পবিত্র মীনায় সুমহান মদীনা শরীফ উনার আলিম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রতি প্রদত্ত নছীহত শরীফ:
কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার এক বছর আগে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার পার্শ্ববর্তী পবিত্র মীনায় সুমহান মদীনা শরীফ উনার আলিম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে একদা এক বিশেষ তা’লীম মুবারকে এক বেমেছাল দীপ্তময় নছীহত মুবারক করেন। এ তা’লীম মুবারকে তিনি যে নছীহত শরীফ প্রদান করেন তার কিয়দাংশ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
‘হে লোকসকল! মহান আল্লাহ পাক তিনি (বনি ইসরাইলের বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল মুত্তাক্বীন, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সিবতু রসূল আল খমিস, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করার পর উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বা ইমামতী শান মুবারক জাহির করেন। উনার ইমামতের মাক্বামটি তিনিই অলংকৃত করেন।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, বাকি অংশ পড়ুন...
একবার পবিত্র হজ্জের সময় মক্কা শরীফ উনার মাঝে ভয়ানক খরা (অনাবৃষ্টি) দেখা দিলো। পানির অভাবে লোকজনের মধ্যে হাহাকার পড়ে গেল। বিদেশ হতে আগত পবিত্র হজ্জযাত্রীগণের সাথে সাথে খোদ মক্কাবাসীগণের মধ্যেও পানির এমন সঙ্কট দেখা দিল যে, লোকজন হয়রান-পেরেশান হয়ে চারিদিকে পানির তালাশে ছুটাছুটি করতে লাগলো। পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মাঝে পর্যায়ক্রমে লোকেরা দোয়া-ইস্তিসকা করছেন, কিন্তু এক ফোটা বৃষ্টির চিহ্ন কোথাও দেখা গেল না।
বসরা হতে একদল দরবেশ পবিত্র হজ্জে আসলেন। লোকজন উনাদের নিকট গিয়ে দোয়ার জন্য আবেদন-নিবেদন করলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মাহে শা’বান শরীফ উনার সুমহান ও বরকতময় ৫ তারিখ মুবারকে যমীনের বুকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন, যিনি পূত-পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের চতুর্থ ইমাম- সুলত্বানুল আউলিয়া, ইমামুল মুহাক্বক্বিক্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনার সুমহান পবিত্র শানে শুকরিয়া প্রকাশস্বরূপ উনার পবিত্র যবান মুবারক থেকে নিসৃত কতিপয় মহামূল্যবান নছীহত মুবারক উল্লেখ করছি-
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ত বাকি অংশ পড়ুন...
হক্ব এবং না-হক্বের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির শুরু থেকেই। মুসলমানগণ উনারা যেহেতু হক্বপন্থী, তাই না-হক্বপন্থী ইবলিস শয়তান ও তার দোসর কাফির-মুশরিকরা সর্বদা মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতা করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক”। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
সেটাই দেখা যায়, কাফির-মুশরিকরা প্রতিনিয়ত নানান উপায়ে, নানাভাবে মুসলমানদের ক্ষতি করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের চক্রান্তও করে থাকে। ত্রয়োদশ ঈসায়ী শতাব্দ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ইযালাতুল খফা শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
بينا عمر رضي الله عنه ذات ليلةٍ يَعُسّ سمع صوت امرأةٍ من سطح وهي تُنشد
تطاول هذا الليل وازدرّ جانبه - وليس الي جنبي خليلٌ الاعبه
فوالله لو لا الله لا شئ غيره - لزعزع من هذا السرير جوانبه
مخافة ربي والحياء يصدني - واكرم بعلي ان تنال مراكبه
فقال عمر لا حول ولا قوة الا بالله ماذا صنعت يا عمر بنساء المدينة ثم جاء فضرب الباب علي حفصة ابنته فقالت ماجاء بك في هذه الساعة قال اخبريني كم تصبر المرأة المغيبة عن اهلها قالت اقصاه اربعة اشهر فلما اصبح كتب الي امرائه في جميع النواحي ان لا تجمّر البعوثُ وان لا يغيب رجلٌ عن اهله اكثر من اربعة اشهر.
অ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম ত্ববারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ جَارِيَةً لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَحَرَتْهَا، فَاعْتَرَفَتْ بِهِ عَلَى نَفْسِهَا، فَأَمَرَتْ حَفْصَةُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بن زَيْدٍ، فَقَتَلَهَا
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার একটা দাসী ছিলো, সে ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করে। তারপর সে নিজে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। তখন ইবনাত বাকি অংশ পড়ুন...
‘ইবনে মাজাহ শরীফ এবং ত্ববারনী শরীফ’ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ إِنِّي لأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلَ النَّارَ أَحَدٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللَّهُ وَإِنْ مِنْكُمْ إِلا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا قَالَ أَلَمْ تَسْمَعِيهِ يَقُولُ ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا.
অর্থ: “ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
فَنَزَلَ عَلَى رسول الله صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلُ وَقَالَ إِنَّ حَفْصَةَ صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً.
অর্থ: “হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বলেন, নিশ্চয়ই ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অধিক রোযা পালনকারিনী এবং রাতের বেলায় অধিক ইবাদাতকারিনী।” সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
فَإِنَّهَا صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ وَهِيَ زَوْجَتُكَ فِي الْجَنَّةِ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচাইতে বেশি মুহব্বত করতে হবে। অর্থাৎ উনাদের সমস্তকিছুকে প্রাধান্য দিতে হবে। এখন মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত পোষণ করতে হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ মুবারক অনুযায়ী পথ অবলম্বন করতে হবে। এখন পবিত্র ইসলাম উনার নাম দিয়ে আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র করবে, সেটা চলবে না। রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র সেটাও চলবে না। কার্লমার্ক্সের মতবাদ, লেলিনের মতবাদ, মাও সেতুংয়ের মতবাদ, গান্ধির মতবাদ, সেটাও কি বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ সম্মানিত চার মাযহাব উনার এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কেউই এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হ বাকি অংশ পড়ুন...












