শাহযাদা শাহী নূর, খলীফায়ে মনসুর
তিনি সৌরভে গৌরব আজবেই বন্ধুর।
ইহসানে আবাদান ময়দানে দ্বিনীয়াত,
দ্বিবাকর বিস্তর আলোয়ানে কায়িনাত।
দেখ চেয়ে আশিকান, উত্থানে বরকত
তমশা যায় দূরে ছেয়ে নিল হুরমত
আলবত উর্বর নরবর নাহি আর
ইনসান ছানিদান মহাসুখে বেশুমার।
ওই খলীফায়ে মনসুর মহাধুমে মন্জুর
মালায়িক খালায়িক দেয় ভেগে মজবুর
জওক শওক বিরাজে জজবাহে উছলায়
দেখ জান্নাতি পুষ্পতে ধরণীরে আগলায়।
মুজিরে আবির পুরো শাহযাদা সাইয়্যিদান
জীন-পরী-ইনসানে খুশিবানে সাজুয়ান
ওই আগুয়ান অফুরান নবমীতে রমাদ্বান
রহেন মুবারক তাবারুকে ফুরফুরে উচুঁয়ান।
পেয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
পাক শাহযাদা আমাদের আপন সবার
দয়া মায়া দেন তিনি নূর বেশুমার
অনাথ অসহায় এনে তার দ্বারে
খালি হাতে কভু নাহি যায় গো ফিরে।
ফের বাতিলের ভয়ে তিনি নিভে না রহেন
হক্বের মশাল নিয়ে এগিয়ে চলেন
তুচ্ছ ভাবেন তিনি তাগুতের ত্রাস
করেন না নিজেকে কুভু না হ্রাস।
রহেন রসূলী রেওয়াজ নিয়ে সদা নির্ভিক
তিনি সুন্নাহী নব চাঁদ চমকেন অধিক
তিনি ইবলিসি আগাছাকে দেন যে ছেটে
তিনি অমলিন সূর্যেই রহেন ফুটে।
হন বেমিছাল লোস্ত আল্লাহ উনার
করেন রসূলী রওশনে সত্য উদ্ধার
পান ভুবন জুড়েই তিনি মহা খ্যাতিয়ান
ওই ইসলামে এনে দেন শুভ সমাধান।
হালাল যবে হারামেই রহে একাকার
বাকি অংশ পড়ুন...
আজকে খুশির বইছে জোয়ার
জগতের কোল জুড়ে
৯ই রমাদ্বান করে আলোয়ান
চমকে গগন শিরে।
হুর মালায়িক গিলমান ঠিক
একই কাতারে মিলে
পঠিছে কাছিদা শাহযাদা উনার
জান্নাতী মাহফিলে
মু’মিন মু’মিনা দেখরে,
চমকে পবন জুড়ে।
ওই আশিক জাকির, রহেন অস্থির
খুশির খাঞ্চা নিয়ে,
বিলাতেই সবে, রহে অমুরবে,
মাখলুক সব লয়ে
দেখ দেখ সবে ওরে,
চমকে গগণ শিরে।
আজ আওলাদে রসূলী নূরী বাগে,
আনন্দের আয়োজন,
নবী ও রসূল, ওলী, দরবেশে
তাবাস্সুমে প্রতিক্ষণ
শুনো কাছিদার ধ্বনি উচ্চারে,
শুকরিয়া দিল ভরে।
আজ রুবুবিয়তের প্রতি ভাজে ভাজে,
ছানা-ছিফতের ধ্বনি,
পাক শাহযাদা উনার মাক্বাম
ঘোষ বাকি অংশ পড়ুন...
খোদায়ী মেহেরবান ৯ই রমাদ্বান
শুনো হে মুসলমান!
