(গতকালের পর)
জড় জগতের গ্রহ উপগ্রহগুলোইতো মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি। পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার হাক্বীক্বত বুঝবে কী করে? তাহতাচ্ছারা থেকে পবিত্র আরশ মুয়াল্লাহ পর্যন্ত আলমে খালক্ব। পবিত্র আরশ থেকে পবিত্র আলমে আমর শুরু। উভয় জগতই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক দ্বারা সৃষ্টি। উভয় জগতেই উনার অবাধ বিচরণ। আরশ, কুরসী, লাওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, এমনকি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফসহ ইহকাল ও পরকালের সমুদয় বিষয় আকরামুল কারাম, রসূলুল মালিকিল আ’লাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকৃতপক্ষে সউদী আরবে কোনো মাসই চাঁদ দেখে শুরু হয় না, তাই মানুষের উপলব্ধির জন্য এখানে ২৬ বছরের তিনটি মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো।
১৪০০ হিজরী থেকে ১৪২৫ হিজরী এই ২৬ বছরে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস, পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস এই তিন মাস যেদিন সউদী আরবে শুরু হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে নিচের তথ্য পাওয়া গেছে।
মাস চাঁদ দেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল সম্ভব ছিল না সম্ভব ছিল
পরিমাণ % পরিমাণ % পরিমাণ %
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস: (মোট ২৬টি প্রতিবেদন) ১২ বার ৪৬% ৯ বার ৩৫% ৫ বার ১৯%
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস:
(মোট ২২টি প্রতিব বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম ইরশাদ মুবারক করেন,
رَحِـمَكِ اللهُ يَا اُمِّىْ كُنْتِ اُمِّىْ بَعْدَ اُمِّىْ وتُشْبِعِيْـنِـىْ وَتَـعْرَيْنَ وتُكْسِيْـنِـىْ وَتَـمْنَعِيْـنَ نَـفْسَكِ طَيِّبًا وَتُطْعِمِيْـنِـىْ
অর্থ: “হে আমার মহাসম্মানিত মাতা! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার পরে আপনি ছিলেন আমার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম। আপনি আমাকে পরিতৃপ্ত করতেন- আপনি না পরে আমাকে পরাতেন এবং ভালো কিছু নিজে না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন। (আল মু’জামুল কাবীর লিত্ব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য নিয়ামত মুবারক উনাদের মধ্যে বিশেষ এক নিয়ামত হচ্ছে যামানা, কাল বা সময়। আর এই সময়ের মধ্যে একটা হচ্ছে শীতকাল। যাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন উনাদের বসন্তকাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الشِّتَاءُ رَبِيعُ الْمُؤْمِنِ
‘শীতকাল মু’মিনের জন্য ইবাদতের বসন্তকাল।’ সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৩/৭৫, মুসনাদে আবী ইয়া’লা)
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى বাকি অংশ পড়ুন...
আর এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
مَنْ حَدَّثَ عَنِّيْ بِحَدِيثٍ يَرَى أَنَّهٗ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِيْنَ
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার পক্ষ হতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করলো এবং ধারনা পোষন করলো যে, তা মিথ্যা তাহলে সে মিথ্যাবাদীদের অন্যতম ব্যক্তি। (মুসলিম শরীফ ১/৭, উমদাতুল ক্বারী ৩/২৬৮, মিশকাত- কিতাবুল ইলম- প্রথম পরিচ্ছেদ- হাদীস ১৮৮)
সুতরাং বোঝা গেলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত করে কেউ কিছু বর্ণনা করলে সেটা ওহাবীদের মত বিনা জ্ঞানে মওযু ব বাকি অংশ পড়ুন...
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
قَاتِلُوا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهٗ وَلَا يَدِينُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
قَاتِلُوا الَّذِيْنَ
আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাদেরকে কতল করুন, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করুন। কাদের সাথে?
لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ
যারা মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার মহাসম্মানিত রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আসমান ও যমীন সৃষ্টির দিন থেকে আমি আপনার ও আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ রাকাআত নামায ফরয করেছি। সুতরাং আপনি আপনার উম্মতকে এ আদেশ মুবারকের অনুবর্তী করুন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার হাত মুবারক ধরলেন এবং আমি দ্রুতগতিতে সেখান থেকে ফিরে এলাম। সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস বাকি অংশ পড়ুন...
জনৈক রাবী বর্ণনা করেন, আলী ইবনে ইয়াফসীন ও অন্য এক ব্যক্তি আমাকে বলল, অমুকের সাথে কূফা যাও এবং সেখান থেকে দুটি যানবাহন কিনে এই চিঠি ও এই সম্পদ আহলু বাইতে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে পৌঁছে দাও। আমি কূফা গেলাম এবং সেই ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে দুটি যানবাহন খরিদ করলাম। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নিকটে পৌঁছে এক জায়গায় অবস্থান করতঃ কিছু খেতে শুরু করলাম। হঠাৎ আমাদের দৃষ্টি হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার উপর পতিত হলো। তিনি খচ্চরে সাওয়ার হয়ে আমাদের দিকে আসছিলেন। আমরা উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং বাকি অংশ পড়ুন...












