বাদশাহ জাহাঙ্গীরের উজিরে আ’যম ছিল আসফ খাঁ। সে ছিল শিয়া। সে সবসময় বাদশাহকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতো।
অপরদিকে বাদশাহর দরবারে একজন মুফতী ছিলেন। উনার নাম হযরত আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন আফদ্বালুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি বাদশাহকে সবসময় হক্বের উপর ইস্তিক্বামত থাকতে পরামর্শ দিতেন। একবার উজিরে আ’যম আসফ খাঁর নেতৃত্বে শিয়ারা ইউরোপ থেকে চৌদ্দ জন পাদ্রীকে নিয়ে আসলো। বাদশা যাতে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে রাজী হয়। পাদ্রীরা এসে বাদশাহর দরবারে বীজ লাগালো, বাকি অংশ পড়ুন...
لَقَدْ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের মাঝে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। তোমাদের জন্য কষ্টকর বিষয়গুলো উনার নিকট অসহনীয়। তিনি তোমাদের ভালাই চান। বিশেষ করে মু’মিনদের প্রতি তিনি স্নেহশীল এবং দয়াময়। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ, আয়াত শরীফ ১০৮)
অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, য বাকি অংশ পড়ুন...
গৃহপালিত পশুর যাকাত ফরয হওয়ার শর্তসমূহ
১. নিছাব পরিমাণ হওয়া : গৃহপালিত পশুর যাকাত ফরয হওয়ার জন্যে নিছাব পরিমাণ পশুর মালিক হতে হবে। সাধারণভাবে উট ৫টি, গরু/মহিষ ৩০টি এবং ছাগল/ভেড়া/দুম্বা ৪০টি হলে যাকাত ফরয হয়। এ সংখ্যার কম হলে যাকাত ফরয হয় না।
২. পূর্ণ এক চন্দ্র বছর মালিকানায় থাকা : বছরে একবার গৃহপালিত পশুর যাকাত আদায় করতে হবে। আর আদায়ের সময় বাচ্চা মায়ের হিসাবের অন্তর্র্ভুক্ত হবে।
৩. ‘সায়েমা’ তথা বিচরণশীল হতে হবে : যে পশু বছরের অধিকাংশ সময় নিজেই বিচরণ করে খাদ্য গ্রহণ করে তাকে সায়েমা বলা হয়। অতএব বছরের অধিকাংশ সময় মালিক নিজে খাদ্য সং বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)
২৪৯
কাযী ইবনে শুবরুমা তিনি লা-জাওয়াব হলেন
এক ব্যক্তি ইন্তিকালের সময় ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুপস্থিতিতে উনাকে ওসীয়ত করলেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি কাযী ইবনে শুবরুমা উনার আদালতে উত্থাপিত হলো।
ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বাক্ষী পেশ করলেন যে, অমুক ব্যক্তি ইন্তিকালের সময় আমার অনুকুলে ওসীয়ত করেছেন।
তখন কাযী ইবনে শুবরুমা তিনি উনাকে লক্ষ্য করে বলল বাকি অংশ পড়ুন...
তারে মালিকানা কে দিয়েছে? এখন কাফফারা আদায় কর। সমস্ত কাফিররা কাফফারা আদায়া করবে। ছাড়াছাড়ি নাই একটারো। কঠিন এখন আযাবে-গযাবে গ্রেফতার। কোটি কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে আরো মরবে। তাহলে বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এখন মানুষ জ্বীন-ইনসান উপলদ্ধি করতে পারে না। এজন্য আমরা বলেছি, পবিত্র সূরা মাছাদ শরীফ অর্থাৎ লাহাব। আবূ লাহাবের সম্পর্কে যে নাযিল হলো। এই পবিত্র সূরা শরীফ নাযিল হয়েছিল আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশ হওয়ার তৃতীয় বৎসর। আর আবূ লাহাবের ছেলে-মেয়ে তার যা আছে এরা ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু সে ধ্বংস হলো ১২ বছর পরে। দ্বিতীয় হিজ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সে লোক যখন একথা বললো, উনি পুনরায় তাকে সে কথাটাই জিজ্ঞাসা করলেন, যে আচ্ছা মোল্লা সাহেব আপনি তো চলে যাচ্ছেন এখন এ মাসয়ালাটা কাকে জিজ্ঞাসা করি আপনাকেই আবার জিজ্ঞাসা করার দরকার। এটা একটা তাহক্বীক্ব করার দরকার রয়েছে। ইসলামের ভিত্তি কয়টা? সে তো আবার একই কথা বললো, কেন? আমি তো বলেছি আগেই দলীল আদিল্লাহ দিয়ে ৫টি ইসলামের ভিত্তি। কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত। তো উনি বললেন, আমি তো একটা কিতাবে পড়েছিলাম ইসলামের ভিত্তি ৬টা। সে আবার উত্তেজিত হয়ে গেল। হয়ে বললো, এজন্যই আপনাদের পীর ফ বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
