পরিচিতি মুবারক
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান আলাইহাস সালাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের উমাইয়া শাখার অন্তর্ভূক্ত। হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মেয়ের নাম, সেজন্য হযরত উম্মে হাবীবা আলাইহাস সালাম এই কুনিয়াত মুবারকেই তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। উনার প্রকৃত নাম মুবারক ছিল হযরত রামলা আলাইহাস সালাম। উনার পিতা হযরত আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কুরাঈ বাকি অংশ পড়ুন...
জাহান্নামে ইয়াযীদ লানাতুল্লাহি আলাইহির কঠিন শাস্তি সম্পর্কে বর্ণনা:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে-
قَاتِلُ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِـىْ تَابُوْتٍ مِّنْ نَّارٍ عَلَيْهِ نِصْفُ عَذَابِ اَهْلِ الدُّنْيَا.
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি শহীদ করবে, তাকে জাহান্নামে আগুনের বক্সে রাখা হবে। সমস্ত দুনিয়াবাসী তথা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসানকে যত শাস্তি দেয়া হবে। ঐসর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিকে এককভাবে সকলের অর্ধেক শাস্তি দেয়া হবে।” সু বাকি অংশ পড়ুন...
(৬)
হযরত আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মানছুর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তেকাল হলে একজন সিরাজবাসী উনাকে স্বপ্নে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানের সাথে বেহেশতে স্থান দিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! তাতে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিসের বদৌলতে?’ তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অত্যাধিক পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে।’ সুবহানাল্লাহ!
(৭)
একজন ছূফী ব্যক্তি হযরত মিসতাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, মহান আল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْاِمَامِ الْاَوَّلِ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً كَتَبَ اللهُ لَهُ قِيرَاطًا وَالْقِيرَاطُ مِثْلُ أُحُدٍ
অর্থ: হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে কেউ আমার উপর একবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এক ক্বীরাত ছওয়াব দিয়ে থাকেন। এক ক্বীরাত হচ্ছে উহুদ পাহাড়ের সমতুল্য।’ সুব বাকি অংশ পড়ুন...
পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মুকাশাফাতুল কুলূব’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন, “সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি জাহান্নামকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, তার সাতটি দরজা রয়েছে। সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার ভাষায়-
لَـهَا سَبْعَةُ اَبْوَابٍ.
অর্থ: “জাহান্নামের সাতটি দরজা রয়েছে।” (সম্মানিত সূরা হিজর শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৪৪)
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا وَلٰكِنَّهَا طِبَاقٌ ب বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
শাইখ আহমদ ইবনে ছাবিত আল মাগরিবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘কিতাবুত তাফাক্কুর ওয়াল ইতিবার’ নামক কিতাবে লিখেন, ‘আমি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে যে সকল উপকার লাভ করেছি তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম যে, একজন লোক চিৎকার করে বলছেন, ‘যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে দেখা করতে চায় সে আমার সঙ্গে আসুক।’ দেখলাম যে অনেক লোক এ কথা শুনে উনার দিকে দৌঁড়াতে আরম্ভ করলেন। উনাদের সকলের পোশাক সাদা রংয়ের ছিল। আমি উনাদের মধ্যে একজনকে বললাম ‘মহান আল্লাহ পাক উনার ক বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার নির্দেশ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا اَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে পবিত্র ছলাত বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদার ব বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে: বাগদাদ শরীফে কিছু লোক ছিলো যারা ছিনতাই, মারা-মারি, কাটা-কাটি, লুটপাট করতো, নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত ছিলো এবং মানুষ নিয়েও তারা ব্যবসা করতো। নাউযুবিল্লাহ! এখন পুরুষ যারা তারা ছিনতাই, খুন-খারাবি, মাল-সামানা আত্মসাৎ ইত্যাদি করতো। আর যারা মহিলা ছিলো তাদের দায়িত্ব ছিলো নানান মেয়েদেরকে ধোঁকা দিয়ে এনে তাদের মাধ্যমে তারা ব্যবসার কোশেশ করতো। নাউযুবিল্লাহ!
একদিন একটা ঘটনা ঘটলো। যে এলাকায় তাদের আস্তানা ছিলো, তা ছিল রাস্তার শেষ প্রান্ত। যার পরে বাড়ি ঘর নেই, সেখানে বড় ময়দান খোলামেলা জায়গা ঝোপঝাড় জঙ্গল। তারা লোকদেরকে ধে বাকি অংশ পড়ুন...
৯৩নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أبي هريرة رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احذروا زلة العالم فإن زلته تكبكبه في النار
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা আলিমের পদস্খলন থেকে সতর্ক থাক। নিশ্চয়ই তার পদস্খলন তাকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।” (দায়লামী শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৬৭৯)
৯৪নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ ابن عمر বাকি অংশ পড়ুন...
যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি এই পবিত্র আয়াত শরীফ যখন পেলাম, তখন মনে মনে চিন্তা করলাম, সত্যিই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার উপরই ভরসা করা উচিত। হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ঘটনা বলা হয় যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করতেন। উনার আর্থিক অবস্থা তত স্বচ্ছল ছিলনা। একবার পবিত্র হজ্জের সময় যখন হলো তখন উনার সঙ্গী-সাথীরা বললো- হে হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি আপনি কি পবিত্র হজ্জে যাবেন? তিনি বললেন, দেখ আমি হজ্জে যাব বাকি অংশ পড়ুন...












