ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

এ প্রসঙ্গে আরো একটা ওয়াকিয়া বলা হয় সেটা হলো, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াকিয়া।
উনি প্রথম যামানায় ছিলেন খুব বড় ব্যবসায়ী, ওষুধের ব্যবসা করতেন। হাজারো রকম ওষুধ ছিলো, একদিন এক ভিখারী আসল উনার দোকানে। ভিখারী অর্থাৎ ফকীর, এসে বললো যে, আমাকে কিছু খয়রাত দান করেন। কিন্তু উনি এত ব্যস্ত ছিলেন বেচা-কেনার মধ্যে যে, উনি উনাকে একটা পয়সাও দিলেন না, উনার দিকে দৃষ্টিও করলেন না।
যখন লোক খালি হয়ে গেল, তখন সে ভিখারী বললেন, হে ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি করে আপনার জান দিবেন? আপনি দুনিয়ার মধ্যে এত মশগুল, আপনি কি করে মারা যাবেন? মারা যাওয়ার সময় আপনার কষ্ট হবে।
উনি বললেন- দেখুন, আপনি যেভাবে জান দিবেন, আমি ঠিক সেভাবে জান দিব।
যখন এ কথা উনি বললেন, তখন সেই ভিখারী বললেন, তাই কি সত্য? তখন তিনি করলেন কি মাটিতে শুয়ে উনার যে পোটলাটা ছিলো, মাথার তলে দিয়ে চাদর দিয়ে ঢেকে সেখানেই মারা গেলেন, সেখানেই তিনি মারা গেলেন। উনি চাদর তুলে দেখলেন, লোকটা ইন্তেকাল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এটা কি ব্যাপার, এরমধ্যে কি হাক্বীক্বত। উনি অস্থির হয়ে গেলেন। এটা দেখে উনার পরিবর্তন এসে গেল। উনি বললেন, সত্যিই তো মৃত্যু যখন মানুষের এসে যাবে, তখন তো মানুষকে রক্ষা করা যাবে না। মূলতঃ সে কিছুই নিতে পারবে না।
উনি সমস্ত ধন-সম্পদ দান করে দিলেন। দিয়ে উনি হযরত রুকনুদ্দীন আফাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে, ছোহ্বত ইখতিয়ার করে, পরবর্তী সময় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী হয়ে গেলেন।
কারণ নেক আমল ছাড়া একটা মানুষের সাথে কিছুই যাবে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, দেখ একটা মানুষের যখন ইন্তেকালের সময় হয়, একটা মানুষের যখন মারা যাওয়ার সময় হয়, তখন তার কাছে তিনজন বন্ধু থাকে, তিনজন বন্ধু অর্থাৎ ثلاثة اصحاب ‘আছহাবে ছালালাহ’ তিনজন বন্ধু থাকে।
একটা লোকের মৃত্যুর সময় সে তার প্রথম বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে- হে বন্ধু, তুমি আমাকে কি ফায়দা দেবে, কি কাজে আসবে?
সে বলে, হে মৃতপ্রায় ব্যক্তি! আমি শুধু তোমার জন্য তোমার হায়াত পর্যন্ত তোমার খেদমত করবো। এরপরে আমার কিছু করা সম্ভব নয়।
তখন সে তার দ্বিতীয় বন্ধুর দিকে রুজু হয়। তাকে জিজ্ঞেস করে, হে আমার দ্বিতীয় বন্ধু! তুমি আমার কি কাজে আসবে? তুমি আমার কি খেদমত করবে?
তখন দ্বিতীয় বন্ধু বলে, আমি তোমাকে দাফন করা পর্যন্ত থাকব। এরপরে তোমার কোন খেদমত করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
তখন সে তার তৃতীয় বন্ধুর দিকে রুজু হয়। তাকে বলে, তুমি আমার সাথে কতক্ষণ থাকবে? সে বলে, আমি তোমার হায়াত এবং মউত সব অবস্থায় তোমার সাথে থাকব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যবসা করা হালাল ও সুন্নত আর সুদ হারাম
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নতুন চাঁদ তালাশের গুরুত্ব ও শরয়ী তরতীব (১)
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বদমবুছী মুবারক খাছ সুন্নত মুবারক (২)
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাদ্য-দ্রব্যের হালাল হারাম নিয়ে কিছু কথা
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৯)
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৩৪)
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)