শিশুকালেই তা’লীম-তরবিয়ত দাতার মাক্বামে হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শিশুকালেই তা’লীম তরবিয়ত দানকারীর মাক্বামে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অতি অল্প বয়স মুবারকে তিনি সমবয়সীদেরকে তা’লীম তরবিয়ত দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গভীর তায়াল্লুক, নিছবত প্রাপ্ত উনারই বহিঃপ্রকাশ। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهٗ وَأَهْلَ السّ বাকি অংশ পড়ুন...
১০৮নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُزِنَ حِبْرُ الْعُلَمَاءِ بِدَمِ الشُّهَدَاءِ فَرَجَحَ عَلَيْهِمْ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলিমের কলমের কালিকে শহীদগণের রক্তের সাথে ওজন করা হয়েছে। তাতে উহা (আলিমের কলমের কালিই) প্রাধান্য পেয়েছে। (খতীব বাগদাদী, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৭১০)
১০৯নং পবিত্র হাদীছ শরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلاَوَةَ الْإِيمَانِ
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিনটি বিষয় যার মধ্যে থাকবে সে ঈমানের স্বাদ পাবে। ঈমানদার হিসেবে সে সাব্যস্ত হবে। এক নম্বরে বলা হয়েছে-
مَنْ كَانَ اللهُ وَرَسُولُهٗ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا
ঐ ব্যক্তি যার কাছে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ اَلصّـِدِّيْقَةِ عَلَيـْهَا السَّلَامُ )سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيـْهَا السَّلَامُ (أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا اشْتَكٰى يَقْرَأُ عَلٰى نَفْسِهٖ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَيَنْفُثُ فَلَمَّا اشْتَدَّ وَجَعُه كُنْتُ أَقْرَأُ عَلَيْهِ وَأَمْسَحُ عَنْهُ بِيَدِهٖ رَجَاءَ بَرَكَتِهَا.
অর্থ: হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, যখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত নূরুল ইহ্সান মুবারক অর্থাৎ মারিদ্বী শা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالْمُتَصَدِّقِيْنَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ
“দান-খয়রাতকারী, যারা দান-খয়রাতকারী নর ও নারী।”
মূলতঃ উনারা খালিছ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী। কেমন হবে দান-খয়রাতকারী? এ প্রসঙ্গে বলা হয়ে থাকে, হাজারো লাখো ওয়াকেয়া রয়ে গেছে। আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন-
أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَّتَصَدَّقَ وَوَافَقَ ذَلِكَ عِنْدِيْ مَالًا فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তিনি বললেন, তাহলে উনারা যা হালাল করেছেন তা হালাল জানতে হবে এবং যা হারাম উনারা করেছেন সেটাকে হারাম জানতে হবে। পবিত্র ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব উনাকে পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তাই যদি হয় তাহলে এখন সেটা কোথায়? পর্দা করা ফরয। এখন মুসলমানরা পর্দার গুরুত্ব দিতে চায় না। ছবি তোলা হারাম। সেটাও গুরুত্ব দিতে চায় না। খেলাধুলা হারাম।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উনার মধ্যে রয়েছে-
كُلُّ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সবচেয়ে উঁচু সনদ ওয়াহ্দিয়্যাত:
উছূলে হাদীছ শরীফ তথা হাদীছ শরীফ উনার মূলনীতিতে উঁচু সনদের দিক থেকে ওয়াহ্দিয়্যাত একটি তবকা বা স্তর রয়েছে। আর ওয়াহ্দিয়্যাত ঐ সকল হাদীছ শরীফকে বলা হয় যাতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী কারো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি কোনো হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন। আর তা তখনই সম্ভব, যখন তিনি তাবিয়ী হবেন।
এই ওয়াহ্দিয়্যাত-এর দুর্লভ ও উন্নত তবক্বা বা স্তর ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল মুজতাহিদীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’ বাকি অংশ পড়ুন...
(গতকালের পর)
জড় জগতের গ্রহ উপগ্রহগুলোইতো মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি। পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার হাক্বীক্বত বুঝবে কী করে? তাহতাচ্ছারা থেকে পবিত্র আরশ মুয়াল্লাহ পর্যন্ত আলমে খালক্ব। পবিত্র আরশ থেকে পবিত্র আলমে আমর শুরু। উভয় জগতই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক দ্বারা সৃষ্টি। উভয় জগতেই উনার অবাধ বিচরণ। আরশ, কুরসী, লাওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, এমনকি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফসহ ইহকাল ও পরকালের সমুদয় বিষয় আকরামুল কারাম, রসূলুল মালিকিল আ’লাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকৃতপক্ষে সউদী আরবে কোনো মাসই চাঁদ দেখে শুরু হয় না, তাই মানুষের উপলব্ধির জন্য এখানে ২৬ বছরের তিনটি মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো।
১৪০০ হিজরী থেকে ১৪২৫ হিজরী এই ২৬ বছরে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস, পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস এই তিন মাস যেদিন সউদী আরবে শুরু হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে নিচের তথ্য পাওয়া গেছে।
মাস চাঁদ দেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল সম্ভব ছিল না সম্ভব ছিল
পরিমাণ % পরিমাণ % পরিমাণ %
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস: (মোট ২৬টি প্রতিবেদন) ১২ বার ৪৬% ৯ বার ৩৫% ৫ বার ১৯%
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস:
(মোট ২২টি প্রতিব বাকি অংশ পড়ুন...