উহা অমূল্য ধন, গ্রহে জ্ঞানীগণ
উনি রব্বানী মিহমান।
উনি পথ হারাদের ধরে ধরে
উঠান সঠিক পথে
বিপদ আপদে রইছেন তিনি
মুসলিমিনের সাথে।
শাহী ইনসাফগার হয়েই তিনি
জগতে তাশরীফান
উনার তাবেই পাচ্ছে নাযাত
অসহায় ইনসান।
আজ পৃথিবীর দিকে দিকে হায়
মুসলিম খায় মার
খলীফাতুল উমামী ডাক না শুনলে
হচ্ছেই দুরাচার।
করি মূল্যায়ন, মহা আয়োজন
৯ই রমাদ্বানী কোলে
ঈমানী শক্তি আসবো নিতেই
আমরা সবাই মিলে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
বাকি অংশ পড়ুন...
সুমহান ৯ই সিয়ামে
প্রাণ খুলে বলো সবে উচ্ছ্বাসে-
খোশ আমদেদ! খোশ আমদেদ!! খোশ আমদেদ!!!
আহলান-সাহলান জান্নাতী মেহমান
মুবারক তাকবীর ধ্বনিতে বলি সবে মারহাবা, শাহযাদা আক্বাজান
জোর আওয়াজের সেই মুবারক ধ্বনিতে মুখরিত তামাম জাহান
জান্নাত হতে দেখ যমীন মাঝে আজ
খলীফাতুল উমামের তাশরীফী নাজ।
আপনার মুবারক তাশরীফে খুশি স্বয়ং রসূল ও খোদা
উনাদেরই নিবিড় নিসবতে রহেন, ক্বাবা ক্বওছাইনি আও আদনা
আপনি নাহি রয়েছেন এক নিমিশের তরে জুদা
রয়েছেন মিশে দায়িমী উহাতে, ছোহবতে সদা।
হে খলীফাতুল উমাম শাহযাদা আক্বাজান
গভীর আবেগে আপনার স্নেহের পরশ চাহনে গোলাম, বাকি অংশ পড়ুন...
ভুবনজুড়ে ঈদের জোয়ার
ফালইয়াফরাহুর ঢল
গরিব দুখী আম জনতার
চাঙ্গা মনোবল।
আকাশ জুড়ে চাঁদ সিতারা
জ্বলছে ধিকিধিক
গুনগুনিয়ে ছন্দমালা
মিলাচ্ছে আশিক।
ধন্য হলো নতুন করে
শাওয়াল মাসের চাঁদ
তাবাসসুমে মামদুহ আক্বা
দিলেন সুসংবাদ।
আহা, মস্ত সুসংবাদ।
একটি নিসবত বাকি ছিল
এবার পূর্ণ হবে
দুঃখ সরে গম তাড়িয়ে
ফিরছ খুশি ভবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
পাঁচই শা’বান
নূরী খাইরান
ইমামুছ ছালিছ তাশরীফ আনেন ধরা করে গুলশান,
তয়বা জুড়েই রহে নূরে নূরে ইহসানী আরমান।
আজ মাদানী ঘরে ঘরে,
খুশির ঝরণা ঝরে ঝরে,
ইহা খাছ অনুদান,
পাঁচই শা’বান।
নয়নাভিরাম হৃদি আতমাম রসূলী পাক দুলাল,
ইমামুছ ছালিছ স্বয়ং রইছ ইসলামী আকমাল।
বড় খোশরবি সাইয়্যিদুশ শাবাবী রাব্বানী রায়হান,
তামাম পৃথিবী গ্রহে গৌরবী নও সাজে সাজুয়ান।
আহলে বাইতি হৃদে হৃদে
গরকে দীপ্তি ঈদে ঈদে,
এলেন যে দুলহান
পাঁচই শা’বান।
আজ জান্নাতী বাতায়ন খুলে বহিতেছে সমীরণ,
মদীনা শরীফে পঠিছে তারিফ হামিশাই অগণন।
জাবালে অহুদী ভাজে ভাজে আজ ঝকমকী পরিবেশ
বাকি অংশ পড়ুন...
