কেউ কেউ বলে থাকে যে, সব ধরনের টুপিই পরিধান করা জায়েয বা সুন্নত (২)
পবিত্র হাদীছ শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি মুবারকের ক্ষেত্রে (قَلَنْسُوَةٌ) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর (قَلَنْسُوَةٌ) নির্র্দিষ্ট প্রকারের কোন টুপির নাম নয়। বরং বিভিন্ন প্রকারের টুপিকেই (قَلَنْسُوَةٌ) বলে। আর পবিত্র হাদীছ শরীফে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিভিন্ন প্রকারের টুপ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দাকে ফরয করা হলো, কেউ বললো বর্তমানে এতো পর্দার দরকার নেই। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে সে কি করে ঈমানদার থাকতে পারবে? সেতো কস্মিনকালেও ঈমানদার থাকতে পারবে না। ছবি তোলা হারাম করা হলো। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ
“প্রত্যেক ছবি তোলনেওয়ালা তোলানেওয়ালা জাহান্নামী”।
এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিষেধ করে দিলেন, জাহান্নামী বলে ঘোষণা দিলেন। এখন যদি কেউ চু-চের বাকি অংশ পড়ুন...
খারিজীদের সাথে মুনাযারা বা বাহাস
ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খারিজীদের প্রতিউত্তরে বলেন, আমি তাদের ক্ষেত্রে একথাই বলবো যা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এদের চেয়েও আরো বড় গুনাহগারদের ক্ষেত্রে বলেছেন-
إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ. وَان تَغْفِرْ لَهُمْ فَانَّكَ انتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থ: (আয় বারে ইলাহী) আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করেন তবে তো আপনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (পবিত্র সূরা মায়িদ বাকি অংশ পড়ুন...
বিছাল শরীফ
وصال (বিছাল) অর্থ মিলিত হওয়া, সাক্ষাত করা। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা মারা যাননা। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
ان اولياء الله لا يموتون بل ينتقلون من دار الفناء الى دار البقاء
অর্থ: নিশ্চয়ই আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা মৃত্যুবরণ করেননা। বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে ফিরে যান। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ উনাদের সাথে দায়িমী ও হাক্বীক্বী সাক্ষাত মুবারকে মিলিত হন। এজন্য উনাদের ইন্তিকালকে বিছাল শরীফ বা মুবারক বলা হয়। আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তা’যীম বা সম্মা বাকি অংশ পড়ুন...
কি বললেন?
يَعِظُكُمُ اللَّهُ أَن تَعُودُوا لِمِثْلِهِ أَبَدًا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন, তোমাদেরকে সাবধান করা হয়েছে, তোমাদের নছীহত করা হচ্ছে, আদেশ করা হচ্ছে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত কখনও যদি তোমরা এ সমস্ত বিষয় শুনো, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে। চূ-চেরা কিল ও কাল, এমনকি অনন্তকাল হাশরে-নশরে, মীযানে সব জায়গায় যদি শুনো আর কখনও এই কথা বলবে না। এটা নিষেধ করে দেয়া হলো। যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন, সাবধান হয়ে যাও বাকি অংশ পড়ুন...
৫ম মাস হচ্ছে جمادى الاولى ‘জুমাদাল ঊলা’: অর্থাৎ বরফ জমার প্রথম মাস।
৬ষ্ঠ মাস হচ্ছে جمادى الاخرى ‘জুমাদাল উখরা’ বা جمادى الاخر ‘জুমাদাল আখির’:( جمادى الاخرة বা ‘জুমাদাল আখিরাহ): অর্থাৎ বরফ জমার দ্বিতীয় মাস। এ দুটি মাসে যেহেতু আরবে বরফ জমতো, এজন্য এ দুটি মাসকে ‘জুমাদাল ঊলা’ ও জুমাদাল উখরা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। جمادى ‘জুমাদা’ অর্থ বরফ জমার কাল।
হযরত শায়েখ ইলমুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: আগেকার দিনে আরবদের হিসাব অনুসারে বছরে চন্দ্রমাসগুলো ঘুরে আসতো না, বরং প্রতিটি মাস সর্বদা বছরের একই ঋতুতে স্থিত থাকতো।
আমি (গ্রন্থকার হযরত ইবনে ক বাকি অংশ পড়ুন...
“আত তাক্বউইমুশ শামসী” উদ্ভাবনের উদ্দেশ্য
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِيْنَ وَالْمُنَافِقِيْنَ
অর্থ : “তোমরা কাফির ও মুনাফিক্বদের অনুসরণ অনুকরণ করো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১ ও ৪৮)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَمرِو بْنِ شُعَيْبِ رَحِمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدّهٖ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلَا بِالنَّصَارٰى
অর্থ : “তাবিয়ী হযরত আমর বিন শুয়াইব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকেই বছরে ১২টি চন্দ্রমাস নির্ধারণ করে রেখেছেন। যা পরবর্তীতে হিজরতের সাথে সংগতি রেখে হিজরী সন হিসেবে আখ্যায়িত হয়। হিজরী সন বা চন্দ্রবছরের বারটি চন্দ্রমাস উনাদের ধারাবাহিকতা, নাম ও নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ ال বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত ছাহাবী সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসার ঈমানদীপ্ত কাহিনী প্রসঙ্গে বর্ণনা করা হয়, একদা কাট্টা কাফির আবু জাহিল সাফা পর্বতের পাশ দিয়ে কোথাও যাচ্ছিল। ঘটনাক্রমে সেখানে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে পেয়ে তার অন্তরের দহন জ্বালা উতলে উঠল। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে চরম বেয়াদবী প্রদর্শন করে সে ইসলাম সম্পর্কে নানা রকম কটুক্তি বাক্যে বক বক করে চলে গেল। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...