নতুন চাঁদ ও তার মনযিলসমূহের পরিচয়:
الأهلة جمع هلال وهو أول حال القمر حين يراه الناس يقال له هلال ليلتين من أول الشهر ثم يكون قمرا بعد ذلك
অর্থ: أَهِلَّةٌ শব্দটি هِلَالٌ শব্দের বহুবচন। এটা হলো সর্বপ্রথম মানুষ যে চন্দ্র দেখে থাকে, চন্দ্রের উক্ত অবস্থা। প্রত্যেক চন্দ্র মাসের প্রথম দুই রাতকে হিলাল বলা হয়। তারপর উহাকে ক্বমার বলা হয়। (তাফসীরে মাফাতীহুল গইব ৫/২৮১)
يقال سمي بدراً لتمامه وامتلائه وكل شيء تم فهو بدر
বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
নাম মুবারক- হযরত আনাস, পিতা- নদ্বর বিন দামদাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস ইবনে নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র মদীনা শরীফের প্রখ্যাত “বনু নাজ্জার” গোত্রে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাদিম, প্রখ্যাত ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্মানিত চাচা। হযরত আনাস বিন নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উনার গোত্রের নেতা। মহিলা ছাহাবী হযরত রুবাইয়া বিনতু নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ছিলে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জানাযা নামাযের ফযীলত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র জানাযা নামাযে শরীক হবে মহান আল্লাহ পাক তাকে উহুদ পাহাড়ের সমান ছাওয়াব দান করবেন। যে ব্যক্তি পবিত্র জানাযা উনার পর দাফন কার্যেও শরীক হবে মহান আল্লাহ পাক তাকে দুই পাহাড় পরিমাণ ছওয়াব দান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শরীক করেনি এমন চল্লিশজন মুসলমান কোন মৃতের জানাযায় শরীক হলে মহান আল্লাহ পাক উনাদের বরকতে উক্ত মৃতকে ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
পবিত্র জানাযা নামাযের শর্ত
নিষিদ্ধ সম বাকি অংশ পড়ুন...
আত তাক্বউইমুশ শামসীতে অধিবর্ষ পদ্ধতি
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে ফেব্রুয়ারী মাস ২৮ দিনে, অধিবর্ষে ২৯ দিন। বছরের দ্বিতীয় মাসে অতিরিক্ত একদিন যোগ হওয়াতে বাকী ১০ মাসই ১ দিন পিছিয়ে যায়। কিন্তু আত-তাক্বউইমুশ শামসীতে অতিরিক্ত একদিন বছর শেষে যোগ হওয়ায় পরিবর্তন লক্ষণীয় নয় (যা চার বছর পর পর করা হয়)। কেননা নতুন বছর শুরু হয়ে যায়।
শামসী সনের হিসাব : একটি সৌর বছরের সময়কাল হচ্ছে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। ফলে দেখা যায়, নতুন বছর শুরু করলেও পৃথিবীর ঘূর্ণয়ন তখনো বাকী থাকে। প্রতি চার বছর পর পর ঘড়ির সময়ের সাথে এই পার্থক্য প্রায় ১ দিন হয়ে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
এখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম যারা আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাতো মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। বিষয়টা ফিকির করতে হবে। তাহলে উনাদের খুছূছীয়াত মুবারক কতটুকু? কাফির মুশরিকগুলো চায় উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারক যদি কিছু ব্যতিক্রম করা যায়, এটা ঘুরিয়ে তারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারকে করতে চায়। নাউযুবিল্ বাকি অংশ পড়ুন...
(১২) মুরীদের মনে কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে তা স্বীয় শায়েখ উনার নিকট আরজ করবে। তিনি বুঝিয়ে দেয়া সত্ত্বেও যদি না বুঝে আসে, তবে নিজেরই ত্রুটি মনে করবে। কারণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী। তিনি উনাদেরকে ইলমে লাদুন্নী মুবারক বা বিশেষ জ্ঞানের দ্বারা ভুষিত করেছেন। যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা জাহিরী ইলিমের অধিকারী বা নামধারী মাওলানারাই ওয়াকিফহাল নয়। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
اِتَّقُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللهِ
অর্থ: আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুয বাকি অংশ পড়ুন...












