খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যদি নিয়ামত উনার শুকরিয়া করো, তাহলে নিয়ামত উনাকে বৃদ্ধি করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
আর মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সমস্ত কায়িনাতের জন্য অন্যতম মহান নিয়ামত তথা নিয়ামতে উজমা হলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূত-পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা। সুবহানাল্লাহ! এবং সেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা সদস্য হলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, আওলাদে রসূল ওলীয়ে মাদারযাদ, ন বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মানবজাতিসহ সব প্রাণীকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এরপর সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এই সত্যের ওপর বিশ্বাসী। মানুষ মাত্রই তার প্রিয়জনসহ পাড়া-পড়শির মৃত্যু প্রত্যক্ষ করে থাকে। অথচ তারপরও নিজের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে এতটুকু ভয় পায় না। যে ব্যক্তি নিজের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে চিন্তিত হবে এবং হৃদয় দিয়ে তা অনুভব করবে, সেই ব্যক্তির পক্ষে কোনো অসৎ কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষ কতটা অপরিণামদর্শী ও অবিবেচক যে, সে অপরের মৃত্যু দেখে; তারপরও নিজের মৃত্যুরর কথা বাকি অংশ পড়ুন...
এবং সাথে সাথে উনাদেরকে যারা অনুসরণ করবে মুহব্বত মুবারক করবে তাদেরকেও কিন্তু সেটা বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেটাই বলা হচ্ছে,
قُل لاَّ أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا
ইয়া হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন যে বিনিময়তো চাওয়া হচ্ছে না, স্বাভাবিক নয় এবং তোমরা দিতেও পারবে না। দেয়ার নিয়ত করলে কুফরী হবে। কাজেই তোমাদেরকে কামিয়াবী হাছিল করতে হলে কি করতে হবে?
إِلاَّ الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপব বাকি অংশ পড়ুন...
“সাইয়্যিদুত ত্বায়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক দরবেশ মুরীদের ধারণা হলো, আমি কামালিয়াত অর্জন করেছি, ওলী হয়ে গিয়েছি।
সুতরাং কোনো ওলী উনার বা লোক সংশ্রবে থাকার চেয়ে নির্জনে থাকাই আমার জন্য উত্তম। তাই তিনি লোক সংশ্রব ত্যাগ করে নির্জনতা অবলম্বন করেন।
একদিন গভীর রাতে কয়েকজন লোক সেখানে উট নিয়ে উপস্থিত হয়ে বললো, আপনাকে বেহেশতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি। সুতরাং উক্ত দরবেশ উটে আরোহণ করে রওয়ানা হলেন। বেশ কিছুক্ষণ ভ্রমণের পর তাকে একটি মনোরম স্থানে নিয়ে তারা উপস্থিত হলো। এখানে সুন্দর সুন্দর লোক, নানা জাতীয় উপাদেয় খা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لا تَسُبُّوْا اَصْحَابِىْ فَلَوْ أنَّ اَحَدَكُمْ أنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أحَدِهِمْ وَ لا نَصِيْفَه
অর্থ : তোমরা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিও না। কেননা যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, তবুও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম দান করার ফযীলতের সমপরিমাণ ফযীলতও অর্জন করতে পারবে না। (বুখারী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
২. ইবনে যিয়াদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির পদ মর্যাদা বৃদ্ধি: আল্লামা সিবতু ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
بعد قتل سيدنا حضرت الامام الثالث من اهل بيت رسول الله صلى الله عليه وسلم (سيدنا حضرت الاامام حسين عليه السلام) كتب يزيد إلى ابن زياد أمَّا بعد فإنك قد ارتفعت إلى غايةٍ أنتَ فيها كما قال الأول
رفعتَ فجاوزتَ السحابَ وفوقَهُ ... فما لكَ إلا مرقب الشمس مقعدُ
فإذا وقفتَ على كتابي هذا فاقْدَمْ عليَّ لأُجازيَك على ما فعلت فقدم عليه ابن زياد في أرباب دولته وجميع بني أمية فخرجوا إليه ولما دخلوا على يزيد قام له واعتنَقَه وقبَّل ما بين عينيه وقبَّل ابنُ زياد يدَه وأجلَسه معه على سريره وقرَّبه وأدناه وأجلسه معه على سريره في الخضراء وكان منادمَه وقال يزيد ليل বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হক্ব কথার খিলাফ করলে কোন আমীর-উমারাদের বিপক্ষে কথা বলতে পরওয়া করতেন না। কিন্তু যেহেতু ফতওয়া দান করা ফরযে কিফায়া এবং কুফা শহরে আরো মুফতী ছাহেবান মওজুদ ছিলেন। সেজন্য শহরের শাসনকর্তার আদেশ মেনে নিয়ে ফতওয়া দান করা হতে সাময়িকভাবে বিরত রইলেন।
উল্লেখ্য যে, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রায়শঃ বলতেন, যদি সম্মানিত ইলিম মুবারক প্রচার-প্রসার করা থেকে বিরত থাকলে শাস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাতযোগ্য মাল-সম্পদের বিধান
যে যে সম্পদ বা মালের যাকাত ফরয : সম্মানিত যাকাত মুসলমান উনাদের প্রায় যাবতীয় মালেই ফরয, যদি তার নিছাব ও শর্ত পূরণ হয়। যেমন- সোনা-রূপা, নগদ অর্থ, যমীনে উৎপন্ন ফসল ও ফলফলাদি, যমীনে প্রাপ্ত গুপ্ত ধন, খণিতে প্রাপ্ত খণিজ দ্রব্য, ব্যবসায়ের পণ্যদ্রব্য, গৃহপালিত পশু, যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এসকল প্রকার মালেই যাকাত ফরয। (আল হিদায়া)
মাল-সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী :
১. মাল নিছাব (শরীয়ত নির্ধারিত) পরিমাণ হওয়া।
২. উক্ত মাল নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ও স্থাবর মালের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া।
৩. উক্ত মালের উপর প বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: যে কোন নেক আমলের শুরুতে ‘তাসমিয়াহ’ অর্থাৎ ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বলে শুরু করা সুন্নত এবং রহমত-বরকতের কারণ। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كل امر ذى بال لـم يبدأ ببسم الله الرحمن الرحيم اقطع
অর্থ: যে কাজ (নেক) শুরুতে বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা হয় না তা কর্তনযুক্ত অর্থাৎ সে কাজের মধ্যে কোন কল্যাণ বা বরকত থাকে না। (আল জামিউ লিআখলাকির রাবী লিল খতীব বাগদাদী, জামউল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী)
তাই প্রত্যেক ভাল বা নেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করাটা সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুম।
স্মরণীয় যে, প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে যে বাকি অংশ পড়ুন...