আম্মাজি ক্বিবলা জান
ডাকি আপনাকে সন্তান
আপনি ছাড়া নিঃস্ব আমি
হৃদয়টা মরুভূমি
আসে কেবল দুঃখ বান
শূন্য জীবনে আপনি দয়াবান।
সাইয়্যিদা আম্মীজান
খোদায়ী শ্রেষ্ঠ দান
আপনাকে পেয়ে ভুবন
সাজায় নতুন স্বপন
হলো আলীশান
উম্মাহর তরে হন মেহেরবান।
আম্মাজী মহিয়ান
মারহাবান মারহাবান
নারীকুলের হন দিশা
কুল মাখলুকের ভরসা
শুকরিয়া অফুরান
আপনাতেই তামাম কুরবান।
বাকি অংশ পড়ুন...
এসেছেন! এসেছেন!
‘জান্নাতী ইমাম’ তিনি এসেছেন।
মুবারক ২রা মাহে শা’বানে।
মামদূহজীর গুলশানে - মহাশানে কলতানে
জান্নাতী পাখা মেলে - আসেন নূর ধরাতে।
মামদূজীর নূরানীবাগে - আম্মাজীর মুবারক হাতে
ছানী মালিকার কোলে - হাদিউল উমাম নসবে।
খলীফাতুল উমাম শানে - সাইয়্যিদাতাল উমাম প্রানে
শাফিউল উমাম হৃদে - মালিকা উনারই আদরে।
ইমামজী আগমণ করে - বর্ষেণ রহমত অঝোরে
উনাতে সিক্ত সবে - রুজু হই উনারাই নজরে।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ক্বায়িমে - সকল বাতিল নিধনে
উম্মতের রাহবার হয়ে - সাইয়্যিদুল উমাম লক্ববে।
মারিফাত নাজাতী তরী - মোরা আপনাকে যে স্মরি
কহি ক্বদম প বাকি অংশ পড়ুন...
ঐ আরাবী, শানে নববী ইমাম সাইয়্যিদী
তোহফায়ে মাদানী কোলে ছানী শাহযাদী।
নিয়ে ইমামী ভূষণ, ছানী দামাদ নীড়ে
আসেন চাঁদকা টুকরা আহালী নীড়ে ॥
কুল-কায়িনাতের অপেক্ষা দেখো অধিরে
আসবেন শাহী মেহমান মুবারক কোল জুড়ে।
মুবারক সুন্নতী অভিরুচি পাক হুজরা ঘিরে
মাতাজী গড়েন অপূর্ব ক্ষণ মীলাদী নূরে।
অভূতপূর্ব মীলাদ শরীফ ধ্বনিত বারে বারে
হাজির স্বয়ং রসূল পাক আহালপাক সহকারে।
উম্মুল বাশার থেকে উম্মু রুহিল্লাহ হাজিরে
হুজরাপুরে যেন খুশির উল্লাস উপচে পড়ে।
তা’যীম-তাকরীমে অপেক্ষমাণ দুরূদ পড়ে
কাতারে কাতারে মুরীদ-ভক্তকুল সমস্বরে।
শুভাগমন সাইয় বাকি অংশ পড়ুন...
মুজাদ্দিদ বাগানে উদয়
রসূলী আওলাদ মহান
নিবরাসাতুল উমাম দিলেন
সাইয়্যিদুল উমাম জান্নাতী মেহমান ॥
আসমান যমীন নব রূপে
খোদা তায়ালা আজ সাজান
জিন-ইনসান মালায়িক
মীলাদী মাহফিলে শরীকান ॥
২রা শা’বানী চাঁদে
আলোকিত করেন ভুবন
ওলী, আব্দাল, কুতুব, দরবেশ
নিসবত পেতে হাজিরান ॥
মামাজানের আদরি ফুল
শান শওকতে রহেন অতুল
নানা-নানীজানের ছোঁয়ায়
খোদায়ী ইলমে বলীয়ান ॥
কুল-কায়িনাত আনন্দে
রহেন খুশির আহলাদে
উনারা রহেন সব হৃদে
হলো ঈদের আয়োজন ॥
বিলাদতে সাইয়্যিদুল উমাম
কায়িনায় ঈদের আঞ্জাম
করি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন
মোরা সকল মুরীদান ॥
বাকি অংশ পড়ুন...












