেছালস্বরূপ বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, পূর্ববর্তী বুযুর্গ ছিলেন। উনার প্রসঙ্গে বলা হয় যে, মানুষ কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। শুধু নেক আমলটা তার সাথে যাবে।
উনার প্রসঙ্গে বলা হয় যে, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি মহান আল্লাহ পাক উনার বড় ওলী ছিলেন। প্রথম যামানায় উনি মণিমুক্তার ব্যবসা করতেন। রোম থেকে মণিমুক্তা এনে উনি বছরাতে বিক্রি করতেন। উনি একবার গেলেন সেই রোমে। রোমের এক উযিরের সাথে, এক মন্ত্রীর সাথে উনার সম্পর্ক ছিল।
সেই রোমের মন্ত্রী বললো, হে হযরত হাস বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...












